স্থানীয় কমিউনিটির নিজে নিজে চলাফেরা করতে অসমর্থ ও বিপন্ন মানুষজনকে সহায়তার জন্য স্বেচ্ছাসেবী (ভলান্টিয়ার) খুঁজছে এনএইচএস (জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ) এবং ‘কেয়ার ভলান্টিয়ার্স রেসপন্ডার্স’।
এনএইচএস ‘ভলান্টিয়ার’ হিশেবে যোগ দিতে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন:
বিভিন্ন এলাকায় অসক্ষম-অসহায় মানুষজনকে জরুরি কিছু কাজে সহায়তা দেবেন এসব স্বেচ্ছাসেবী (ভলান্টিয়ার)। এমন কাজের মধ্যে রয়েছে বাজার-সদাই করা, প্রেসক্রিপশন, ওষুধপত্র ও চিকিৎসাসামগ্রী পেতে সহায়তা দেওয়া।
এই সেবা কর্মসূচির নাম ‘দ্য ভলান্টিয়ার্স রেসপন্ডার্স’। এনএইচএস এবং স্বাস্থ্য ও সমাজসেবা বিভাগের পক্ষে এই কর্মসূচি পরিচালনা করছে ‘রয়্যাল ভলান্টারি সার্ভিস’ ও ‘দ্য গুডস্যাম অ্যাপ’। ইংল্যান্ডজুড়ে কর্মসূচীর আওতা বাড়ানো হচ্ছে।
আমরা ১০০ জন নিবেদিতপ্রাণ স্বেচ্ছাসেবী (ভলান্টিয়ার) নিতে চাই যারা সদ্য চালু করা স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রমকে সহায়তা করবেন। এই কার্যক্রমের নাম ‘কমিউনিটি রেসপন্স অ্যান্ড পিক আপ অ্যান্ড ডেলিভার’।
এই ‘কমিউনিটি রেসপন্স’ উদ্যোগের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবী বা ভলান্টিয়াররা খাদ্যপণ্য, প্রেসক্রিপশন ও ওষুধপত্র এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করে পৌঁছে দেবেন অসহায় মানুষজনের কাছে। এর মাধ্যমে তাঁদের স্বাস্থ্য ও ভালো থাকাটাকে উৎসাহিত করা হবে।
‘পিক আপ অ্যান্ড ডেলিভার’-এর মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবীরা (ভলান্টিয়ার) এনএইচএসের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ওষুধ এবং ক্ষুদ্র চিকিৎসাসামগ্রী সংগ্রহ করে মানুষজনের বাড়িতে বা কমিউনিটি কেন্দ্রে পৌঁছে দেতে সহায়তা করবেন। এর মাধ্যমে তাঁরা হাসপাতাল থেকে রোগীর ছাড়া পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন এবং একই সাথে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোধ করতে সহায়তা করবেন।
আমাদের সাথে এই স্বেচ্ছাসেবার কাজটা হবে একেবারে শিথিল এবং এর ব্যবস্থাপনা করা যাবে ‘গুডস্যাম স্মার্টফোন অ্যাপের মাধ্যমে। এর ফলে স্বেচ্ছাসেবীরা (ভলান্টিয়ার) তাঁদের নিজ এলাকার মানুষজনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও ভালো থাকার ব্যাপারে একটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারবেন। এই কাজটা করা যাবে ভলান্টিয়ারদের নিজেদের সুবিধামতো সময়ে এবং এলাকায়।
‘কমিউনিটি রেসপন্স অ্যান্ড পিক আপ অ্যান্ড ডেলিভার’ কর্মসূচি প্রাথমিকভাবে চালু করা হয়েছিল করোনা মহামারীর সময়ে, ঘরে আটকে পড়া বিপন্ন, অসহায় মানুষজনকে সহায়তা দেয়ার জন্য। ওই সময়ে অতি অসহায় এসব মানুষকে সহায়তা করতে এগিয়ে এসেছিলেন অনেক বীর স্বেচ্ছাসেবী।
রয়্যাল ভলান্টারি সার্ভিসের ডেপুটি সিইওর দায়িত্বে থাকা স্যাম ওয়ার্ড চলমান এই স্বেচ্ছাসেবী (ভলান্টিয়ার) সংগ্রহ অভিযানের ওপর জোর দিচ্ছেন। তিনি বলেন, “আপনার সুবিধামতো মাত্র দুটো ঘণ্টা সময় দিন। এই দুটো ঘণ্টাই আপনার এলাকার লোকজনের স্বাস্থ্যসেবা ও ভালো থাকার ক্ষেত্রে একটা প্রকৃত ব্যবধান গড়ে দিতে পারে।”
