☀ We are Hiring ☀

PROJECT COORDINATOR

Bengali Drama: Narratives of Time (1963–2013)
Location: East London
Salary: £36,996 pro rata
Hours: 17.5 per week; Duration:18 months

For an application pack:

Email: info@artswithoutborders.co.uk
Deadline: 8 December 2024, 11:59 pm
Only successful applicants will be contacted
Online Interviews to be conducted on 13 December 2024

বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

সাক্ষাৎকার

সিলেটবাসী আমার ওপর যে আস্থা রেখেছেন তার মর্যাদা রক্ষায় আমি বদ্ধপরিকর

১ জুলাই ২০২৪ ১:০৮ পূর্বাহ্ণ | সাক্ষাৎকার

পত্রিকার সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী

লণ্ডন, ৩০ জুন: সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, পরিকল্পিতভাবে সিলেট মহানগরীর উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশী বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও সহযোগিতা চাওয়া হবে। এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সিলেট মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন। এ লক্ষ্যে একটি ‘এক্সটেনসিভ’ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে সুরমা নদী খনন করা হবে। সেই সাথে নদীকেন্দ্রিক পর্যটক আকর্ষণের লক্ষ্যে নির্মাণ করা হবে রিভার ড্রাইভ। মেয়র আনোয়ারুজ্জামান জানিয়েছেন, প্রবাসীরা যাতে সহজে ও দ্রুততম সময়ে সেবা পেতে পারেন, সেজন্য ইতোমধ্যে ৩ জন ওয়েলফেয়ার কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আর বিমান বন্দরে যাতে তারা কোনরূপ হয়রানীর শিকার না হন, সে লক্ষ্যে শিগগিরই ওসমানী বিমানবন্দরে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে হেল্প ডেস্ক চালু করা হবে। এছাড়া নগরবাসীকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেছেন, দুর্নীতির, অনিয়ম ও হয়রানীর ব্যাপারে আমি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করবো। মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সম্প্রতি সাপ্তাহিক পত্রিকাকে দেয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। মেয়র জানান, সম্প্রতি সিলেট নগরীতে হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে জনমনে যে বিভ্রান্তি ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল, তার প্রেক্ষিতে এই নতুন হোল্ডিং ট্যাক্সের এসেসমেন্ট বাতিল করা হয়েছে। নগরবাসীর মতামতের প্রেক্ষিতে ভবিষ্যতে নতুন করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

মেয়র বলেন, আমি পরিকল্পিত ও টেকসই উন্নয়নে বিশ্বাসী। পরিকল্পিত উন্নয়নের লক্ষ্যে আমি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরবৃন্দ, নগর কর্তৃপক্ষের ইঞ্জিনিয়ারিং টিমসহ সবাইকে আমি বলেছি, আমাদের মান্দাতা আমলের উন্নয়ন প্রক্রিয়া বা পুরনো ধ্যানধারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সাপ্তাহিক পত্রিকা কার্যালয়ে দেওয়া দীর্ঘ এই সাক্ষাৎকারে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সিলেট সিটি কর্পোরেশন নিয়ে তার ভবিষ্যত পরিকল্পতা, হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে সাম্প্রতিক জটিলতাসহ দেশে প্রবাসীরা যেসব সমস্যা মোকাবেলা করেন ইত্যাদি নিয়ে কথা বলেন।

শুধু উন্নয়ন নয়, আমার লক্ষ্য পরিকল্পিত উন্নয়ন-টেকসই উন্নয়ন।
এ মুহূর্তে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন
সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে সুরমা নদী খনন করা হবে
পর্যটক আকৃষ্ট করতে নির্মাণ করা হবে ‘রিভার ড্রাইভ’
সিলেটের উন্নয়নের লক্ষ্যে চাওয়া হবে প্রবাসী বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
জনগণের মতামতের প্রেক্ষিতে নতুন ‘হোল্ডিং ট্যাক্স এসেসমেন্ট’ কার্যকর হবে
প্রবাসীদের সহযোগিতার জন্য বিমান বন্দরে স্থাপন করা হবে ‘হেল্প ডেস্ক’
দুর্নীতি-অনিয়মের বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ থাকবে

মেয়র হিসেবে আমার দায়িত্বগ্রহণ চ্যালেঞ্জিং ছিল

মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সিলেট সিটির মেয়র হিসেবে আমার দায়িত্বগ্রহণ আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। লণ্ডনে থাকা অবস্থাতেই আমি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য লক্ষ্য স্থির করি। ২০২৩ সালের ২১ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মাত্র কিছুদিন আগে আমি সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেই। তখন আমার জন্য একটা প্রতিকূল অবস্থা ছিল। ক্যাম্পেইনে দুটি বিষয় আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। একটা ছিল আমি প্রবাসী। আরেকটা ছিল আমি শহরের মানুষ নই। আমি গ্রামের মানুষ। বালাগঞ্জের প্রত্যন্ত পল্লী বুরুঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম টিলাপাড়া গ্রামে আমার জন্ম। সেখানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শেষ করে সিলেট সরকারী কলেজে লেখাপড়া করেছি। এরপর লণ্ডনে এসেছি। এখানে আমি প্রবাসী সিলেটীদের মাঝে ছিলাম। যার কারণে সিলেট নগরীর সাথে আমার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ গড়ে তোলা ছিল সত্যি চ্যালেঞ্জিং। এই প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে আমি নির্বাচনে নামি।

