আপনি যখন আপনার স্বাস্থ্য এবং সবদিক দিয়ে ভালো থাকার কথা নিয়ে ভাবেন, তখন আপনাকে সম্পর্ক এবং যৌনস্বাস্থ্য নিয়েও চিন্তা করতে হবে, বলছেন ডা. তসলিমা রশিদ, যিনি লন্ডনের হোমারটন এনএইচএস ট্রাস্টের যৌনস্বাস্থ্য এবং এইচআইভি মেডিসিনের কনসালট্যান্ট।
নিজের যৌন স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখলে সেটি আমাদের দীর্ঘ এবং সুস্থ জীবনযাপনে সাহায্য করে এবং আমাদের সবচেয়ে অন্তরঙ্গ এবং গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষায়ও সাহায্য করে।
কী সহায়তা পাওয়া যায়?
যৌন মিলন (সেক্স) নিয়ে কথা বলার বিষয়টি অনেক সংস্কৃতিতেই একটা নিষিদ্ধ ব্যাপার বলে মনে করা হয় এবং এর ফলে মানুষের যখন চিকিৎসা বা পরামর্শের দরকার হয় তখন তারা বেশ লজ্জাবোধ করেন।
যে কোন মানুষই তাদের জীবনে যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। অন্তরঙ্গ সম্পর্কের সময় আমরা কেমন অনুভব করি, কিভাবে নিরাপদে যৌন মিলন (সেক্স) উপভোগ করতে হয়, জন্মনিরোধকের ব্যবহার, সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং এর চিকিৎসা- এসবই যৌনস্বাস্থ্যের আওতায় পড়ে।
কমিউনিটি ফার্মেসি, জিপি প্র্যাকটিস এবং সেক্সুয়াল হেলথ ক্লিনিক (এসএইচসি) থেকে এ বিষয়ে পরামর্শ এবং পরিচর্যা পাওয়া যায়। এগুলোকে ‘জেনিট্যুরিনারি মেডিসিন’ (গাম) ক্লিনিকও বলা হয়। এগুলো হয়তো দাতব্য (চ্যারিটি) সংস্থাগুলো দ্বারা বা তাদের সঙ্গে পার্টনারশীপের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়।
এছাড়া কিশোর-কিশোরী, তরুণ প্রাপ্তবয়স্ক, এলজিবিটিকিউ+ মানুষ, এবং যারা যৌন সহিংসতা বা যৌনাঙ্গ ছেদের মতো ক্ষতিকর ঘটনার শিকার হয়েছেন তাদের জন্য আলাদা সেবার ব্যবস্থা আছে। অনলাইনেও সাহায্য এবং পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে।
এটি কি ক্যান্সার, সংক্রমণ নাকি অন্য কিছু?
ডা. রশিদ বলেন, “আমাদের শরীরের জন্য কোনটি স্বাভাবিক সেটা জানা এবং কোন কিছু যদি স্বাভাবিকের থেকে ভিন্ন ধরণের মনে হয় তাহলে কোথায় সাহায্য চাইতে হবে সেটি জানা বেশ গুরুত্বপূর্ণ”
টয়লেটে গেলে জ্বালাপোড়া করা, চুলকানি বা ব্যথা, অস্বাভাবিক ক্ষরণ, গোটা, রক্তপাত, পুরুষাঙ্গের উত্থানে সমস্যা বা যৌন মিলনের সময় ব্যথা- এরকম লক্ষণ থাকলে বুঝতে হবে আপনার কোন শারীরিক স্বাস্থ্যগত সমস্যা আছে।
“এটি হয়তো যৌন সম্পর্ক থেকে ছড়ানো কোন সংক্রমণ অথবা হয়তো অন্য কিছু; কখনো কখনো এটি হয়তো ক্যান্সারের মতো কিছু বা হয়তো হৃদরোগ”, বলছেন ডা. রশিদ।
“কিন্তু আপনি অসুস্থ হলে কিংবা যদি এমন হয় যে, আপনি রজোনিবৃত্তির (মেনোপজ) মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, বাড়িতে বা কাজে মানসিক চাপের মধ্যে আছেন তাহলে এগুলোও কিন্তু আপনার যৌনস্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।”
এরকম ক্ষেত্রে একজন পেশাদার স্বাস্থ্যসেবা কর্মীর সঙ্গে কথা বলা উচিৎ, যাতে করে আপনি দ্রুত আপনার জন্য প্রয়োজনীয় যে কোন ধরণের পরীক্ষা-নীরিক্ষা করাতে এবং চিকিৎসা ও পরামর্শ পেতে পারেন।
জরায়ুমুখ ক্যান্সার
হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের (এইচপিভি) টীকা নিলে এবং নিয়মিত জরায়ুমুখ পরীক্ষা করালে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায় বলে প্রমাণিত।
একজনের ত্বকের সঙ্গে আরেকজনের ত্বকের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এইচপিভি ছড়ায়। এটি বেশ সাধারণ রোগ এবং কিছু উচ্চ ঝুঁকির এইচপিভি সংক্রমণ থেকে ক্যান্সারও হতে পারে এবং নারী ও পুরুষ উভয়েই এতে আক্রান্ত হতে পারে। এ থেকে জরায়ুমুখের ক্যান্সার, মাথা এবং ঘাড়ের ক্যান্সার, মলদ্বার এবং যৌনাঙ্গের ক্যান্সারও হতে পারে।
টীকা নিলে এটি সবচেয়ে উচ্চ-ঝুঁকির এইচপিভির বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়, এবং এতে সন্তান জন্ম দেয়ার ক্ষমতার ওপর কোন প্রভাব পড়ে না। এটি ১২ হতে ১৩ বছর বয়সী শিশুদের দেয়া হয়। যাদের বয়স ২৫ বছরের নীচে এবং যারা টীকা পাননি, তারা এটি নেয়ার জন্য বলতে পারেন। (যেসব মেয়ের জন্ম ১৯৯১ সালের ১ সেপ্টেম্বরের পরে এংব যেসব ছেলের জন্ম ২০০৬ সালের ১ সেপ্টেম্বরের পর।)
এইচপিভি টীকা যেহেতু ক্যান্সার হতে পারে এমন সবধরণের এইচপিভির বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয় না, তাই টিকা নেয়ার পরও মেয়েদের উচিত নিয়মিত তাদের জরায়ুমুখ পরীক্ষার জন্য আসা। এটি স্মিয়ার টেস্ট নামেও পরিচিত। এই পরীক্ষা জরায়ুমুখ ক্যান্সার (সার্ভিক্যাল ক্যান্সার) প্রতিরোধে সহায়ক। সব নারী এবং ২৫ হতে ৬৪ বছর বয়সী যেসব মানুষের সার্ভিক্স আছে তাদের সবাইকে নিয়মিত এই পরীক্ষা করাতে বলা হয়।
এই পরীক্ষার সময় সার্ভিক্স বা জরায়ুমুখ হতে সামান্য কিছু কোষের নমুনা নেয়া হয়। উচ্চ ঝুঁকির যেসব এইচপিভি থেকে প্রায় সব জরায়ুমুখ ক্যান্সার হয়, সেসবের জন্য এই নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইচপিভি আক্রান্ত হওয়ার মানে এই নয় যে আপনার জরায়ুমুখ ক্যান্সার হয়েছে বা হবে, তবে যদি আপনার দেহে এটি পাওয়া যায়, তখন কোষে কোন পরিবর্তন হচ্ছে কিনা সেটি পরীক্ষা করে দেখা হয়। কারণ চিকিৎসা না করালে এটি ক্যান্সারে রূপ নিতে পারে।
ডা. রশিদ বলেন, “মাত্র একবার যৌন মিলন করলেও আপনার এইচপিভি সংক্রমণ হতে পারে কিংবা একজনের সঙ্গে করলেও তা হতে পারে। আবার যদি আপনি বহু বছর যৌন মিলন না করেন বা পুরুষের সঙ্গে যৌন মিলন না করেন অথবা বহুদিন ধরে না করেন- তারপরও তা হতে পারে।”
যেসব মানুষের সার্ভিক্স নেই, তাদের পরীক্ষা করার কোন দরকার নেই। ট্রান্স বা নন-বাইনারি মানুষ, যারা কোন জিপি প্র্যাকটিসে পুরুষ হিসেবে তালিকাভুক্ত তাদেরকে সাধারণত রুটিনমাফিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হয় না, কিন্তু যদি দরকার হয় তারা এই পরীক্ষার জন্য অনুরোধ জানাতে পারেন।
যেসব পুরুষ অন্য পুরুষের সঙ্গে যৌন মিলন করেন তাদের জন্যও ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত বিনামূল্য এইচপিভি টীকার ব্যবস্থা আছে বিশেষ সেক্সুয়াল হেলথ সার্ভিসেস বা এইচআইভি ক্লিনিকে। কিছু ক্লিনিকে তাদের জন্য এইচপিভি স্ক্রিনিং-এরও ব্যবস্থা আছে।
মেয়েদের যৌনাঙ্গ কর্তন বা ছেদের পর যেসব সাহায্য
