লন্ডনের চিঠি
সাগর রহমান ♦
গত বছর হঠাৎ সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্ট থেকে বাসায় চিঠি এলো। খামের উপরে কোর্টের সিল মারা দেখে বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে ভাবতে শুরু করলাম- নিজের জ্ঞাতে কিংবা অজ্ঞাতে কোনো অপকর্ম করেছি কি-না! চিঠি খুলতেই অবশ্য উদ্বেগ দূর হয়ে গেলো। জানতে পেলাম, আগামী অমুক তারিখে আমাকে সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্ট সকাল সাড়ে আটটার সময় তাদের কোর্টে তলব করেছে। একটা মামলায় জুরি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। চিঠির সাথে বেশ কিছু কাগজ-পত্র। আমার পরিচিত কাউকে যেহেতু কখনো জুরি হিসেবে দায়িত্ব পালন করার কথা শুনিনি, তাই দ্রুত গুগলে সার্চ করে এদেশের জুরি নির্বাচনের বিষয়টা জানতে বসলাম। জানা গেল, এদেশের ভোটার লিস্টে নাম থাকা ব্যক্তিদের মধ্য থেকে অনেকটা লটারির মাধ্যমে নাম নির্বাচন করা হয় জুরির দায়িত্ব পালন করার জন্য। এবং আরো জানা গেল, যদিও চিঠিতে ঐ সময়ে কোর্টে উপস্থিত থাকার কথাটি ‘প্লিজ‘ শব্দ সহযোগে অনুরোধ হিসেবে পড়া যাচ্ছে, তবে আসলে এ একরকম আদেশই। চিঠির সাথে বেশ কিছু কাগজপত্র। কোথায় যেতে হবে, গিয়ে কী করতে হবে, কী করা যাবে, কী করা যাবে না- এমন বেশ কিছু দিক নির্দেশনার সাথে আছে যে কয়দিন জুরি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে, সেই কয়দিনের সম্মানি বাবদ কত টাকা দাবি করা যাবে, এবং সে টাকা কীভাবে দাবি করতে হবে- তার বিস্তারিত নিয়ম কানুন। এছাড়া কীভাবে ঐ কয়দিনের জন্য নিজের অফিস থেকে ছুটি নিতে হবে (এ ধরনের কাজের জন্য অফিস ছুটি দিতে বাধ্য)- সে সংক্রান্ত কাগজপত্র। লটারিতে নাম উঠে এসেছে- বিষয়টা ভাবতেই বেশ কৌতুকের সংগে মনে পড়ল, জীবনে একটা লটারিতেও কোনো দিন নাম উঠল না, আর এই জুরি নির্বাচনের লটারীতে নাম উঠে গেলো? পরক্ষণে মনে পড়লো, লটারির টিকেটই তো কিনি না কখনো, নাম উঠবেই বা কেমন করে! দেখলাম, কোর্টের নির্ধারিত তারিখে গিয়ে জুরির দায়িত্ব পালন করতে কারো যদি বিশেষ কোনো কারণে সমস্যা থেকে থাকে, তবে কেউ চাইলে নিজের অপারগতা জানাতে পরে, কিন্তু সেক্ষেত্রে পরবর্তী অন্য কোনো সময়ে তাকে সে দায়িত্বটি পালন করতে হবে। অর্থাত, নাম যখন এসেছে, সেটা আগে কিংবা পরে, নাগরিক কর্তব্য হিসেবে পালন করতেই হবে।
‘জুরি নির্বাচিত হয়েছি’- নিজেকে কেমন গুরুত্বপূর্ণ মনে হতে লাগল। চিঠিতে থাকা নির্দেশনা অনুযায়ী ইমেইল করে নিজের সম্মতি জানিয়ে দিলাম। অফিস থেকে প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সেরে অবশেষে নির্দিষ্ট দিনে হাজির হওয়া গেলো ক্রাউন কোর্টে। জীবনে যেহেতু কোনোদিন কোনো কোর্টে আসার প্রয়োজন পড়েনি, তাই সবকিছুই দেখতে লাগলাম শিশুর কৌতুহলী দৃষ্টিতে। অন্দরে ঢোকার মুখে আগপাশতলা ‘চেক‘ করার ব্যবস্থা। ব্যাগ খুলে ভেতরের যাবতীয় জিনিস উল্টে পাল্টে দেখলেন নিরাপত্তা কর্মীরা। মেটাল ডিটেক্টরের গেট পেরিয়ে গেলে করা হলো শরীর তল্লাশি। সেই পরীক্ষায় পাশ করার পরে কোন দিকে যেতে হবে