☀ We are Hiring ☀

PROJECT COORDINATOR

Bengali Drama: Narratives of Time (1963–2013)
Location: East London
Salary: £36,996 pro rata
Hours: 17.5 per week; Duration:18 months

For an application pack:

Email: info@artswithoutborders.co.uk
Deadline: 8 December 2024, 11:59 pm
Only successful applicants will be contacted
Online Interviews to be conducted on 13 December 2024

শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

স্বাস্থ্য

ভ্যাকসিন সম্পর্কে আপনি কী জানেন?

২৩ জুন ২০২৩ ১১:৪০ অপরাহ্ণ | স্বাস্থ্য

বিগত তিন বছর ধরে আমরা অনেকেই ভ্যাক্সিনেশন বা টিকাদান নিয়ে আলোচনা করেছি। কিন্তু ভ্যাকসিন সম্পর্কে আমরা কতটুকু জানি? উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, এনএইচএস কেন ভিন্ন ভিন্ন ভ্যাকসিন দিয়ে থাকে এবং সেগুলো মানুষের শরীরে কিভাবে কাজ করে?

ভাইরাস বা জীবাণু থেকে সুরক্ষার জন্য ভ্যাক্সিনেশন কোন আধুনিক সমাধান নয়

শত শত বছর থেকে ভ্যাকসিনের ব্যবহার হয়ে আসছে। বিশ্বের প্রথম স্বীকৃত ভ্যাকসিন হচ্ছে স্মলপক্স বা গুটি বসন্তের ভ্যাকসিন যা ১৭৯৬ সালে ব্যবহৃত হয়। ১৯৭৭ সালে সর্বশেষ ব্যক্তি স্বাভাবিকভাবে স্মলবক্স বা গুটি বসন্তের জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হন। এছাড়া আরও বেশি সংখ্যক মৃত্যুর জন্য দায়ী পোলিও এবং মিজেলস-এর মত রোগ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন আমাদের সুরক্ষা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এটি আমাদের এখন দেখিয়ে দিচ্ছেন যে, ভ্যাকসিন সারা বিশ্বজুড়ে আমাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটিয়েছে এবং পানিবাহিত রোগবালাই ছাড়া অন্য যেকোনো স্বাস্থ্য সুরক্ষার চেয়ে ভ্যাকসিন বেশি জীবন রক্ষা করেছে।

ভ্যাক্সিনেশন কিংবা টিকাদান প্রতিরোধক নিরাময় নয়

ভ্যাকসিন কিভাবে কাজ করে তা ব্যাখ্যা করেছেন ইমিউনোলজির অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এবং ব্রিটিশ সোসাইটি ফর ইমিউনোলজির সদস্য ডাক্তার ডোনাল্ড পালমার।
“আমাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা (ইমিউন সিস্টেম)-কে কোন ভাইরাস বা জীবাণুকে চিনতে পারা এবং তা থেকে নিজেকে রক্ষা করার বিষয়টি ভ্যাকসিন শিখিয়ে দেয়। ভিন্ন ভিন্ন ভ্যাকসিন আপনার শরীরকে ভিন্ন ভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করে থাকে। এর ফলে আপনি যখন কোন রোগের সংস্পর্শে আসেন তখন আপনার প্রতিরোধ ব্যবস্থা অর্থাৎ ইমিউন সিস্টেম ওই রোগের ব্যাকটেরিয়া অথবা যে ভাইরাসটি তার কারণ সেটি ধ্বংস করতে প্রয়োজনীয় এন্টিবডি এবং কোষ বা সেল তৈরি করে।”

যুক্তরাজ্যে ব্যবহৃত সকল ভ্যাক্সিনেশন কঠোরভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা

ডাক্তার পালমার আরো বলেন, “যুক্তরাজ্যে ব্যবহৃত সবগুলো ভ্যাকসিন জনগণকে দেওয়ার আগে বিভিন্ন বয়স, লিঙ্গ এবং কৃষ্টির হাজার হাজার মানুষের উপর কঠোরভাবে পরিচালিত নানাবিধ (সিরিজ) পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে গেছে।”