যুক্তরাজ্যে এটি বেআইনি এবং শিশু নির্যাতন বলে গণ্য করা হয়। কোন চিকিৎসা সংক্রান্ত কারণ ছাড়া মেয়েদের যৌনাঙ্গ ইচ্ছে করে কেটে ফেললে, সেটির ক্ষতি করলে বা বিকৃত করলে সেটিকে ফিমেইল জেনিটাইল মিউটিলেশন বা নারী যৌনাঙ্গ কর্তন বা ছেদ বলা হয়। এটিকে নারীদের খৎনাও বলা হয়। এটি সুন্না, গুডনিন, হালায়াস, তাহুর, মেগরেয বা খিতান হিশেবেও পরিচিত।
এতে মেয়েদের শরীরে কেবল তীব্র ব্যথাই হয় না- এর ফলে যৌন মিলনে, সন্তান জন্মদানের সক্ষমতায় প্রভাব পড়া এবং সন্তান প্রসবের সময় সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে অনেকের মানসিক এবং শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এজন্য সাহায্য পেতে হলে জিপি বা অন্য কোন স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে কথা বলুন। যেমন আপনি যদি গর্ভবতী হোন, আপনার ধাত্রী (মিডওয়াইফ)-এর সঙ্গে কথা বলুন।
“যদি আপনার বেলায় এরকমটা ঘটে থাকে বা আপনার মনে হয় যে এরকমটি ঘটেছিল, তাহলে দয়া করে সাহায্য চান। আমরা হয়তো আর এটি পাল্টে দিতে পারবো না, কিন্তু আপনাকে সাহায্য করার মতো কিছু আমরা করতে পারবো”, বলছেন ডা. রশিদ। “আপনাকে হয়তো এনএইচএসের এফজিএম ক্লিনিকে পাঠানো হবে। সেখানে পরামর্শ থেকে শুরু করে দরকার হলে সার্জারি- এরকম অনেক সেবাই আছে।”
যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়ানো সংক্রমণের পরীক্ষা
যৌন বাহিত সংক্রমণ (STIs), হচ্ছে সেইসব রোগ যেগুলো যৌনমিলনের মাধ্যমে হয়। বেশিরভাগই মূলত দেহ থেকে নিঃসৃত রসালো পদার্থ- যেমন রক্ত, লালা বা বীর্যের মাধ্যমে ছড়ায়। যৌনমিলনের সময় কনডম বা এরকম কোন প্রতিরোধক ব্যবহার করে তা রোধ করা যায়। আরো কিছু যৌনরোগ আছে যা একজনের ত্বকের সঙ্গে আরেকজনের ত্বকের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে ছড়ায়।
“যখন কাউকে যৌনবাহিত রোগের জন্য পরীক্ষা করতে বলা হয়, তখন অনেক সময় তারা খুবই অবাক হয়। কারণ তাদের হয়তো মাত্র একজনই যৌনসঙ্গী বা তাদের কোন লক্ষণ নেই। আমি তাদেরকে বলি, নিজেদের যৌনস্বাস্থ্যের যত্ন নেয়ার বিষয়টি নিয়ে বিব্রত হওয়ার কিছু নেই। কারণ এই ব্যাপারটা আমাদের সবার ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে।”
“আপনি চাইলে আপনার সঙ্গে কাউকে নিয়ে যেতে পারেন বা একজন সহচরকে আপনার সঙ্গে দিতে বলতে পারেন। কেউ আপনাকে এটার ভিত্তিতে বিচার করবে না এবং এটি বেশ গোপনীয়- আপনার অনুমতি ছাড়া আমরা এই তথ্য কাউকে এমনকি আপনার জিপিকেও জানাবো না।”
এইচআইভি পরীক্ষা
আপনি এইচআইভি পরীক্ষার জন্য বলতে পারেন। গর্ভাবস্থায় যেসব রুটিন পরীক্ষা করা হয়, তার মধ্যে এই এইচআইভি পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া এসময় হেপাটাইটিস-বি এবং সিফিলিস পরীক্ষাও করা হয়। দেশের যেসব এলাকায় এইচআইভি সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি, সেসব এলাকায় যখন কেউ কোন জরুরী বিভাগে চিকিৎসার জন্য যায়, তখনও সেখানেও লোকজনকে এই পরীক্ষা করতে বলা হয়। হেপাটাইটিস-বি এবং হেপাটাইটিস-সি পরীক্ষাও করা হয়। এসব পরীক্ষা চালু হওয়ার পর এক বছরের মধ্যে দুই হাজারেরও বেশি মানুষের মধ্যে এই তিনটি রক্তবাহিত ভাইরাস পাওয়া গেছে।
