স্কুলগুলোতে এখন গ্রীষ্মের ছুটি চলছে। এটি প্রত্যাশিত যে, এই সময়টা আমাদের নিজেদের পরিবারের সবাইকে নিয়ে একসাথে কাটবে। বার্মিংহামের জেনারেল পেডিয়াট্রিক্সের ক্লিনিকাল ফেলো ডাঃ মুনজারিন পাডেলার সাথে আমরা কথা বলেছি স্কুল ছুটির এই সময়ে শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সুস্থতায় আমাদের করণীয় নিয়ে।
১. হাম (মিজেলস) সম্পর্কে সতর্ক থাকুন
স্কুল বন্ধ থাকলেও হাম অর্থাৎ মিজেলস কিন্তু বর্তমানে যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপ জুড়ে ছড়াচ্ছে। আর এজন্য ডাঃ পাডেলা আমাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, “এটি অত্যন্ত সংক্রামক এবং টীকা না নেওয়া প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন শিশু হামরোগে আক্রান্ত হবে যদি তারা এ রোগে ইতোমধ্যে আক্রান্ত কারো ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসে। এই রোগে আক্রান্ত হলে এটি তাদের গুরুতর অসুস্থ করে ফেলতে পারে এবং সংক্রমণের পর কয়েক বছরের জন্য তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিতে পারে।”
সাধারণত ঠাণ্ডা লাগার মতো উপসর্গ যেমন উচ্চ তাপমাত্রা (জ্বর), সর্দি বা বন্ধ নাক, হাঁচি এবং কাশি ইত্যাদি দিয়ে হাম শুরু হয় এবং এর কিছুদিন পরে গায়ে ফুসকুড়ি (রাশ) দেখা দেয়।
এই রোগে আক্রান্ত প্রতি ৫ জনের মধ্যে ১ জন শিশুর হাসপাতালে যাওয়ার দরকার হবে। কারণ এটি নিউমোনিয়া (বুকে গুরুতর সংক্রমণ), মেনিনজাইটিস (মস্তিষ্কের সংক্রমণ) এবং সেপসিস (কোনো সংক্রমণে আক্রান্ত শরীরে যখন সেই সংক্রমণ দেহের অন্যান্য অঙ্গে একের পর এক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে)-এর মতো রোগসহ গুরুতর স্বাস্থ্য-জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। এক্ষেত্রে আক্রান্ত শিশুর প্রাণহানিও ঘটতে পারে যদিও তা বিরল।
পরিবারের কোনো সদস্যের হাম (মিজেলস) হলে কী করবেন?
হাম বা মিজেলসে আক্রান্ত হওয়া আপনার পরিবারের কোনো সদস্যের অবস্থা দিনদিন ভালো না হয়ে উল্টো তা অবনতির দিকে গেলে এনএইচএস ১১১ (NHS 111)-এ ফোন করুন। এক্ষেত্রে ডাঃ পাডেলার পরামর্শ হচ্ছে- হামে আক্রান্ত হওয়ার বেশি ঝুঁকিতে থাকাদের কাছে এটি যাতে সংক্রমিত না হয় সেজন্য আমরা যেনো পদক্ষেপ নেই। “গর্ভবতী মহিলা, অল্পবয়েসী শিশু, বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তি এবং যাদের সংক্রমণ-প্রবণতা রয়েছে তাদের সকলের জন্যই এটি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই অসুস্থ থাকা অবস্থায় আমাদের তাদেরকে এড়িয়ে চলা উচিত। শিশুদের ফুসকুড়ি প্রথম দেখা দেওয়ার পর থেকে কমপক্ষে ৪ দিন স্কুলে না দিয়ে থেকে তাদেরকে বাড়িতে রেখে দেওয়া উচিত। এছাড়া এটি আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে, শিশুরা কাশি বা হাঁচি দেয়ার সময় টিস্যু ব্যবহার করছে এবং নিয়মিত তাদের হাত ধৌত করছে।”
২. গুরুতর রোগ থেকে আপনার পরিবারকে সুরক্ষা দিন
হাম দ্বারা আক্রান্ত হয়ে গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়া রোধে সর্বোত্তম সুরক্ষা হচ্ছে টীকা (ভ্যাকসিন) নেওয়া। কারণ, হামের কোনো চিকিৎসা নেই। এমএমআর (MMR) ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নিলে তা হাম এবং সেই সাথে মাম্পস এবং রুবেলা থেকে আজীবন সুরক্ষা দেবে।
যুক্তরাজ্যে ১৯৬৮ সালে হামের ভ্যাকসিন চালু হওয়ার পর থেকে অন্তত ২০ মিলিয়ন মানুষের এটির সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেয়েছেন এবং ৪,৫০০ জীবন বাচাঁনো সম্ভব হয়েছে।