সেই নির্দেশনা পেতে পেতে দেখি হাতে অল্প সময় বাকি। তাড়াতাড়ি গিয়ে হাজির হলাম। গিয়ে দেখি, ও বাবা, হল ভর্তি মানুষ! শত শত মানুষ। একজন এসে সাথে থাকা জুরির চিঠিটি দেখে একটা তালিকার সাথে আমার নাম মিলিয়ে নিয়ে আর সবার সাথে ডাকের জন্য অপেক্ষা করতে বললেন। সব বয়সের. ধর্মের, রঙের, জাতীয়তার- হরেক মানুষের মিলন মেলা। প্রায় ঘন্টা খানেক অপেক্ষায় থাকার পর মাইক্রোফোনে একে একে নাম ঘোষণার করে কে কোন কোর্টে জুরি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে- তা জানিয়ে ডেকে নেওয়া হলো। নিজের নাম ঘোষণা হতেই এগিয়ে গেলাম। আমার কোর্ট নাম্বার ১২। আমরা মোট পনের জন। একজন এসে আমাদেরকে সেই কোর্টে নিয়ে গেল। সিনেমায় দেখা দৃশ্যের মতো অতি পরিপাটি আদালত কক্ষ। সৌম্য চেহারার জজ, ক্লার্ক, দুজন ব্যারিষ্টার। আমাদের বারো জনের মধ্য থেকে জজ সাহেব বারো জনকে বেছে নিলেন। অন্য তিনজনের কিছু অসুবিধা থাকায় তাদেরকে জুরির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। তারপর শুরু হলো আমাদের জন্য ‘ব্রিফিং‘। আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য, বিধি-নিষেধ সেসব বুঝিয়ে দেওয়ার পর আদালতে হাজির করা হলো আসামীকে।
অতি অল্প বয়সী একটা ছেলে। বড় জোর বাইশ-তেইশ বছর বয়স। রোগা শরীর। মাঝারি উচ্চতা। গালে দাড়ি। তার অপরাধ: গেল বছর এক শনিবার রাতে বন্ধুদের সাথে রাতে আনন্দ-ফূর্তি করতে বেরিয়ে সে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছে সাদা পোশাকের পুলিশের সাথে। বাদানুবাদের এক পর্যায়ে সে পুলিশ সদস্যকে ধাক্কা মেরেছে, মাথায় চাটি মেরেছে। পুলিশ সদস্যকে আঘাত করায় পুলিশ তার নামে মামলা করেছে। এতদিন পর কেইস কোর্টে উঠেছে।
তুলনায় অতি ছোট মামলা। তিনদিন ধরে শুনানি চলল। এই তিনদিন প্রতিদিন নয়টা বাজতে না বাজতে কোর্টে এসে হাজির হই। কোর্ট শেষ হয় তিনটার দিকে। মাঝখানে লাঞ্চ ব্রেক। লাঞ্চও কোর্টের খরচে। এর মাঝখানে বাদী এবং বিবাদী পক্ষের বাদানুবাদ শুনি। দুইজন ব্যারিস্টরের কথা-বার্তাই মুগ্ধ হয়ে শোনার মতো। আমার একবার মনে হয়- এ ঠিক কথা বলছে, পরক্ষণে মনে হয়- ও ঠিক কথা বলছে। বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য স্বাক্ষী দিলেন। ছেলেটার কথা শোনা হলো। বেচারাকে দেখে আমার কী মায়া যে লাগছিল! বিশেষত যখন শুনলাম- ও সদ্য ইউনিভার্সিটি থেকে এরোডাইনামিক্সে পাশ করে সিভিল এভিয়েশান-এ ইন্টার্নি করার জন্য অপেক্ষা করছে, কিন্তু এই কেইসের ঝামেলায় পড়ার কারণে তার সিকিউরিটি ক্লিয়ারিংস হচ্ছে না বলে নিয়োগ আটকে আছে! ভাগ্য ভালো, কেইসের অন্যতম স্বাক্ষী হিসেবে কয়েক মিনিট লম্বা দুটো ভিডিও ক্লিপ ছিল। সেগুলো আমাদেরকে দেখানো হলো। ভিডিওর প্রতি সেকেন্ডের বর্ণনা দেওয়া হলো। অত:পর তিনদিন শুনানির পর চতূর্থ দিন ভিডিও ক্লিপ সহ আমাদেরকে একটা বিশেষ গোপন কক্ষে ঢুকিয়ে বলা হলো, যতক্ষণ না আমরা কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাচ্ছি, ততক্ষণ এই ঘর থেকে বেরুনো যাবে না। আমাদেরকে বিশেষভাবে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, যদি আমাদের মনে আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করার বিষয়ে কোনো সন্দেহ থাকে, তবে তাকে নির্দোষ বলে রায় দেওয়া উচিত। অন্য কথায়, দোষী বলে রায় দেবার আগে আমাদের মনে যেন বিন্দুমাত্র সন্দেহও না থাকে।
