আপনি কি জানেন, ডায়াবেটিস দৃষ্টিশক্তি হারানোর কারণ হতে পারে?

“আপনার যদি ডায়াবেটিস থেকে থাকে তাহলে আপনি ডায়াবেটিসের কারণে সৃষ্ট চোখের রোগ ‘ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি’তে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন।”

ডাঃ এভলিন মেনসাহ
ক্লিনিক্যাল প্রধান (লিড), অপথালমোলজি
লণ্ডন নর্থ ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি হেলথকেয়ার এনএইচএস ট্রাস্ট ।

ডায়াবেটিস থাকলে চোখের স্ক্রীনিং করানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ

“আমি দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছি বলে যখন ধরা পড়ল, তখন তা আমার মধ্যে প্রবল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। কেউই তাঁর দৃষ্টিশক্তি হারাতে চায় না। আমি ছয় মাস কেঁদেছি।”

বার্নাডেট ওয়ারেন (৫৫)
সাবেক শিক্ষক, সারে ।

স্ক্রিনিং প্রাথমিক লক্ষণগুলি সনাক্ত করতে সাহায্য করে

“নিয়মিত পরীক্ষা-নীরিক্ষা এবং স্ক্রিনিংয়ে অংশ নিলে তা মানুষের শরীরে জটিলতা সৃষ্টির ঝুঁকি অথবা প্রাথমিক লক্ষণগুলি সনাক্ত করতে সাহায্য করবে। তখন এসব ব্যাপারে আমরা কিছু করতে সক্ষম হবো।