“জীবন বদলে দেয়া রোগের আক্রমণ থেকে সুরক্ষা দিতে আমাদের জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে ভ্যাকসিন ‘অফার‘ করা হয়ে থাকে।গর্ভাবস্থায়, পুরোটা শৈশবকালজুড়ে এবং এমনকি আমাদের জীবনের পরবর্তী বছরগুলিতেও ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়। ডাঃ পাডেলা বলছেন, এ ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন থাকলে আপনার জিপি প্র্যাকটিসের সাথে কথা বলুন যারা আপনাকে আরও বিস্তারিত তথ্য দিতে পারে।”
আপনার সন্তানকে কোন কোন টীকা দেয়া হয়েছে সেটি তার ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যরেকর্ডে (যা রেডবুক নামেও পরিচিত) দেখে নিতে পারেন। এটি দেখে যদি তার কোনো টীকা বাদ পড়ে থাকে তাহলে সেটি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে আপনার জিপি প্র্যাকটিসের সাথে যোগাযোগ করে বুকিং দিতে পারেন।
টীকা (ভ্যাকসিন) সম্পর্কে আরও জানতে দেখুন nhs.uk/vaccinations ওয়েবসাইট
এটি প্রিন্ট করে সংগ্রহে রাখুন
৩. শিশুদের বদলে যাওয়া মেজাজ-মর্জি এবং আচরণে পরিবর্তন খেয়াল করুন
সন্তানরা যাতে তাদের অনুভূতিগুলো পরিবারের সদস্যদের সাথে ভাগাভাগি করে সেজন্য তাদেরকে উৎসাহিত করতে হবে। এ ব্যাপারে ডাঃ পাডেলা বলেন, “রাতের খাবারের জন্য যখন পরিবারের সবাই একসাথে বসবেন তখন সন্তানরা তাদের গ্যাজেটগুলি (ফোনও অন্যান্য বস্তু) যেনো সরিয়ে রাখে তা নিশ্চিত করুন। এই সময়টুকুতে স্কুলে তাদের কেমন কাটছে সে সম্পর্কে কথা বলে জেনে নিন।এর পাশাপাশি তাদের স্বাস্থ্য ও সুস্থতা নিয়ে কোন উদ্বেগ থাকলে তা-ও আলোচনা করুন। তাদের কথা শুনুন এবং সহায়তা দিন।
ডাঃ পাডেলা আরো বলেন, “সন্তানের স্বাভাবিক আচরণ কেমন তা আপনার জানা থাকা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তাহলে সে অস্বাভাবিক কোন আচরণ করলে আপনি বুঝতে পারবেন যে কোথাও সমস্যা আছে।”
আপনার সন্তান তার অনুভূতি বাড়িতে পরিবারের অন্যদের কাছে বলতে হয়তো অসুবিধা বোধ করছে-এমন মনে হলে আপনি তাকে তার কোন শিক্ষক, বিশ্বস্ত প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি বা বন্ধুর সাথে কথা বলার পরামর্শ দিতে পারেন অথবা youngminds.org.uk-এই ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে পরামর্শ নেয়ার কথা বলতে পারেন।
• বিষণ্ণতা
শিশুরাও হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারে। এর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে- মেজাজ-মর্জি খারাপ থাকা, ঝগড়াটে হওয়া, বিরক্তিভাব, ঘুমে ব্যাঘাত ঘটা এবং আগে যেসব বিষয় উপভোগ করতো সেসবে আগ্রহ কমে যাওয়া।
• উদ্বেগ
সময় বিশেষে যেকোন মানুষই উদ্বিগ্ন বোধ করতে পারেন কিংবা দুশ্চিন্তায় পড়তে পারেন। তবে খেয়াল রাখুন- এই উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তা আপনার সন্তানের সুস্থতা বা দৈনন্দিন কাজ করার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করছে কিনা। এর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে- বিরক্তিভাব, একগুয়েমি করা বা ঝগড়াটে হওয়া, বিছানা ভিজানো বা ঘুমের সমস্যা হওয়া। বড় শিশুদের ক্ষেত্রে কোনো কিছুতে মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে, রাগান্বিত হলে তারা ক্ষোভে ফেটে পড়তে পারে, নেতিবাচক চিন্তাভাবনা তাদের মনে ঠাঁই পেতে পারে এবং তারা তাদের স্বাভাবিক দৈনন্দিন কাজকর্ম এড়িয়ে যেতে পারে।
• খাদ্যাভ্যাস বিকার বা ইটিং ডিসঅর্ডার
