নজরুল ইসলাম বাসন
বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাদানের প্রবক্তা পাওলো ফ্রেইরি তাঁর শিক্ষাচিন্তায় বলেছেন, ডায়ালগ বা সংলাপের মাধ্যমে শিক্ষাদান
করলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী দুজনেই তাদের নিজেদের বদলাতে পারবে। শিক্ষক শুধু বক্তৃতা দিবেন আর ছাত্ররা তা মুখস্ত করবে
পাওলো ফ্রেইরি এই শিক্ষা পদ্ধতির বদলে সংলাপের মাধ্যমে শিক্ষাদানের জন্যে তাগিদ দিয়েছেন। পাওলো তার তত্ত্বে¡ বলেছেন,
ব্যাংকিং পদ্ধতির শিক্ষা প্রকৃত শিক্ষা নয়। শিক্ষক উপর থেকে বক্তৃতা দিয়ে জ্ঞান দান করলেন, আর শিক্ষার্থীরা তা নীচে থেকে
গ্রহণ করলেন- এ ধরনের শিক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তে কথোপকথনের মাধ্যমে জ্ঞান আহরণের জন্যে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে
হবে। বেসরকারী সংগঠন বা এনজিও ‘ফ্রেণ্ডস ইন ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ সংক্ষেপে এফআইফিভিডিবি-এর
প্রতিষ্ঠাতা যেহিন আহমদ ২০১৮ সালের ২৮শে অক্টোবর না ফেরার দেশে চলে যান। জেহীন আহমদের জন্ম ১৪ এপ্রিল ১৯৫২
সালে। জীবনে যে কটা বসন্ত পার করেছিলেন যেহীন আহমদ, তাতে ফুটিয়ে গেছেন ফুল। যেহীন ভাইকে আমি চিনতাম
এফআইফিভিডিবি-এর কর্ণধার হিসাবে। ১৯৮৪ সালে আমি যখন ছড়াগাঙ চা বাগানের সহকারী ম্যানেজার হিসাবে দায়িত্ব
পালন করছিলাম তখন আমাদের বাগান সংলগ্ন ঘোড়ামারা, দলইপাড়া গ্রাম ও তার আশেপাশে পাত্র সম্প্রদায়ের মধ্যে ছিল
এফআইভিডিবির কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রকল্পসমূহ। কাজের ফাঁকে এফআইভিডিবিতে আড্ডা মারার জন্যে গেছি।
লণ্ডনে আসার পর সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত হওয়ার পর সিলেটে এফআইভিডিভির ব্যাপক কর্মকাণ্ডের কথা জেনেছি।
সেমিনার উপলক্ষে জেহীন ভাই লণ্ডনে এলে তার সাথে হাউস অব কমন্সে দেখাও হয়েছে। যেহীন ভাই অসুস্থ থাকাকালে
শেষবারের মত তার সাথে আমার টেলিফোনে আলাপ হয় ২০১৮ সালের প্রথম দিকে। ব্রাজিলিয়ান শিক্ষাবিদ ও দার্শনিক
পাওলো ফ্রেইরির ‘পেডাগজি অবদি অপ্রেসড’-এর শিক্ষা তত্ত্বে বিশ্বাস করতেন মরহুম যেহীন আহমদ। এই আদর্শে অনুপ্রাণিত
হয়ে যেহীন আহমদ সিলেটে এফআইভিডিবির প্রকল্প হিশেবে শতাধিক কমিউনিটি স্কুল গড়ে তুলেছিলেন। এখানে আরেকটি কথা
বলে নেই- সিলেটে আমরা যারা বড় হয়েছি যেহীন ভাই আমাদের কাছে এক অন্যরকমের ভালবাসার অগ্রজপ্রতীম ব্যক্তিত্ব
ছিলেন। নিভৃতচারী দূরদর্শী দার্শনিক টাইপের গজলপ্রিয় এই মানুষটি ছিলেন আমাদের সকলের প্রিয়। দূরে থাকলেও মনে হত
তিনি কাছের মানুষ। তার চলে যাওয়ার চার বছর অতিক্রান্ত হতে চলেছে তারপরও তাকে এখনও মনে পড়ে। কেন মনে পড়ে
তা বলছি। আগেই লিখেছি যেহীন ভাইর পথিকৃত দার্শনিক পাওলো ফ্রেইরির কথা। বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের জন্যে