ডা. ভরন কুমার
জিপি, স্লাও, বার্কশায়ার

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

অন্যমত

সমকালীন প্রসঙ্গ: নিরাপত্তা-ঝুঁকির আভাস পাওয়ার পর বাংলাদেশের করণীয়

২২ মার্চ ২০২৪ ৩:২৪ পূর্বাহ্ণ | অন্যমত

সৈয়দ তোশারফ আলী ♦

নতুন বছরের সূচনায় বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ধনকুরের বিল গেটস্ সমকালীন কিছু বিষয়ে কথা বলেছেন যা, ভাবুকদের দৃষ্টি কেড়েছে। তিনি বলেছেন, ২০২৪ সালে বিশ্বের বড় বড় দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং বিজয়ী জনপ্রতিনিধিরা রাজনীতির চরিত্র ও নির্বাচকমণ্ডলীর ভাগ্য নির্ধারণে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ইতোমধ্যে কয়েকটি দেশের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এখন আর আগের মত স্বচ্ছ-সুন্দর নির্বাচন হতে দেখা যাচ্ছে না। জনগণ যতই তাদের আত্মঅধিকারের প্রশ্নে সচেতন হয়ে উঠছে, ততই ক্ষমতাসীনরা বিরুদ্ধ মত নিরোধ ও নির্বাচনে কারচুপির আশ্রয় নেয়ার ব্যাপারে কৌশল বদলাচ্ছে। এতে নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ। যার প্রতিফলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে ভোটকেন্দ্রে ভোটদাতাদের কম উপস্থিতিতে। অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর মধ্যে বাড়ছে দূরত্ব, সম্পর্ক হচ্ছে তিক্ত থেকে তিক্ততর। যার উদাহরণ হিসেবে এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের কথা উল্লেখ করা যায়। বাংলাদেশে সরকার বিরোধী জনমত সংগঠিত করার ক্ষেত্রে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করার মত বুদ্ধিমান ও বলিষ্ট রাজনৈতিক নেতৃত্বের অভাব রয়েছে। অন্যদিকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক বৈষম্যের সুযোগ নিচ্ছে দুই প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিবেশী দেশ ভারত ও চীন। দেশ দু’টি তাদের বাণিজ্যিক স্বার্থকে বরাবর প্রাধান্য দিয়ে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশিদার হিসেবে বাংলাদেশে বিদ্যমান স্থিতিশীল বাস্তব অবস্থার অনুকূলে থাকাই শ্রেয় বিবেচনা করে আসছে। অন্যদিকে আরব দুনিয়ার প্রভাবশালী দেশগুলো বাংলাদেশে মসজিদ, মাদ্রাসা, ইয়াতীমখানা প্রতিষ্ঠার উপর বরাবর গুরুত্ব দিয়ে যাচ্ছে। এক সময়ের অন্যতম সুপার পাওয়ার রাশিয়াকে এই অঞ্চলের ব্যাপারে উদাসীন ভাবলে ভুল হবে। বঙ্গোপসাগর এবং ইন্দোপ্যাসেফিক জলসীমায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর স্বার্থ নিরাপদ রাখার জন্য তাদের কূটনীতিতে, ভূ-রাজনৈতিক কৌশলে ভারতকে খুশি রাখার নীতি দীর্ঘদিন যাবৎ অগ্রাধিকার পেয়ে আসছে। ১৯৭১ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বুকে স্বাধীন ও স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় কোন সাধারণ ঘটনা ছিলনা। সেদিন রুশ-ভারত অক্ষ শক্তির সামনে মার্কিন, চীন দাঁড়াতেই সাহস পায়নি। মাত্র পনের দিনের যুদ্ধে ঢাকার পতন ঘটে এবং পাকিস্তানী জেনারেল এ, এ, কে নিয়াজিকে সদলবলে প্রকাশ্যে ভারতীয় জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে আত্মসমর্পণ করতে হয়। তবে চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় পাকিস্তানের পশ্চিমাংশ রক্ষা পায়। ৬-দফা মেনে একসঙ্গে থাকার ব্যাপারে দূরদর্শিতা দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় ইসলামাবাদকে আম-ছালা দুই-ই হারাতে হয়। এ নিয়ে আজ পাকিস্তানীদের অনুতাপের শেষ নেই। যেমন ভারত ভাগ নিয়ে আজও ভারতীয়রা আক্ষেপ করে থাকে। ভূ-রাজনৈতিক কারণে চীন পাকিস্তানকে মনে করে বেস্ট ফ্রেন্ড। বাস্তবেও পাকিস্তানের ভেতর দিয়ে চীনের উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের অংশ হিসেবে সড়ক নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। এ কাজ শেষ হলে সড়ক পথে চীনা পণ্য পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দর থেকে ইরানের চাবাহার বন্দর যাবে। তখন চীন পাকিস্তান ইরান অভিন্ন স্বার্থের সূতোয় জড়িয়ে যাবে। এটা নিয়ে ভারত উদ্বিগ্ন, যুক্তরাষ্ট্র দুশ্চিন্তায়।