খাদ্যাভ্যাস বিকার বা ইটিং ডিসঅর্ডার হল একটি মানসিক স্বাস্থ্যগত অবস্থা যেখানে খাবার গ্রহণ নিয়ন্ত্রণ করে মানুষ তাঁর অনুভূতি সামলাতে চায়। এক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার মতো লক্ষণগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ওজন কমে যাওয়া, কতটুকু খাওয়া হয়েছে তার পরিমাণ সম্পর্কে মিথ্যা বলা, খাওয়ার পরে বারবার বাথরুমে যাওয়া এবং শরীরের ওজন এবং আকৃতি নিয়ে উদ্বিগ্ন সময় পার করা।
৪. শিশুর শিখতে বা বিকাশে অসক্ষমতা থাকলে আগেভাগেই সাহায্য নিন
শিখতে এবং বিকাশের ক্ষেত্রে অসক্ষমতা কোনো শিশু কীভাবে নতুন একটি জিনিস শিখবে এবং তথ্য বুঝে নেবে সে বিষয়টিকে প্রভাবিত করতে পারে।
এর পেছনে অটিজমসহ অনেকগুলি সম্ভাব্য কারণ রয়েছে। আপনি যদি আপনার সন্তানের বিকাশ নিয়ে চিন্তিত হয়ে থাকেন কিংবা আপনার মনে হয় যে, সে তার ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য রেকর্ডে (রেডবুক)-এ উল্লেখিত প্রত্যাশিত ধাপগুলোতে পৌঁছাচ্ছে না তাহলে আপনি সাহায্য চাইতে পারেন।
ডাঃ পাডেলা বলেন, “আপনার সন্তানের অটিজম-এর লক্ষণ দেখা গেলে আপনি আপনার জিপি প্র্যাকটিস অথবা স্কুল-নার্সের কাছে এ বিষয়ে একটি মূল্যায়নের জন্য অনুরোধ জানাতে পারেন। যদি তার অটিজম ধরা পড়ে, তাহলে আপনি এবং আপনার সন্তান উভয়ের জন্যই প্রয়োজনীয় সহায়তা পেতে পারেন।”
শেখার অসক্ষমতা আছে এমন যেকোন ব্যক্তি জিপির ‘লার্নিং ডিসেবিলিটি রেজিস্টারে‘ অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। এই রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্তদেরকে ১৪ বছর বয়স থেকে একটি বার্ষিক স্বাস্থ্যপরীক্ষা (এসিএইচ) ‘অফার‘ করা হবে। আপনার জিপি প্র্যাকটিসের রেজিস্টারে আপনার সন্তানের নাম অন্তর্ভূক্তি নিশ্চিত করতে এবং তার বার্ষিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জিপিকে আপনি বলতে পারেন।
৫. আপনার সন্তানের দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যগত সমস্যার ক্ষেত্রে সহায়তা
রোয়ান্না একজন ‘সাইকোলজিস্ট প্রাকটিশনার’ এবং ‘পাবলিক স্পিকার’। জিনঘটিত বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতা এবং বিরল রোগ সম্পর্কে তার বিশেষ আগ্রহ রয়েছে।
“রোয়ান্না মহারাজের মাত্র চার মাস বয়সে মা-বাবা জানতে পারেন তার থ্যালাসেমিয়া রোগ রয়েছে। এই দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যগত সমস্যা নিয়ে নিজের জীবনযাপন সম্পর্কে এবং এক্ষেত্রে তার পিতা-মাতার সমর্থন-সহায়তার গুরুত্ব নিয়ে রোয়ান্না কথা বলেছেন আমাদের সাথে।
“আমার মা আমাকে বলেছেন, আমরা যখন ত্রিনিদাদ এণ্ড টোবাগোতে থাকতাম তখন হাসিখুশি আর প্রাণবন্ত এক নবজাতক থেকে আমি অলস এক শিশুতে পরিণত হলাম। আমি তখন ভালো করে খেতাম না। আমার মা তখন সহজাতভাবে বুঝে নিলেন আমার মধ্যে কিছু একটা ঠিক নয়। তিনি তখন কেনো আমার এই সমস্যাটা হচ্ছে তা খুঁজে বের করার জন্য শিশু ডাক্তারের কাছে অনুরোধ জানালেন। ডাক্তাররা ৫ সপ্তাহ পরে ধরতে পারলেন যে, আমি ‘বেটা থ্যালাসেমিয়া মেজর’ নামক একটি গুরুতর রোগে ভুগছি যার জন্য আমার জরুরীভিত্তিতে রক্ত বদল (ট্রান্সফিউশন) করতে হবে।
এটি যে মানুষের একটি বিশেষ শারীরিক অবস্থা তা অনেকেই জানেন না। অথচ ইংল্যাণ্ডে ১,৭০০ জন এই বিরল রক্তব্যাধি নিয়ে জীবনযাপন করছেন আর প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ এই রোগ বহন করছেন যাদেরকে বলা হয় নীরব বাহক। আমাদের শরীরের রক্তে যে হিমোগ্লোবিন উৎপন্ন হয় তার পরিমাণটাকে থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রভাবিত করে। এই হিমোগ্লোবিনের মাধ্যমেই রক্তের লোহিতকণিকা আমাদের সারা শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে।