আমরা বারোজন মানুষ, এদের মধ্যে পাঁচজন মহিলা। বারোজন মানুষই ভিন্ন ভিন্ন শ্র্রেণী পেশার, বয়সের, দেশের। আমরা একটা বড় টেবিলকে ঘিরে বসলাম। প্রত্যেকের সাথে আদালত থেকে দেওয়া খাতা ও কলম। রুমে চা-কফির ব্যবস্থা। লাগোয়া টয়লেট। দেওয়ালে একটা বড় স্ক্রিণের টেলিভিশন। সেটাতে ভিডিও ক্লিপ চালানোর আয়োজন করে দেওয়া হলো। আমাদের যদি কোনো প্রয়োজন হয়, বা আমরা যদি সিদ্ধান্তে পৌঁছি, তবে একটা বেল টিপে আদালতের দায়িত্ব থাকা ভদ্রলোককে ডাকতে হবে। এর বাইরে বাইরের জগতের সাথে আপাতত আমাদের সব যোগাযোগ রহিত করা হলো।
আমাদের মধ্য থেকে একজনকে মুখপাত্র নির্বাচন করা হলো- যে আলোচনা পরিচালনা করবে, এবং আমাদের সিদ্ধান্তের ফলাফল আদালতে পেশ করবে। এরপর শুরু হলো আমাদের আভ্যন্তরীন আলোচনা। আদালতে শোনা পক্ষ-বিপক্ষের বাদানুবাদ থেকে লিখে রাখা নোটের সাথে ভিডিওটি বার বার দেখে আমরা নিজেদের চিন্তা গুছিয়ে নিতে লাগলাম। এরপর প্রত্যেকে মত প্রকাশ করতে লাগলেন। নিজেকে মনে হতে লাগলো টুয়েলভ এংরি ম্যান- সিনেমার চরিত্রের মতো।
ভিডিও দেখা যাচ্ছে: একটি নাইটক্লাবের সামনে, রাত বারোটার দিকে, প্রবল ভীড়ের মধ্যে ছেলেটি একজন পুলিশ সদস্যকে (সাদা পোশাক) পেছন থেকে পিঠে স্পর্শ করে কিছু একটা বলছে। এর এক/দুই সেকেণ্ডের মধ্যে আরেকজন পুলিশ (সাদা পোশাক) প্রায় উড়ে এসে তাকে ধাক্কা দিয়ে এক দিকে নিয়ে গেল। তারপর নিমেষে মাটিতে ফেঁড়ে ফেলল। তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হতে না হতে আরো দুজন পুলিশ (ইউনিফর্ম পরা) দৌড়ে এলো দুইদিক থেকে। এ পর্যায়ে ছেলেটি সাদা পোশাকধারী পুলিশ, যে তার পায়ের দিকে বসে তাকে মাটিতে আটকে রেখেছে, তার মাথায় ধাক্কা দিয়েছে নিজেকে মুক্ত করার জন্য। ঝামেলা হয়েছে মূলত এই জায়গাটাতে। মাটিতে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া পুলিশের ভাষ্য, তারা ভেবেছে ছেলেটি তার কলিগকে পিঠে কিছু দিয়ে আঘাত করতে চাচ্ছে (যদিও পরবর্তীতে তাকে তল্লাশি করা হলে আঘাত করার মতো কিছু পাওয়া যায়নি), সে জন্যই সে পাশ থেকে ব্যাপারটা দেখতে পেয়ে দৌড়ে এসে ছেলেটিকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে নিয়ে মাটিতে আটকে ফেলে নিরস্ত করতে চেয়েছে। কিন্তু তাও সে নিরস্ত হয়নি, বরং পুলিশ সদস্যকে তার কর্তব্য কর্মে বাধা দিয়েছে। আসামী পক্ষের ভাষ্য, আসামী পিঠে স্পর্শ করে কর্তব্যরত ঐ পুলিশকে কিছু একটা জিজ্ঞেস করতে গিয়েছিলো, কিন্তু কিছু বুঝে উঠার আগে একটা লোক (আসামীর মতে, সাদা পোশাকের লোকটা যে পুলিশ- সেটা সে বুঝতে পারেনি) তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। সে তাই নিজেকে মুক্ত করার জন্য আক্রমণ কারীর মাথায় আঘাত করে।