এদিকে মায়ানমারের গৃহযুদ্ধ চীন-ভারত-বাংলাদেশকে নতুন দুশ্চিন্তায় ফেলেছে। বাংলাদেশ আগে থেকেই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে বিপদে আছে। বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বিচারে অধিকতর ঘনিষ্ঠ ভারত ও চীন এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত শরণার্থীদের তাদের দেশে ফেরত পাঠাবার ব্যাপারে কার্যকর কিছু করতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, বাংলাদেশের মানবিক ভূমিকাকে প্রশংসার চোখে দেখে আসছে। শরনার্থীদের জন্য আর্থিক অনুদানও দিচ্ছে। তবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাড়তি বোঝা বহন করতে গিয়ে বাংলাদেশ তার সামাজিক নিরাপত্তা বলয়কে আরও প্রসারিত ও অর্থবহ করতে পারছেনা। বাংলাদেশ সাম্প্রতিককালে অর্থনীতি ক্ষেত্রে যে উন্নয়ন করেছে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে গণশিক্ষা ও জনস্বাস্থ্য কার্যক্রমে। ফলে নিরক্ষরতা কমছে। এর সঙ্গে শিশু মৃত্যুহার, মাতৃ মৃত্যুহার হ্রাস পাওয়ায় গড় আয়ু বেড়েছে। কিন্তু দুর্ঘটনায় মৃত্যুহার ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে। অবকাঠামো উন্নয়নেও অনেক দূর এগিয়েছে বাংলাদেশ; বিশেষ করে যোগাযোগ ক্ষেত্রে। বহুমুখী পদ্মা সেতু দক্ষিণ বাংলার উন্নয়নে নতুন প্রাণস্পন্দন এনেছে। তবে রাজধানী ঢাকা শহরের যানজট এখনও দূর করা সম্ভব হয়নি। রাজউকের তদারকি ও দুর্বল দুর্নীতিপূর্ণ হওয়ায় সম্প্রতি বেইলি রোডের একটি ভবনের রেস্টুরেন্টে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে গেল। ফুরফুরে মেজাজে খেতে এসে লাশ হয়ে গেল ৪৬ জন নর-নারী ও শিশু। আহতদের সংখ্যাও অনেক। অগ্নিদগ্ধদের দীর্ঘশ্বাস, কান্না ও মৃত্যু জাতির হৃদয়কে ভারাক্রান্ত রাখবে অনেকদিন।

আসলে আমরা একটা দুঃসময় অতিক্রম করছি। বিশ্বজুড়ে হিংসা-বিদ্বেষ ও বিভক্তি পারস্পরিক সহাবস্থান ও সম্প্রীতির চেতনা এবং কল্যাণকর্মী মনোভাবকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। ধর্মীয় সম্প্রদায়িকতার জায়গা নিচ্ছে রাজনৈতিক সাম্প্রদায়িকতা এবং তা মানুষের সহজাত মানবিক মূল্যবোধ নিরোধ করে চলেছে। উন্নত দেশগুলোতে বিশেষ করে যেসব দেশে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ দৃঢ়মূল হবার সুযোগ পেয়েছে, সেসব দেশেও অনমনীয়তা ও অসহনশীলতা ক্রমপ্রসারমান। একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সমীক্ষাতে দেখা গেছে আর্জেনটিনা, কলাম্বিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশের সঙ্গে স্পেন, সুইডেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশেও রাজনৈতিক সাম্প্রদায়িকতার মত অনাকাঙ্ক্ষিত প্রবণতা, পরিলক্ষিত হচ্ছে। অথচ এক সময় ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার পরেও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রতি সহানুভূতি পোষণ করতেন। প্রতিপক্ষকে সম্মান করতেন। এখন সে মনোভাব বদলে যাচ্ছে। এখন প্রতিপক্ষকে ভয় করা হচ্ছে; ঘৃণা করা হচ্ছে।

গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ- এসবের জোরালো প্রবক্তা হিসেবে দেখা হয় ও যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রকে। আমরা জানি, ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবহারের সঙ্গে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার সম্পর্ক অচ্ছেদ্য। কিন্তু সময়ের দাবি, আরও সঠিকভাবে বললে বাস্তবতার দাবি মেনে চলতে গিয়ে, ধনতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক ধ্যান-ধারনায় অনেক বিবর্তন-পরিবর্তন স্বাধিত হয়েছে। জনগণকে সার্বভৌম ক্ষমতার উৎস বিবেচনা করে জনস্বার্থ সংরক্ষণে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখার সর্বাধিক ব্যবস্থা রাখা হয় গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্রে। আইন প্রনেতা হিসেবে জনপ্রতিনিধিদের স্বাধীন ভূমিকা, শাসন বিভাগের আইন মেনে দেশ শাসন এবং এ ব্যাপারে কোথাও ব্যতিক্রম হবে বিচার বিভাগের প্রতিকার চেষ্টার মধ্যে প্রকাশ পায় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার স্বকীয় সৌন্দর্য। এ ব্যবস্থায় কারও আইনের উর্ধ্বে থাকা অসম্ভব। সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বাক, ব্যক্তি ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে দেশের শাসনতন্ত্র। সরকার গঠন, সরকার পরিবর্তন ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালিত হয় শাসকতন্ত্রের বিধি-বিধান মেনে। জনমত সংগঠনে, ভোটাধিকার প্রয়োগে কোন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করার কথা কেউ চিন্তাও করেন না। কিন্তু এখন সবকিছু ওলট-পালট, বদলে যাচ্ছে। সহমর্মিতা, বিরোধী মতকে সম্মান করা, হিংসা-বিদ্বেষ এড়িয়ে চলা, প্রতিপক্ষকে শত্রু মনে না করা, এসব মূল্যবোধ এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। এখন সব কিছুতে দেখানো হচ্ছে পক্ষপাতিত্ব, নিরপেক্ষতা হারিয়ে যাচ্ছে, অবিশ্বাস, ঘৃণা এবং শত্রুতা উত্তম গুণাবলীর জায়গা দখল করে নিচ্ছে। ভিন্ন মতের ও পথের মানুষদের সহাবস্থান, সহযোগিতা ও সংযোগ রক্ষা করেই গড়ে উঠেছিল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। সেখানে বাদ ও প্রতিবাদ একসঙ্গে অবস্থান করে আসছিল। সরকারী কিংবা বিরোধী মতের অনুসারীদের চরিত্র হরণ করা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের শিক্ষা ছিল না। গণতন্ত্রের সঙ্গে ফ্যাসিবাদের পার্থক্য এখানে। এডলফ হিটলার তার দেশকে ভালবেসেছিলেন কিন্তু বিরোধী মতের প্রতি ছিলেন অসহিষ্ণু। তাই তিনি ইহুদি নিধনে নির্বিকার ছিলেন এবং বিরোধী মতের বইয়ের স্তূপ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যদি অক্ষশক্তি বিজয়ী হত তাহলে রাজনীতির দৃশ্যপট কেমন হতো, তা ভাবতে গেলে গা শিউরে ওঠে। সেদিন মিত্রশক্তির বিজয়ে উদার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার যে উজ্জ্বল ঐতিহ্য সৃষ্টি হয়েছিল, আজ একুশ শতকের সিকি অংশ অতিবাহিত হতে চলেছে কিন্তু গণতন্ত্রের সেই সম্ভাবনা কি কোথাও অমলিন থাকতে দেখা যাচ্ছে?

একাধিক ক্ষেত্রে ভাল করলেও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চায় বাংলাদেশ কৃতিত্ব দেখাতে পারেনি। আবহাওয়ার উপর ফসলের ফলন নির্ভর করে। সব দেশে একই ফসল ফলে না। অনুকূল ভূমি ও জলবায়ু দরকার হয়। এই নিরিখে বিচার করলে বোঝা সহজ হবে কেন আমরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধারণ ও লালন করতে পারিনি। অশিক্ষা, অসহিষ্ণুতা এবং চারিত্রিক দৃঢ়তার অভাব থাকায় আমরা গণতান্ত্রিক সমাজ গড়তে পারিনি। গণতন্ত্র নির্মাণ করার জন্য চাই সহনশীল নমনীয় মেজাজ। ব্যক্তির মূল্য ও মর্যাদার স্বীকৃতি। দলীয় পরিসরে এসব মূল্যবোধের অনুশীলন। যার অভাব আমাদেরকে ভিন্ন দিকে নিয়ে গেছে। গণতন্ত্রের পথে চলতে গিয়ে আমরা বারে বারে হোঁচট খেয়েছি। আমরা লেখক, সাংবাদিক, সাহিত্যিক হিসেবে সঠিক পথ-নির্দেশ দিতে ব্যর্থ হয়েছি। আমরা নিজেরাও সুদৃঢ় অবস্থান নিতে পারিনি। এজন্যই বলা হয় গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ পাশ্চাত্যের অন্তরের ধন। তাদের বাইরের রূপ ভিন্ন হলেও স্বদেশে তারা ধোপ-দোরস্ত গণতান্ত্রিক।