শিক্ষাদানের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির উপর লেখা ‘পেডাগজি অবদি অপ্রেসড’ বইটির মাধ্যমে ব্রাজিলিয়ান এই দার্শনিক সারা বিশ্বের
শিক্ষাজগতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন। যেহীন আহমদ ‘ফাংশনাল লিটারেসী’ অনুসরণ করে ইনফরমাল
কমিউনিটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ‘ফাংশনাল লিটারেসী’ দর্শনের প্রবক্তা ছিলেন পাওলো ফ্রেইরি। ব্রাজিলিয়ান দার্শনিক
পাওলো ফ্রেইরি সম্পর্কে সংক্ষেপে বলা যায়, বিশ্বে নিপীড়িত মানুষের জন্যে শিক্ষা নিয়ে তাঁর লেখা ‘পেডাগজি অবদি অপ্রেসড’
বইটি ১৯৬৮ সালে পর্তুগীজ ভাষায় প্রথম মুদ্রিত হয়। পরে এই বইটি ইংরেজীতে অনুবাদ করেন মায়রা বার্গম্যান রামোস।
১৯৭২ সালে পেঙ্গুইন থেকে এর ইংরেজী অনুবাদ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে তা বিশ্বজুড়ে শিক্ষানুরাগীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
এরপর থেকে ১৯৮২ পর্যন্ত প্রতি বছরই এই বইয়ের নতুন সংস্করণ প্রকাশিত হয়ে আসছে। বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত ‘পেডাগজি
অবদি অপ্রেসড’ বইটি এখন সারা বিশ্বে আলোচিত ও অপ্রাতিষ্ঠানিক স্কুলগুলোর শিক্ষকদের গাইড বুক হিসাবে অনুসৃত।
ইউরোপ, আমেরিকা এবং ভারতেও পাওলো ফ্রেইরির শিক্ষা পদ্ধতি অনুসৃত হয়েছে। বাংলাদেশেও এর হাওয়া লেগেছে।
বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাদানের প্রবক্তা পাওলো ফ্রেইরি তাঁর শিক্ষাচিন্তায় বলেছেন, ডায়ালগ বা সংলাপের মাধ্যমে শিক্ষাদান করলে
শিক্ষক ও শিক্ষার্থী দুজনেই তাদের নিজেদের বদলাতে পারবে। শিক্ষক শুধু বক্তৃতা দিবেন আর ছাত্ররা তা মুখস্ত করবে পাওলো
ফ্রেইরি এই শিক্ষা পদ্ধতির বদলে সংলাপের মাধ্যমে শিক্ষাদানের জন্যে তাগিদ দিয়েছেন। পাওলো তার তত্ত্বে¡ বলেছেন, ব্যাংকিং
পদ্ধতির শিক্ষা প্রকৃত শিক্ষা নয়। শিক্ষক উপর থেকে বক্তৃতা দিয়ে জ্ঞান দান করলেন, আর শিক্ষার্থীরা তা নীচে থেকে গ্রহণ
করলেন- এ ধরনের শিক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তে কথোপকথনের মাধ্যমে জ্ঞান আহরণের জন্যে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
ব্রাজিলিয়ান শিক্ষক পাওলো কাজ করেছিলেন শব্দ নিয়ে। যেমন একটি শব্দ ‘ফ্লাভেলা (বস্তি) একটি সংকেত বা কোড। সংলাপের
মাধ্যমে সংকেত বেরিয়ে আসে: যেমন বস্তির ঘর, তার উপাদান, বস্তির মানুষের জীবনযাপন। নতুন নতুন শব্দ ধরে এ নিয়ে
আলোচনা করতে হবে, আর এভাবেই তৈরি হয়ে যাবে পাঠক্রম। শব্দ এখানে নিরর্থক বর্ণসমষ্টি নয়, অর্থপূর্ণ একটি বস্তুভাবের
সঙ্কেত। ধরা যাক, ইট শব্দটা নিয়ে কথোপকথন চলছে। ইট থেকে ইটভাটা, তা থেকে শ্রমিক নারী পুরুষ, তারপর তাদের
কাজের পরিস্থিতি, তা থেকে মজুরির হার। কথোপকথন এমন জায়গায় চলে যাচ্ছে যেখানে অন্যায্য মজুরি, মালিকের শোষণ,