“আমার গুরুতর এই শারীরিক অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দুই সপ্তাহ পরপর আমাকে রক্ত নিতে হয় আর এটি সারা জীবন ধরেই নিতে হবে। এছাড়া আমার রক্তে আয়রন প্রশমিত করতে এবং অন্যান্য উপসর্গগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমাকে প্রচুর পরিমাণে ওষুধ সেবন করতে হয়। যে রক্তদান আমার জীবন বাঁচাচ্ছে সেই রক্তদানের প্রতিক্রিয়া ২০১১ সাল থেকে আমার শরীরে দেখা দেয়া শুরু হলো।আমার শারীরিক অবস্থার সবচেয়ে গুরুতর একটা সময় ছিল ২০১৬-২০১৮। তখন আমি প্রকৃত অর্থেই ঘরবন্দী হয়ে পড়ি। সে সময় ‘জিমারফ্রেইমের’ সাহায্য নিয়ে আমাকে হাঁটতে হতো, শাওয়ারের মাঝখানে বিরতি নিতে হতো এবং খাবার খেতেও আমার সাহায্য নিতে হতো।”
“এই দুই বছরে আমাকে সুস্থ করে তুলতে ২৪৮ ইউনিট রক্ত আমাকে দেয়া হয়েছে। যেহেতু আমার রক্তের সাথে মিলিয়ে রক্তনিতে হতো তাই বিষয়টি সহজ ছিল না। কারণ এটি যোগানের জন্য ইংল্যাণ্ডে পর্যাপ্ত সংখ্যক কৃষাঙ্গ এবং এশিয়ান বংশোদ্ভুত রক্তদাতা ছিলেন না।”
“আপনি কি জানেন, রক্তদান কত সহজ এবং এর মাধ্যমে কত সহজেই বহু জীবন বাঁচানো সম্ভব। তাই আমার আহ্বান থাকবে, যারা রক্তদানে সক্ষম তারা যেন www.blood.co.uk ওয়েবসাইটে তাদের নাম নিবন্ধিত করেন।”
থ্যালাসেমিয়া প্রধানত দক্ষিণ এশীয় ভূমধ্যসাগরীয় এবং মধ্যপ্রাচ্যের বংশোদ্ভূত মানুষের মধ্যে হয়। পিতামাতা দুজনেরই জিন (যা বংশগতির ধারক)-এর মধ্যে এটি থাকলে তা তাদের সন্তানের মধ্যেও সঞ্চারিত হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা (স্ক্রীনিং)-এর মাধ্যমে অথবা জন্মের পরপরই পায়ের গোড়ালিতে সূচ ফুটিয়ে রক্তপরীক্ষা (প্রিক টেস্ট) করে এই রোগ নির্ণয় করা যায়। এমন যদি হয় যে, আপনি সন্তান নিতে চাইছেন অথবা শীঘ্রই সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন তাহলে আপনি থ্যালাসেমিয়ার বাহক কিনা তা আপনার জিপি প্র্যাকটিস অথবা মিডওয়াইফের সাথে কথা বলে জেনে নেয়াটা খুবই জরুরী। আগেভাগেই রোগ নির্ণয় করার অর্থ হচ্ছে মা এবং শিশু উভয়েরই জীবনমানের উন্নয়নের জন্য আগেভাগেই চিকিৎসা।
“আমি আমার জীবনকে পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করে বাঁচতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং এক্ষেত্রে আমার পরিবারের সমর্থন পেয়ে আমি ধন্য। নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেও আমি ক্লিনিকাল হেলথ সাইকোলজিতে স্নাতক সম্পন্ন করে স্নাতকধারীদের জন্য পেশাদার প্রশিক্ষণ শেষ করেছি। আমি থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত এবং রক্তের জিনগত সমস্যা নিয়ে জীবন যাপনকারীদের সহায়তা দান এবং তাদের হয়ে কথা বলার কাজটি অব্যাহত রেখেছি।”
থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে আরও জানতে ইউকে থ্যালাসেমিয়া সোসাইটি (ইউকেটিএস)-এর ওয়েবসাইট দেখুন UK Thalassaemia Society (UKTS)
আপনি যাতে আপনার সন্তানের অনুভূতি, আচরণ, বিকাশ কিংবা দীর্ঘমেয়াদী সমস্যায় সাহায্য করতে পারেন সেজন্য সহায়তা পেতে আপনার জিপি প্র্যাকটিস, সন্তানের স্কুল কিংবা অন্য কোনো পেশাদার স্বাস্থ্যকর্মীর সাথে কথা বলুন অথবা NHS 111-এ ফোন করুন।আরও তথ্যের জন্য দেখুন ওয়েবসাইটnhs.uk