সমাজতন্ত্রী কিংবা সাম্যবাদীরাও গণতন্ত্রের বিরোধিতা করতে গিয়ে অধিকতর গণতন্ত্রের রূপকল্প হাজির করে থাকেন। তারা ভোটের অধিকারের সঙ্গে ভাতের অধিকারের দাবি তোলেন। তারা শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার কথা বলেন, আর এজন্য অন্তবর্তী সময়ে সর্বহারার একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চান। তাদের প্রতি সহানুভুতিশীল কেউ কেউ এ কৌশলকে সৎ উদ্দেশ্য সাধনের অসৎ উপায় বলেছেন। কারণ, তারা বুঝতে চান না যে, স্বাধীনতার সাময়িক প্রত্যাহরণ তার চিরন্তন প্রতিষ্ঠার উপায়রূপে ব্যর্থ হতে বাধ্য। কোথাও সর্বময় কর্তৃত্ব একবার প্রতিষ্ঠিত হলে তার ভিত আর সহজে টলানো যায় না, তখন কৈফিয়ত দেখিয়ে সুকৌশলে তাকে টিকিয়ে রাখা হয়। চিন্তাবিদ আবু সয়ীদ আইয়ুব মনে করেন ফ্যাসিবাদী একনায়কত্বের উদ্দেশ্যে ও উপায় দুই-ই সমান গর্হিত। কারণ, সেটা তো কেবল শক্তির সাধনা এবং অধিকাংশ মানুষকে অমানুষ করে তোলার সংকল্প। তুলনায় গণতন্ত্র এদিক থেকে মুক্ত এবং অনেক নমনীয় ব্যবস্থা। গণতন্ত্র মূলত: জনগনের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি পরিচালিত রাষ্ট্র ব্যবস্থা। মানবিক ভুল-ভ্রান্তি, দুর্বলতা, সীমাবদ্ধতা এর সহজাত বৈশিষ্ট্য। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক গুরু হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী- যাকে গণতন্ত্রের মানসপুত্র বলে সম্মান দেখানো হয়- তিনি বিশ্বাস করতেন, নির্ভুল নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্র জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হবার নয়। জনগণের ভেতর থেকে সঠিক প্রতিনিধি নির্বাচিত হবার সুযোগ থাকলে এবং মোট সামাজিক আয়ের সুষম বণ্টনের উপর গুরুত্ব দিতে পারলে প্রত্যাশিত সুফল না পাওয়ার কোন কারণ দেখিনা। তবে এর জন্য দরকার হবে কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা ও অর্থনীতির উপর সামাজিক নিয়ন্ত্রণ। লক্ষ্য যেহেতু সুন্দর ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়া সেহেতু গণতান্ত্রিক অধিকার তথা বাক, ব্যক্তি, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সুবিবেচনা ও দায়িত্বের সঙ্গে কাজে লাগাতে হবে। তাহলে গণতন্ত্র সবার জন্য আশির্বাদ বয়ে আনবে। সেক্ষেত্রে কিছু লোকের বাড়বার অবাধ সুযোগ নাইবা থাকলো। সবাই সুন্দরভাবে বাঁচার অধিকার তো ভোগ করতে পারবে।