শ্রমিক-বঞ্চনা ইত্যাদি ধাপে ধাপে এসে যাবেই। এই পদ্ধতির সাহায্যে পাওলো ১৯৬৩ সালে ব্রাজিলের একটি গ্রামের সকল
নিরক্ষর মানুষকে মাত্র ৫০ দিনের মধ্যে স্বাক্ষর করে তুলেছিলেন। ব্রাজিলের দার্শনিক পাওলো ফ্রেইরির নিপীড়িতের শিক্ষাতত্ত্ব
এত বৈপ্লবিক ধ্যানধারনা প্রসূত ও প্রগতিশীল ছিল যে তা প্রচলিত পুরোনো শিক্ষা পদ্ধতিতে কুঠারাঘাত হেনেছিল। সামরিক
জান্তা যখন ক্ষমতা গ্রহণ করলো তখন তারা পাওলো ফ্রেইরিকে দেশছাড়া করেছিল। ১৬ বছর নির্বাসনে থেকে তিনি নিজদেশ
ব্রাজিলে যখন ফিরলেন, তখন তিনি বার্ধক্যে পৌছে গেছেন। কিন্তু তার কাজ থেমে যায়নি। ব্রাজিলের এক প্রান্ত থেকে অপর
প্রান্ত পর্যন্ত ছুটে বেড়িয়েছেন পাওলো ফ্রেইরি। নিপীড়িতের শিক্ষাতত্ত্বকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্যে সাওলো
পাওলোতে গড়ে তুলেছিলেন শিক্ষা কেন্দ্র। এই শিক্ষা কেন্দ্রের দ্যুতি ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। বাংলাদেশও এই
আলোর দ্যুতি দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশে পাওলো ফ্রেইরির দর্শনের অনুসারি যারা পাওলো ফ্রেইরির দর্শনে অনুপ্রাণিত হয়ে
১৯৯০ সালে ঢাকায় গণস্বাক্ষরতা অভিযানের জন্ম হয়েছিল। ব্রাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের নেতৃত্বে এতে যুক্ত
হয়েছিলেন গণসাহায্য সংস্থার মাহমুদ হাসান, সিলেটের এফআইভিডিবির প্রতিষ্ঠাতা যেহীন আহমদ ও শিক্ষাবিদ রাশেদা কে
চৌধুরী। সাবেক তত্বাবধায়কের উপদেস্টা রাশেদা কে চৌধুরী গণ স্বাক্ষরতা অভিযান-এর নির্বাহী পরিচালক হিসাবে শক্তহাতে
নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। গণস্বাক্ষরতা অভিযানের সদস্য হচ্ছে ইউকে বাংলাদেশ এডুকেশন ট্রাস্ট। নীচে সংক্ষিপ্তভাবে তাদের কিছু
কার্যক্রমের কথা তুলে ধরছি। পাওলো ফ্রেইরির দর্শন: ইউকে বাংলাদেশ এডুকেশন ট্রাস্টের কমিউনিটি স্কুল পাওলোর
শিক্ষাপদ্ধতি নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠদান চলছে। বাংলাদেশও এর ব্যাতিক্রম নয়। বাংলাদেশে পাওলোর শিক্ষা পদ্ধতি
নিয়ে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন ব্রাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ। ব্রাক বস্তি এলাকাগুলোতে অপ্রাতিষ্ঠানিক স্কুল গড়ে
তুলেছিল। সিলেটে মরহুম যেহীন আহমদ তাঁর এফআইভিডিভির মাধ্যমে পাওলোর শিক্ষা পদ্ধতির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে
অপ্রাতিষ্ঠানিক কমিউনিটি স্কুল চালু করেছিলেন। এই রকম ‘ইনফরমাল কমিউনিটি স্কুল’ চালু করেছে ইউকে বাংলাদেশ
এডুকেশন ট্রাস্ট। শ্রমজীবী শিশুদের শিক্ষা ও পুনর্বাসন এর লক্ষ্যে ইউকে বাংলাদেশ এডুকেশন ট্রাস্টের সিলেট নগরের
কদমতলি, টুকেরবাজার, বিয়ানীবাজারে রয়েছে শিক্ষা কেন্দ্র। এই সংস্থার আরেকটি কার্যক্রম হচ্ছে- ‘ডোর স্টেপ লার্নিং