যেসব মানুষ স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন সমস্যায় আছেন, ঠিকমতো চলতে-ফিরতে পারেন না, হাসপাতালের সেবা পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন, সম্প্রতি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন বা অন্যের সাহায্য ছাড়া বাজার-সদাই করতে পারেন না, তাঁদের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য, অন্যান্য বিভিন্ন জরুরি জিনিষপত্র, প্রেসক্রিপশন ও চিকিৎসাসামগ্রী সহজে পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন স্বেচ্ছাসেবী বা ভলান্টিয়াররা।
এসব বাড়তি সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবীরা (ভলান্টিয়ার) দেশের স্বাস্থ্য ও সমাজসেবা ব্যবস্থার ওপর থেকে চাপ কমাতে সহায়তা করছেন। তাঁরা বেতনভুক্ত স্বাস্থ্য ও সেবাকর্মীদের স্থলাভিষিক্ত হওয়া ছাড়াই বিদ্যমান জনশক্তির পরিপূরক হিসেবে কাজ করছেন।
‘কমিউনিটি রেসপন্স অ্যান্ড পিক আপ অ্যান্ড ডেলিভার’ কর্মসূচির জন্য স্বেচ্ছাসেবী (ভলান্টিয়ার) সংগ্রহের কাজ এখন চলছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই কার্যক্রম শুরু হবে।
আপনি সত্যিই যদি প্রকৃত ব্যবধান গড়তে প্রস্তুত থাকেন, আপনার কমিউনিটির কল্যাণে অবদান রাখতে চান, তাহলে বিস্তারিত তথ্য পেতে ও আপনার নাম নিবন্ধিত করতে https://nhscarevolunteerresponders.org/ এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
রয়্যাল ভলান্টারি সার্ভিস
‘রয়্যাল ভলান্টারি সার্ভিস’ হচ্ছে ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় স্বেচ্ছাসেবী দাতব্য অর্থাৎ চ্যারিটি প্রতিষ্ঠান। এই সংস্থা এনএইচএস, প্রাপ্তবয়স্কদের সমাজসেবা এবং কমিউনিটিতে হাজারো অসহায় এবং বিপন্ন মানুষকে সহায়তা দিয়ে আসছে। সংস্থাটি স্থানীয় কমিউনিটিতে জনস্বাস্থ্যসেবা, সমাজসেবা ও জনকল্যাণমূলক কাজ ত্বরান্বিত করতে অপরিহার্য সেবা দিয়ে থাকে। শুরুটা হয়েছিল ১৯৩৮ সালে ‘ওমেন্স ভলান্টারি সার্ভিস’ নামে। এই দাতব্য সংস্থার রয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বেসামরিক মানুষজনকে সহায়তা করার দীর্ঘ ইতিহাস।
বর্তমানে এই সংস্থার এনএইচএস স্বেচ্ছাসেবীরা (ভলান্টিয়ার) রোগীদের নানা ধরনের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এসবের মধ্যে রয়েছে, সঙ্গ দেওয়া, চলাফেরার ক্ষেত্রে পরিবহনে সহায়তা, শরীরচর্চার সেশন এবং হাসপাতালে থেকে ছাড়া পাওয়া অসহায় রোগীদের সহায়তা। হাসপাতালে এসব কার্যক্রমের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবীরা স্থানীয় কমিউনিটিতে শরীরচর্চার ক্লাস, ডাইনিং ক্লাব এবং সামাজিক বিভিন্ন গ্রুপ পরিচালনা করে থাকেন। এসবের মাধ্যমে অধিকতর উন্নত স্বাস্থ্য, সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধি ও পারস্পরিক সংযোগ এগিয়ে নেওয়ার কাজ করে থাকেন তারা।
‘রয়্যাল ভলান্টারি সার্ভিস’ সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে https://www.royalvoluntaryservice.org.uk/ ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।