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রচিন্তার সঙ্গে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির একটা গভীর সম্পর্ক রয়েছে। নিজের কিংবা নিজ দলের দৃষ্টিভঙ্গিকে সঠিক এবং অন্যের কিংবা অন্য দলের দৃষ্টিভঙ্গিকে ভ্রান্ত মনে করে তাকে অবজ্ঞা বা উপেক্ষা করা হলে, আর যা-ই হোক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে ভিন্নমতকে সহ্য করতে হবে। এমন কি ভ্রান্ত জেনেও ভিন্ন মতকে প্রচার করার সুযোগ দিতে হবে এবং ভিন্নমতের প্রতি সহনশীল মনোভাব বজায় রাখতে হবে। বেশিরভাগ লোকের সমর্থন লাভ করলেই কোন মত সঠিক বা সত্য হয়ে যায় না, এই কথাটি সর্বদা মাথায় রাখতে হবে। তবে আপাতত: সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকের সমর্থনপুষ্ট মত যে শ্রেয়, এই বাস্তব কথাটি বিরোধী পক্ষকে মানিয়ে নিতে হবে। বিরোধী পক্ষ তো তাদের মতাদর্শ প্রচার করার সুযোগ পাচ্ছে, যাতে তাদের মতামতের অনুকূলে জনমত তৈরি করতে পারে। তাহলে যেটা দাঁড়াবে তাহলো, একদিকে দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন চলবে, অন্যদিকে সংখ্যালঘিষ্ঠও সম্মান পাবে। এই নীতি মেনে চলার নামই গণতান্ত্রিক রাজনীতি। এ রকম পরিবেশেই শক্তিশালী হতে থাকবে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহ। বিকাশ লাভ করবে গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র, সাহস সঞ্চয় করতে থাকবে বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশনও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠান ও ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ পালাবদলে স্বাধীন ভূমিকা রেখে সম্মান অর্জন করবে। শাসন বিভাগের লোকেরাও সমীহ করে চলবে জনগণকে। তারা জনগণের প্রভু না হয়ে জনগণের সেবক হয়ে উঠবে। রাষ্ট্রের দমনমূলক নীতি, বিশেষ করে ব্যক্তি স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ, টেকসই অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙন এবং পূর্ব-ইউরোপীয় দেশগুলোর সংকট প্রকট হয়ে উঠার কারণ এই অধিকারহীনতার মধ্যেই খুঁজতে হবে। সেইসঙ্গে এটাও ভুলে গেলে চলবে না যে, বাজার অর্থনীতিও সংকট এড়িয়ে চলতে পারছে না। সামাজিক বৈসাম্য ও বেকারত্ব প্রকট থেকে প্রকটতর হতে দেখা যাচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি, পণ্যস্ফীতি ও মন্দার দুর্ভাবনা থেকে মুক্তি মিলছে না। করোনা মহামারির মারাত্মক অভিঘাত শেষ হতে না হতেই রুশ-ইউক্রেন দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ যখন বিশ্ব অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলে চলেছে তখন আবার আগুনে ঘি ছিটানোর মতো শুরু হয়েছে ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধ। এসব যুদ্ধের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত রয়েছে অনেকগুলো রাষ্ট্র। জয়-পরাজয় অপেক্ষা এসব যুদ্ধ যত দীর্ঘস্থায়ী হবে ততই সামরিক অস্ত্র ব্যবসা চাঙ্গা থাকবে এবং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কয়েকটি উন্নত দেশ বিপুল মুনাফা ঘরে তোলার সুযোগ পাবে। ইউরোপের দেশগুলো সাম্প্রতিককালে আমেরিকার কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্র কিনছে। ইউক্রেন পরাজিত হলে ইউরোপের দেশগুলো আগের থেকে বেশী মাত্রায় নিরাপত্তা ঝুঁকি অনুভব করবে। তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে চীন-মার্কিন উত্তেজনা কখনও বাড়ছে কখনও কমছে। এদিকে মায়ানমারে দীর্ঘদিন গৃহযুদ্ধ চলছে। বাংলাদেশ সংযম দেখাচ্ছে। তবে সতর্ক থাকছে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়নের বিষয়কে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। 