ডা. রশিদ বলেন, “যদি আপনার মনে হয় যে আপনার এইচআইভির ঝুঁকি নেই, তারপরও আমি সবাইকে বলবো পরীক্ষা করাতে।”
“যদি আপনার কয়েকজন যৌনসঙ্গী থাকে, যদি কনডম ব্যবহার না করেন, বা যদি আপনি এমন পুরুষ হন যিনি পুরুষের সঙ্গে যৌনমিলন করেন, আপনার উচিৎ হবে প্রতি তিন মাসে একবার নিয়মিতভাবে পরীক্ষা করানো।”
“যদি আপনার কোন লক্ষণ না থাকে এবং কেবল মনের শান্তির জন্য পরীক্ষা করাতে চান, আপনি কোন ক্লিনিক বা ফার্মেসি থেকে বা অনলাইনে একটি ‘টেস্ট কিট’ সংগ্রহ করে ঘরে গোপনে পরীক্ষা করতে পারেন। এই টেস্ট কিট এরপর আপনি বিনামূল্যে ডাকযোগে পাঠাতে পারেন কোন চিহ্নবিহীন প্যাকেটে করে।”
এইচআইভি ধরা পড়ার পর যেভাবে সুস্থ থাকবেন
যুক্তরাজ্যে ৯৫ হাজারের বেশি মানুষ এইচআইভি নিয়ে বেঁচে আছে। এদের মধ্যে এমন চার হাজার মানুষ আছেন, যারা জানেনই না যে তাদের এইচআইভি আছে।
পজিটিভলি ইউকে নামের একটি চ্যারিটিতে কাজ করেন বিয়াট্রিস ওসোরো। জরুরী বিভাগে রক্তবাহিত ভাইরাস (ব্লাড বোর্ন ভাইরাস সংক্ষেপে বিবিভি) পরীক্ষায় যাদের ফল পজিটিভ এসেছে তিনি তাদেরকে সাহায্য করেন।
“যাদের দেরিতে এসব ভাইরাস ধরা পড়ে তাদের মধ্যে নারী, হেটারোসেক্সুয়াল, প্রবীণ এবং কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান জাতির মানুষের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি”, বলছেন তিনি। “তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা থাকে এই নিয়ে যে, বিষয়টি তারা প্রিয়জনকে জানাবেন কিনা। অনেকেই ভয় পান এই ভেবে যে এটি জানালে তারা প্রত্যাখ্যান, লজ্জা বা গ্লানির শিকার হবেন।”
যদিও এর কোন নিরাময় এখনো নেই, আধুনিক চিকিৎসার ফলে আমাদের শরীরে ভাইরাসের মাত্রা কিন্তু কমানো যায়। এর ফলে মানুষকে সুস্থ রাখা যায় এবং যৌনমিলন, গর্ভধারণ, সন্তান জন্মদান এবং স্তন্যদানের মাধ্যমে এই ভাইরাস যেন আর কারও শরীরে ঢুকতে না পারে সেটিও নিশ্চিত করা যায়।
“আমি সত্যিই মানুষকে জানাতে চাই যে, আপনি এই ভাইরাস মোকাবেলা করতে পারেন এবং এটি নিয়েই সুস্থভাবে বাঁচতে পারেন। এটি যাতে আর কারও মধ্যে সংক্রমিত না হয় ঔষধ নেয়ার মাধ্যমে সেটিও আপনি নিশ্চিত করতে পারেন।”
“এইচআইভি এখন আর কোন মৃত্যুদণ্ড নয়। আমি জানি, কারণ আমি এই ভাইরাস নিয়ে গত ২৮ বছর ধরে বেঁচে আছি। হ্যাঁ, আমাকে অনেক কিছু বদলাতে হয়েছে। হ্যাঁ, বিষয়টা জানার পর ধাতস্থ হতে আমার বেশ কষ্ট হয়েছে। কিন্তু এখন যেহেতু আমি জানি যে আমার এই ভাইরাস আছে, তাই নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য আমার যা করা দরকার, সেটা আমি করতে পারি। আর তা হচ্ছে- নিজের শরীরের যত্ন নেয়া, আমার পরিবার এবং আমার বাকী জীবন নিয়ে এগিয়ে চলা।”
এই প্রতিবেদনে পড়া যে কোন কিছুর বিষয়ে আরও তথ্যের জন্য এই ওয়েবসাইটে যান www.nhs.uk, বা এনএইচএস-এ ১১১ নম্বরে ফোন করুন অথবা গোপনীয়তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে ‘ন্যাশনাল সেক্সুয়াল হেলথ এডভাইস লাইনে’র নম্বরে 0300 123 7123 ফ্রি ফোন করুন।