আমাদের কর্তব্য হলো: দুই পক্ষের আলোচনা শোনা পর এবার ভিডিওটি আরো ভালো করে, পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছা যে: ছেলেটি কি আসলেই বুঝতে পারেনি যে এই সাদা পোশাকের লোকটা একজন পুলিশ! পুলিশের গায়ে হাত তোলা, তার কর্তব্যে বাধা দেওয়া আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। ভিডিওর ছবি, এবং কথা-বার্তা একটু খেয়াল করে দেখে আমরা অচিরেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারলাম যে, বেচারা আসলে নির্দোষ। এত ভীড়ের মধ্যে সাদা পোশাকের একজন লোককে পুলিশ সদস্য বলে চেনা পুরোপুরি অসম্ভব। তারওপর লোকটা নিজের পরিচয়ও দেয়নি। বরং কিছু পুলিশ যে মাঝে মাঝে অতি সপ্রতিভ হতে গিয়ে সাধারণ মানুষের উপরে অহেতুক চড়াও হয়ে পড়ে, এটা তেমনি একটা কেইস। তারওপর ছেলেটি জাতিতে ও চেহারায় মধ্য আফ্রিকার কোনো দেশের বংশোদ্ভূত। নিরীহ মানুষের সাদা চামড়ার পুলিশের অন্যায় আক্রমণের শিকার হওয়ার বহু নজির আছে পশ্চিমা বিশ্বে। আমাদের মধ্যে কেবল দুইজন এত সহজে আমাদের সাথে একমত হলেন না। আমরা প্রায় চার ঘন্টা আলোচনা -পর্যালোচনা করলাম। তারপরও তিনি রাজি না হওয়ায়, এদিকে কোর্টের সেদিনকার মতো সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় আমাদেরকে বলা হলো- পরদিন সকালেও আমরা জুরিকক্ষে আলোচনা চালিয়ে যাব। এর মধে কোনো কাক-পক্ষীর সাথেও যেন এ বিষয়ে আলোচনা না করি – তা বারবার মনে করিয়ে দেওয়া হলো। পরদিন অবশ্য আর সময় লাগলো না। মাত্র ঘন্টাখানেকের ব্যবধানে ভিন্ন মত পোষণ করা একজন তার সিদ্ধান্ত বদলে আমাদের পক্ষে মত দিলেন। কিন্তু অন্যজন অনড় রইলেন। তার একটাই দাবী: তিনি ছেলেটির নির্দোষ হবার বিষয়ে নিশ্চিত নন। সে অবস্থাতেই আমরা আবার আদালতে ফেরত গেলাম, এবং বিচারককে জানিয়ে দেওয়া হলো যে এগারোজন জুরি মনে করেন, ছেলেটি নির্দোষ। আমাদের মুখপাত্র যখন এ কথা আদালতে পড়ে শোনাচ্ছে, আমি এক দৃষ্টিতে আসামী ছেলেটির দিকে তাকিয়েছিলাম। মাত্র এক সেকেণ্ডের ব্যবধানে কারো মুখভঙ্গি যে এমন পাল্টে যেতে পারে, তা খুব খেয়াল করে না দেখলে আমি বিশ্বাস করতে পারতাম না। যেই সে শুনলো যে এগারোটি ভোট তার পক্ষে, আমি স্পষ্টত দেখলাম, একটা গাঢ় কালো ছায়া ঝট করে মুখ থেকে সরে গেলো। তার শরীরটি উঁচু হয়ে উঠল অন্তত ছয় ইঞ্চি, স্পষ্টতই একটা বিশাল কোনো ভারী পাথর সরে গেলো ওর গায়ের উপর থেকে। প্রায় অনুল্লেখ্য একটা হাসি, এক ঝটকা সে তাকালো আমাদের দিকে, তারপর দ্রুত চোখ সরিয়ে নিলো, আর ঐ এক পলকের মধ্যেই আমি দেখে নিলাম- কী কৃতজ্ঞতা ঐ চোখে, মুখভঙ্গিতে।
আমাদেও একজনের ‘না‘ ভোটে কিছু হেরফের হলো না। ছেলেটি মুক্তি পেয়ে গেলো। এক রাত্রির একটি সামান্য ভুলের জন্য তার জীবন দূর্বিষহ হয়ে পড়তে পারতো, জীবনে ভালো কোথাও চাকুরি করতে গেলে এই মিনিট কয়েকের ভুল তাকে টেনে ধরে রাখতো। বাড়ি ফিরতে ফিরতে একটি তরুণের উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় জীবনের পথে একটি বাধা দূর করতে পেরে কী ভাল যে লেগেছিল আমার, তার কোনো তুলনা হয় না!
লণ্ডন, ৩ এপ্রিল ২০২৪
লেখক: কথা সাহিত্যক