সময় এসেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করার। বিষয়টি নিয়ে নীতি নির্ধারক ও সামরিক বিশেষজ্ঞদের ভেবে দেখতে বলি। দুর্দিনে সামরিক সক্ষমতা একটা জাতির বিরাট উপকারে আসে। নিরাপত্তা ঝুঁকির পূর্বাভাস পাওয়ার পর বাংলাদেশ হাত পা গুটিয়ে কেবল শান্তির জব-তব করতে পারে না। তাকে সময়ের ডাকে সাড়া দিতে হবে। চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, বান্দবরন, রাঙ্গামাটি, কক্সবাজার প্রভৃতি জেলায় সেনা অবস্থান বাড়াতে হবে। ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান ও কৌশলগত বিচার-বিবেচনা সাপেক্ষে দূরদর্শী পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের প্রতি ইঞ্চি ভূমি রক্ষায় ও প্রতিটি নাগরিকের জান-মাল রক্ষায় সম্পদ ও জনবলের সঠিক ব্যবহারে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করা যাবে না। ভৌগলিক অবস্থানের বিচারে বাংলাদেশ বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। কিন্তু কোন কারণে পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে আমাদের প্রতিবেশী বন্ধুরা তাদের স্ব-স্ব জাতীয় স্বার্থে ভূমিকা রাখলে আমাদের করণীয় কী হবে, সেটা আগেই ভেবে রাখা ভালো। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে দুর্বলের কোন বন্ধু নেই। আজকের দিনে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ জনবল দেশকে অর্থনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে। এসব নিয়ে যারা কাজ করছেন তারা এ বিষয়ে আমাদের থেকে অধিকতর অভিজ্ঞ। আমরা কেবল আমাদের মনোভাবটা জানিয়ে রাখছি।

আরও পড়ুন

জুরি-কর্তব্যে এক সপ্তাহ

লন্ডনের চিঠি সাগর রহমান ♦ গত বছর হঠাৎ সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্ট থেকে বাসায় চিঠি এলো। খামের উপরে কোর্টের সিল মারা দেখে বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে ভাবতে শুরু করলাম- নিজের জ্ঞাতে কিংবা অজ্ঞাতে কোনো অপকর্ম করেছি কি-না! চিঠি খুলতেই অবশ্য উদ্বেগ দূর হয়ে গেলো। জানতে পেলাম, আগামী অমুক...

দুর্নীতি ও কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রজন্ম

দুর্নীতি ও কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রজন্ম

গাজীউল হাসান খান ♦ কথিত আছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় চাঁদাবাজি হতে দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের সময়। ডেমোক্রেটিক এবং রিপাবলিকানদের মতো দুটি প্রধান দলের সম্মিলিত নির্বাচনী খরচ তিন বিলিয়ন ডলারের অনেক বেশি বলে ধরে নেওয়া হয়। চার বছর অন্তর অন্তর নভেম্বরের প্রথম...

হামাসকে আরো কৌশলী হতে হবে

হামাসকে আরো কৌশলী হতে হবে

গাজীউল হাসান খান ♦ ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের বিগত ৭৬ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের সিনেট নেতা চার্লস সুমার দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে বলেছেন। এটি কি একটি নির্দেশ, না অনুরোধ? আর যা-ই হোক, নেতানিয়াহু একটি...

মুহম্মদ নুরুল হক ছিলেন ‘কমিউনিটি এডুকেশনে’র এক নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিত্ব

মুহম্মদ নুরুল হক ছিলেন ‘কমিউনিটি এডুকেশনে’র এক নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিত্ব

নজরুল ইসলাম বাসন ♦ আশির দশকের মাঝামাঝি আমি যখন লণ্ডনের সাপ্তাহিক সুরমা’ পত্রিকায় যোগ দেই তখন ইস্ট লণ্ডনের বাংলাদেশী কমিউনিটি ছিল আলোকোজ্জ্বল একটি কমিউনিটি। শিক্ষা, সংস্কৃতি, রাজনীতিতে ছিল নিবেদিতপ্রাণ মানুষের সক্রিয় অবস্থান। কমিউনিটি সংগঠনগুলি ছিল প্রাণবন্ত। এমনকি...