প্রোগ্রাম’। এর মাধ্যমে গৃহকর্মীদের শিক্ষাদান ও পুনর্বাসন করা হয়। সিলেট নগরীর ১৩টি ওয়ার্ডে ডোর স্টেপ লার্নিং প্রকল্পে
গৃহকর্মীদের জন্যে রয়েছে বিউটিশিয়ান প্রকল্প, সেলাই প্রকল্প। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত গৃহকর্মীরা এক সময় নিজেই
উপার্জনক্ষম হয়ে উঠেন। শ্রমজীবী শিশুদের অভিভাবকদের জন্যে রয়েছে বিনাসুদে ঋণ প্রকল্প। এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ব্যবসা যেমন-
চায়ের দোকান, পানের দোকান, রিক্সা, ঠেলা গাড়ী বা সবজির দোকানের জন্যে এসব ঋণ দেয়া হয়। শিক্ষাকেন্দ্রে শিশুদের
অভিভাবকদের সাথে নিয়মিত সভা হয়। এর মাধ্যমে কার্যক্রমের মূল্যায়ন করা হয়। ইউকে বাংলাদেশ এডুকেশন ট্রাস্টের
কর্মসূচীতে এফআইভিডিবির প্রতিষ্ঠাতা যেহীন আহমদের অনুসৃত পাওলো ফ্রেইরির আদর্শের অনুসরণের এক প্রচ্ছন্ন ছায়া
দেখতে পাওয়া যায়। ইউকে বাংলাদেশ এডুকেশন ট্রাস্টের কান্ট্রি ডাইরেক্টর আসাদুজ্জামান সায়েমের সাথে এক আলাপচারিতায়
জানা যায়, যেহীন ভাই তার সহকর্মীদের বই পড়ার জন্যে একটি তালিকা দিতেন এবং এই তালিকার মধ্যে অবশ্য পাঠ্য ছিল
পাওলো ফ্রেইরির ‘পেডাগজি অব দি অপ্রেসড’। যেহীন ভাইর বন্ধু বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: জিয়া উদ্দিন আহমদ ভাইযের কাছে
শুনেছি- এফআইভিডিবিতে কেউ প্রশিক্ষণে গেলে ‘পেডাগজি অব দি অপ্রেসড’ পড়ে ৫ শত শব্দের একটি প্রতিবেদনও লিখে জমা
দিতে হত। শিক্ষা মানে বিবেকের উন্মেষ যেহীন ভাই চলে যাওয়ার বছর চারেক হয়ে গেছে, কিন্তু তার অনুসৃত নীতি ও দর্শন
এখনও রুপায়িত করে চলেছেন এফআইভিডিবি ও তার নিবেদিতপ্রাণ বন্ধুবান্ধবরা। এর মধ্যে রয়েছেন গণস্বাক্ষরতা
অভিযানের নির্বাহী পরিচালক সাবেক তত্ত্ব¡াবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিশ্ব
সিলেট সম্মেলনের উদ্যোক্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: জিয়া উদ্দিন আহমদ ও সিলেট কিডনি ফাউণ্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব
কর্নেল সালাম বীরপ্রতীক (অব.)। সব শেষে বলব, যেহীন ভাই যেখানেই থাকুন শান্তিতে থাকুন। আপনি চলে গেছেন কিন্তু যে
বাতিঘর রেখে গেছেন তার আলো এখনও ছড়িয়ে পড়ছে বস্তির ঘরগুলোতে। এই লেখাটি শেষ করব পাওলো ফ্রেইরির একটি
কথা দিয়ে। তিনি বলে গেছেন, যীশু আমাকে গরীবদের কাছে পাঠিয়েছিলেন তাদের কল্যাণের জন্যে, আর গরীব মানুষগুলো
আমাকে পাঠিয়ে দিল কার্ল মার্ক্সের কাছে। কার্ল মার্কসের আদর্শে অনুপ্রাণিত পাওলো ফ্রেইরি তাঁর একাধিক রচনায় বলে গেছেন-
শিক্ষা মানে বিবেকের উন্মেষ। দরিদ্র মানুষেরা শিক্ষার ভেতর দিয়ে খুঁজে বার করবে তাদের বঞ্চনার কারণ এবং মুক্তির
উপায়।’ (দার্শনিক পাওলি ফ্রেইরির জন্ম ব্রাজিলে, ১৯শে সেপ্টেম্বর ১৯২১ সালে। ১৯৯৭ সালের ২রা মে তিনি মৃত্যুবরণ
করেন।)