ডাক্তার পালমার প্রায়শই আরেকটি প্রশ্নের মুখোমুখি হন। আর সেটি হচ্ছে, কোভিড মহামারীর প্রাদুর্ভাব চলাকালে এত তাড়াতাড়ি কিভাবে ভ্যাকসিন তৈরি করা সম্ভব হলো? এর জবাব হচ্ছে- “করোনাভাইরাস এবং এর প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার আগেই কিভাবে সেটি  মোকাবেলা করা যায় সে সম্পর্কে বিশ্বজুড়ে গবেষকরা আগে থেকেই অনেক কিছু জানতেন। তাই দুনিয়াব্যাপী এই ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে গবেষকরা এসব তথ্য নিজেদের মধ্যে আদান-প্রদান করেছেন।”

“এছাড়া এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করেছেন যার ফলে অনুমোদন প্রক্রিয়া অনেক দ্রুত সম্পন্ন হয়েছে।”

কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন যেখানে বহু জীবন বাঁচিয়েছে তথাপি এই ভাইরাস মানুষকে গুরুতর অসুস্থ করে তুলতে পারে। তাই আপনি এবং আপনার পরিবারের সবাই যেন প্রয়োজনীয় সুরক্ষা নেন সেটি নিশ্চিত করুন।

ভ্যাকসিন এর মধ্যে কি কি উপাদান রয়েছে তা আপনি জেনে নিতে পারেন

ভিন্ন ভিন্ন ভ্যাকসিনে ভিন্ন ভিন্ন উপাদান থাকে এবং সেগুলো কোন ভাইরাস, রোগ কিংবা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের দেহকে সহায়তার কাজে ভিন্ন ভিন্নভাবে ক্রিয়া করে। এ ধরনের অনেক ভ্যাকসিন যেমন কোভিড ভ্যাকসিনে কোন জীবন্ত ভাইরাস থাকে না। এর অর্থ হচ্ছে- ভ্যাক্সিনেশন কিংবা টিকা দেওয়ার কারণে আপনি কোন ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হবেন না। শূকর কিংবা অন্যান্য প্রাণীজ উপাদান নেই এমন অনেক ভ্যাকসিনই রয়েছে।


শিরহান হাসান একজন নার্স ম্যানেজার যিনি ইন্টারন্যাশনাল হেলথে কাজ করেন। তার কাজের একটা বড় সময় তিনি বিভিন্ন কমিউনিটির সাথে ভ্যাক্সিনেশন নিয়ে কথা বলেন এবং তাদের জন্য কোনটা সবচেয়ে ভালো সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে তাদেরকে সহায়তা করে থাকেন। যেসব মানুষ ভ্যাকসিন এবং এর মধ্যে থাকা উপাদান নিয়ে উদ্বিগ্ন তাদেরকে একজন ফার্মাসিস্ট অথবা অন্য পেশাদার স্বাস্থ্যকর্মীর সাথে কথা বলার জন্য তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন। হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট রেগুলেটরি এজেন্সির ওয়েবসাইটে কোনো বিশেষ ভ্যাকসিন কিংবা ওষুধের মধ্যে কি কি উপাদান রয়েছে তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা পাওয়া যাবে। কোন বিশেষ একটি ভ্যাকসিনের মধ্যে থাকা উপাদানের ভ্যাকসিনটি আপনি নিতে পারবেন না মনে হলে এর কোন বিকল্প আছে কিনা তা জিজ্ঞেস করুন অথবা আপনার ধর্মবিশ্বাসের কারণে সেই ভ্যাকসিনটি নিয়ে আপনার কোনো উদ্বেগ থাকলে একজন ইমাম কিংবা কোন ধর্মীয় নেতার সাথে কথা বললে তা আপনার জন্য সহায়ক হতে পারে।

বিদেশ ভ্রমণের বেলায় কোন কোন সময় আপনার নির্দিষ্ট ভ্যাক্সিনেশনটি নিতে হতে পারে

আপনি যদি অন্য কোন দেশে ভ্রমণে যেতে চান তাহলে সেদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোন বাধ্যতামূলক নিয়ম কানুন আছে কিনা সে সম্পর্কে জেনে নিতে GOV.uk ওয়েবসাইটটি দেখে নিন। এছাড়া অন্যান্য ওয়েবসাইট যেমন Travel Health Pro দেখে আপনি জেনে নিতে পারবেন এক্ষেত্রে কোন বিশেষ ভ্যাক্সিনেশনের সুপারিশ রয়েছে কিনা এবং সেদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোন বিশেষ ভ্যাক্সিনেশন নেয়ার প্রমাণ দেখাতে হবে কিনা।