স্মৃতিতে নুরুল হক মাস্টার সাহেব

স্মৃতিতে নুরুল হক মাস্টার সাহেব

রাজনউদ্দিন জালাল ♦ আমাদের ঐতিহাসিক মাতৃভাষা আন্দোলনের মাসেই চিরবিদায় নিলেন শিক্ষক, সমাজকর্মী এবং রাজনীতিবিদ নুরুল হক (মাস্টার সাহেব)। আমরা তাঁর রূহের মাগফেরাতের জন্য দোয়া করছি। গত ৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪, বাংলা ভাষার এই শিক্ষক, ঢাকার গাজীপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন।...

আরও পড়ুন »

 

শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সৈয়দ আফসার উদ্দিনকে স্মরণ

শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সৈয়দ আফসার উদ্দিনকে স্মরণ

লণ্ডন, ১৭ এপ্রিল: লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব আয়োজিত বিশিষ্ট সাংবাদিক সৈয়দ আফসার উদ্দিনের স্মরণসভায় বক্তারা বলেছেন, তিনি ছিলেন একজন আপাদমস্তক ভদ্রলোক। ছিলেন সদালাপী, বিনয়ী ও কৃতজ্ঞতাবোধসম্পন্ন মানুষ। একজন সাংবাদিক ও শিক্ষক হিসেবে তিনি ছিলেন বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী। তিনি...

ডায়াবেটিস আছে? আপনার স্বাস্থ্যের দিকে যেভাবে নজর রাখবেন

ডায়াবেটিস আছে? আপনার স্বাস্থ্যের দিকে যেভাবে নজর রাখবেন

আপনি কি জানেন, ডায়াবেটিস দৃষ্টিশক্তি হারানোর কারণ হতে পারে? এ ব্যাপারে লণ্ডন নর্থ ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি হেলথকেয়ার এনএইচএস ট্রাস্টের চক্ষুবিদ্যা (অপথালমোলজির)-এর ক্লিনিক্যাল প্রধান (লিড) ডাঃ এভলিন মেনসাহ ব্যাখ্যা করে বলেন, "যদি আপনার ডায়াবেটিস থেকে থাকে তাহলে আপনি...

গার্ডেন্স অব পিসে চিরনিদ্রায় শায়িত সৈয়দ আফসার উদ্দিন

গার্ডেন্স অব পিসে চিরনিদ্রায় শায়িত সৈয়দ আফসার উদ্দিন

সহকর্মীদের আবেগঘন স্মৃতিচারণ সারওয়ার-ই আলম ♦ লণ্ডন, ১২ এপ্রিল: সহকর্মীদের ভালবাসায় ও কমিউনিটির বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের শেষ শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়ে ১৩ই এপ্রিল শনিবার ইস্ট লণ্ডনের গার্ডেন্স অব পিসে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও শিক্ষক, ব্রিটিশ-বাংলাদেশী...

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও শিক্ষক সৈয়দ আফসার উদ্দিনের ইন্তেকালে কমিউনিটিতে শোকের ছায়া

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও শিক্ষক সৈয়দ আফসার উদ্দিনের ইন্তেকালে কমিউনিটিতে শোকের ছায়া

মঙ্গলবার ১৩ই এপ্রিল জানাজা ইস্ট লণ্ডন মসজিদে সারওয়ার-ই আলম ♦ লণ্ডন, ১২ এপ্রিল: বিশিষ্ট সাংবাদিক ও শিক্ষক, বাংলাদেশী-ব্রিটিশ কমিউনিটির প্রিয়মুখ সৈয়দ আফসার উদ্দিন এমবিই ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। দীর্ঘ নয় বছর বোন ম্যারো ক্যান্সারের সঙ্গে...