বয়স বাড়ার সাথে সাথে নির্দিষ্ট রোগ প্রতিরোধের জন্য আপনাকে ভ্যাক্সিনেশন ‘অফার’ করা হবে

ডা. পালমার বলেন, “জন্ম থেকে শুরু করে জীবনের সকল পর্যায়ে আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের ভ্যাক্সিনেশন দেয়া হয়ে থাকে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদেরকে নির্দিষ্ট ভ্যাক্সিনেশন অফার করা হয় কারণ তখন আমরা ভাইরাসজনিত রোগ যেমন কোভিড, নিউমোনিয়া এবং শিঙ্গলস-এ আক্রান্ত হবার অধিক ঝুঁকির মুখে থাকি এবং এসবে আক্রান্ত হলে গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।”

বাদ পড়ে যাওয়া কোন ভ্যাক্সিনেশন নিতে আপনি সমর্থ হতে পারেন

এনএইচএস-এর দেওয়া ভ্যাক্সিনেশনগুলোর পূর্ণ তালিকা এবং কখন সেগুলো দিতে হবে সেসব তথ্য NHS.uk ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
আপনার নিজের, আপনার সন্তান কিংবা আপনার পরিবারের কোনো সদস্য যার পরিচর্যায় আপনি সহায়তা করে থাকেন তার সবগুলো নিয়মিত ভ্যাক্সিনেশন নেয়া হয়েছে কিনা সে আপনি নিশ্চিত না-ও হতে পারেন। যেমন ধরুন- ৭০ উর্ধ্বদের শিঙ্গলস থেকে সুরক্ষার জন্য অফার করা ভ্যাকসিন অথবা শিশু ও পূর্ণবয়স্কদের মিজেলস, মাম্পস এবং রুবেলা থেকে সুরক্ষার জন্য ভ্যাকসিন।


এক্ষেত্রে শিরহানের পরামর্শ হচ্ছে, “আপনার সন্তানের ‘চাইল্ড হেলথ রেকর্ড’- যেটি ‘রেডবুক’ নামেও পরিচিত- দেখে আপনি জেনে নিতে পারেন কোন কোন ভ্যাকসিন তার নেয়ার কথা। এছাড়া আপনার জিপি সার্জারিতে জিজ্ঞেস করে জেনে নিতে পারেন আপনি, আপনার সন্তান এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা কোন কোন ভ্যাক্সিনেশন নিয়েছেন। এক্ষেত্র কোনো ভ্যাকসিন অথবা তার কোনো ডোজ বাদ পড়ে থাকলে সেটি দেবার ব্যবস্থা করতে তাদের সাহায্য চাইতে পারেন।”

কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষার এখনো সময় আছে

আপনার নিজের এবং আপনার পরিবারের সদস্যদের জন্য ৩০ জুন ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নেবার সুযোগ আছে যদি:

– মাত্র একটি কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিনেশন নিয়েছেন অথবা একটাও নেননি
– বয়স ৭৫ এর বেশি, দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশু কিংবা কেয়ার হোমে থাকা পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি হলে

কিন্তু এক্ষেত্রে দ্রুত সক্রিয় হওয়া জরুরী। কারণ জুলাই মাস থেকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন শুধু সেই সব ব্যক্তিকেই দেয়া হবে যারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন।

কিছু ভ্যাক্সিনেশন একাধিকবার বা আলাদা আলাদা ডোজের মাধ্যমে দেয়া হয়

কিছু কিছু ভ্যাকসিনেশন যেমন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন, এমএমআর (মিজেল, মাম্পস এবং রুবেলা থেকে সুরক্ষার ভ্যাকসিন) একাধিক ডোজে দেয়া হয়ে থাকে।
ডা. পালমার বলেন, “ভ্যাকসিনের বাড়তি ডোজ অর্থাৎ ‘বুস্টার ডোজ’ নির্দিষ্ট কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থতা থেকে দীর্ঘমেয়াদী সুরক্ষা দেয়। কোন নির্দিষ্ট ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্রমশ কমে যাওয়া এই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার পেছনে একটি বড় কারণ হতে পারে। অথবা হতে পারে রোগটিই নিজেকে বদলে নিয়েছে। তাই আরেকটি ভ্যাকসিন দেয়া হয় যাতে ভাইরাসকে ভালোভাবে মোকাবেলা করা যায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, এ কারণেই যারা উপযুক্ত তাদেরকে প্রতিবছর ফ্লু ভ্যাকসিন ‘অফার’ করা হয়ে থাকে।

“অনুরূপ কারণে আগে ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে থাকলেও আমি তাদেরকে ভ্যাক্সিনেশন নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। কারণ আমরা জানি না, একটি নির্দিষ্ট ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কত সময় স্থায়ী হবে। আমরা জানি, কোভিড-১৯ আরো কিছু রোগের বেলায় সময়ের সাথে সাথে আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে।

আপনার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বুক করতে NHS App ব্যবহার করুন অথবা অনলাইনে nhs.uk/COVIDVaccination ভিজিট করুন কিংবা ১১৯ (ফ্রি) নম্বরে ফোন করুন। আপনার নিজের, আপনার সন্তানের কিংবা পরিবারের কোন সদস্যের অন্য কোন ভ্যাকসিনেশন বাদ পড়ে থাকলে পরামর্শের জন্য আপনার জিপি সার্জারিতে কথা বলুন।

ভ্যাক্সিনেশন কিভাবে কাজ করে তা জানতে ব্রিটিশ সোসাইটি অফ ইমিউনোলজির ইউটিউব চ্যানেলে এই অ্যানিমেশন চিত্রটি দেখুন যেখানে ডা. পালমার কথা বলেছেন।

কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিতরণে বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশনের ভূমিকা

ব্রিটেনে ব্রিটিশ বাংলাদেশী রেস্টুরেন্ট মালিকদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশন (বিসিএ) প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬০ সালে। কোভিড-১৯-এর সময় এই সংগঠনটি কমিউনিটিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলো। এ ব্যাপারে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট জনাব এম এ মুনিম বলেন, ‘যুক্তরাজ্যসহ সারাবিশ্বে আমরা বাংলাদেশী কমিউনিটির উপর কোভিড-১৯ ভাইরাসের অসম এবং জীবনবিধ্বংসী প্রভাব দেখেছি। ফলে পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা সহযোগিতার করতে চেয়েছি।’

এম এ মুনিম আরো বলেন,  ‘ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়া থেকে রক্ষা করা কিংবা মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ভূমিকা ছিল অসাধারণ। ফলে ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকার জন্য সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং কোভিড-১৯ এর গুনাগুন ও কার্যকারিতা সম্পর্কে আমাদের কর্মী, ক্রেতা সাধারণ এবং কমিউনিটির মানুষের সঙ্গে কথা বলা বা মতবিনিময় করার জন্য ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আমরা এনএইচএস-কে প্রস্তাব দিয়েছিলাম, যাতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সম্পর্কে মানুষের মধ্যে আস্থা বাড়ে। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কিভাবে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে সে সম্পর্কে ধারণা দিতে আমরা নিজেদের ভ্যাকসিন নেয়ার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও অন্যদের সাথে ভাগাভাগি করেছি।’

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যে প্রায় বারো হাজার রেস্টুরেন্ট এবং টেকওয়েতে প্রায় ১ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মানুষ কাজ করছেন ।

এম এ মুনিম আরো বলেন, ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের বিষয়ে এবং মহামারীর সময়ে সবার জন্য নিরাপদে ও সুস্থ  থাকার জন্য সাংস্কৃতিকভাবে সংবেদনশীল বার্তা তৈরি করতে আমরা এনএইচএসকে সহযোগিতা করেছি। জনমনে আস্থা বাড়াতে বিসিএ’র সদস্যরা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কার্যক্রমের ছবি এবং ভিডিও তৈরী করে যার যার নিজস্ব নেটওয়ার্ক এবং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার করেছেন । পাশাপাশি ভ্যাক্সিনেশনের ব্যাপারে এনএইচএস-এর অফিসিয়াল বার্তাও প্রকাশ এবং প্রচার করেছেন তারা।’

বিসিএর উল্লেখযোগ্য উদ্যোগের মধ্যে ছিলো আমাদের বিখ্যাত ‘জাব-এ -জালফ্রিয়াজি’ প্রচারণা এবং অনলাইনে পরিচালিত ভ্যাকসিন বিষয়ক কোভিড-১৯ প্রশ্নোত্তর ফোরামের কার্যক্রমে সমর্থন দান। আমরা এর দুটি পর্বে অংশও নিয়েছি। ২০২১ সালের পবিত্র রামাদান মাসে পরিচালিত এই প্রশ্নোত্তর ফোরামের মাধ্যমে আমাদের কমিউনিটি সরাসরি প্রফেসর ক্রিস হুইটি এবং ড. নিক্কি কানানির কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং সাংস্কৃতিকভাবে স্পর্শকাতর তথ্য জানতে সক্ষম হয়েছে। আমরা মানুষকে ভ্যাকসিন সম্পর্কে আরো বেশী জানতে সমর্থ করেছি এবং একই সাথে রামাদান শেষে ঈদ উদযাপনের সময় কিভাবে ভাইরাসের আক্রমণের ঝুঁকি কমানো যায় সে সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে নিতে তাদেরকে সমর্থ করেছি। 

আরও পড়ুন

১৫ই আগস্ট ঘিরে উত্তাপ

সরকারের সামনে চ্যালেঞ্জ মতিউর রহমান চৌধুরী ♦ লণ্ডন, ১২ আগস্ট: ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আকস্মিক সরকার পতন। এর জেরে অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল নানা ক্ষেত্রে। নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর সেই অস্থিরতা কেটে যাচ্ছে ধীরে...

বাংলাদেশীরা বলির পাঁঠা?

বাংলাদেশীরা বলির পাঁঠা?

লেবার লিডার কিয়ার স্টারমারের চরম আপত্তিকর মন্তব্যে ব্রিটেনজুড়ে কমিউনিটিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া পত্রিকা প্রতিবেদন ♦ লণ্ডন, ০১ জুলাই: আগামী ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে এমনিতেই ফিলিস্তিনের গাজা ইস্যুতে লেবার পার্টির ভূমিকা নিয়ে...

চাপে রুশনারা, নির্ভার আপসানা

চাপে রুশনারা, নির্ভার আপসানা

৪ জুলাইর নির্বাচনে মুসলিম ভোটের নির্ধারক হবে গাজা ইস্যু পত্রিকা প্রতিবেদন ♦ লণ্ডন, ১০ জুন: আগামী ৪ জুলাই অনুষ্ঠেয় পার্লামেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীতা দাখিল চূড়ান্ত হয়েছে। ৭ জুন চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। লেবার দলীয় চার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত...

মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ও সম্ভাবনাকে পদদলিত করে উল্টো পথে চলছে বাংলাদেশ

মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ও সম্ভাবনাকে পদদলিত করে উল্টো পথে চলছে বাংলাদেশ

লণ্ডনে সিপিবি’র জনসভায় মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম সারওয়ার-ই আলম ♦ লণ্ডন, ৪ এপ্রিল: বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)-এর প্রাক্তন সভাপতি ও বর্তমান সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ও সম্ভাবনাকে পদদলিত করে উল্টো পথে চলছে বাংলাদেশ।...

স্থানীয় বাংলাদেশী কমিউনিটির প্রতিবাদের মুখে গ্রেটার ম্যানচেস্টরের রচডেল কাউন্সিল কার্যালয়ে ঠাঁই হলো বাংলার

স্থানীয় বাংলাদেশী কমিউনিটির প্রতিবাদের মুখে গ্রেটার ম্যানচেস্টরের রচডেল কাউন্সিল কার্যালয়ে ঠাঁই হলো বাংলার

পত্রিকা প্রতিবেদন ♦ লণ্ডন, ২৫ মার্চ: স্থানীয় বাংলাদেশী কমিউনিটির প্রবল প্রতিবাদের মুখে রচডেল কাউন্সিল কার্যালয়ের স্বাগতবার্তায় অবশেষে বাংলা যুক্ত করা হয়েছে। অন্যান্য ভাষার সাথে বাংলায় ‘স্বাগতম’ লেখাটিও এখন সেখানে শোভা পাচ্ছে।  কাউন্সিল কার্যালয়ের...