সিলেট বাংলাদেশের আধ্যাত্মিক রাজধানী। বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিটি। এনআরবি’দের হাব হওয়ায় বর্হিবিশ্বে সিলেটের আলাদা একটি এক্সপোজার আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন আমাকে মনোনয়ন দিয়ে পাঠালেন তখন আমি সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় করি। বাংলাদেশে মেয়রকে নগরপিতা নামে সম্বোধন করা হয়। আমি প্রথমেই সেই ট্রেণ্ডটা বদলে দেয়ার চেষ্টা করি। আমি বলি যে, আমি আমার মেয়াদকালে নগরবাসীর নির্বাচিত সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই। সিলেটের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ আমাকে সাদরে গ্রহণ করেন। প্রায় ১২০০ প্রবাসী আমার জন্য নির্বাচনী প্রচারে নামেন। লণ্ডন থেকেও সিনিয়র সিটিজেনসহ সবাই আমার পক্ষে ক্যাম্পেইন করেন। ফলে, অল্পদিনের ক্যাম্পেইনেই আমি নগরবাসীর প্রতিটি ঘরে আমার বার্তা পৌছে দিতে সক্ষম হই। জুন মাসে যদিও নির্বাচন হয়েছে, নভেম্বরে আমি দায়িত্ব গ্রহণ করি। ২০২৩ এর নভেম্বর থেকে আমার মেয়াদকালে আমি সিলেটবাসীর সেবক হিসেবে ভূমিকা রাখতে চাই। আমি মনে করি, মানুষ তাদের সেবা করার জন্য আমাকে ভোট দিয়েছে। এখানে মেয়র পদটাকে উপভোগের কিছু নেই। তাই, আমি সিলেট মহানগরবাসীর কল্যাণেই কাজ করছি।

আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, সিলেটের জনতা আমাকে আপন করে নিয়েছেন। আমার একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। তারাও ভোট পেয়েছেন। কিন্তু এখন আমি সিলেটবাসীর মেয়র। তাই সবার জন্য আমি কাজ করতে চাই। সিলেটকে একটি স্মার্ট নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।  সিলেট নানা কারণে বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ নগরী। প্রবাসী অধ্যুষিত এই নগরীতে দুটি আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট গ্রাউণ্ড আছে। একটি আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর আছে। প্রবাসী অধ্যুষিত হওয়ায় সিলেট নগরীতে প্রবাসীদের একটি বিশাল বিনিয়োগ আছে। অধিকাংশ লণ্ডন প্রবাসীর বাসা বাড়ি রয়েছে সিলেট নগরীতে। তারা তাদের আগামী প্রজন্মকেও সিলেটে নিয়ে যেতে চান। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে ইতোমধ্যে আমি কাজ শুরু করেছি। শুধু উন্নয়ন নয়, আমার লক্ষ্য পরিকল্পিত উন্নয়ন-টেকসই উন্নয়ন। 

নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ

মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, এ মুহূর্তে আমার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে- সিলেট নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন। এটি নিয়ে আমি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। নগরীতে বৃষ্টির পানি নির্গমণ সহজ করার লক্ষ্যে আমি ইতোমধ্যে ৩টি সংযোগ খাল খনন করেছি- দরগা গেইট, আম্বরখানা ও মেডিক্যাল কলোনীর সামনে। আপনারা জানেন, সিলেট নগরীর বৃষ্টির পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনের মূল পথ হচ্ছে প্রাকৃতিক ছড়া। এ ছাড়াগুলো একটি অন্যটির সাথে সংযোগ নেই। ফলে, কোন একটি ছড়ার পানি জমে গেলেই একটি এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এই ছড়াগুলোর সংযোগ করে দেয়ার ফলে এখন একটি ছড়া দিয়ে অধিক পানি আসলে অন্য ছড়া দিয়ে সেটি নিষ্কাশন হবে। এ ধরনের কয়েকটি ছড়ার সংযোগ করে দেয়ায় এ বছর সিলেট নগরীতে জলাবদ্ধতা কম হয়েছে। বর্তমানে শাহজালাল উপশহর এলাকায় জলাবদ্ধতা সমস্যা প্রকট। এর কারণ গৃহায়ন ও গণপূর্ত অধিদপ্তর ১৯৮৮ সালে যখন মাটি ভরাট করে তখন ওয়াটার লেভেল থেকে এটি প্রায় ৫ মিটার নীচু করে মাটি ভরাট করা হয়। এ কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই শাহজালাল উপশহরে পানি জমে যায়। এই এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন করতে হলে একটি বড় ধরনের পরিকল্পনা প্রয়োজন।

এ কারণে জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়টি আমি খুবই গুরুত্ব দিয়েছি। এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত জলাবদ্ধতা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ড. খালেকুজ্জামানের সাথে ইতোমধ্যে আমি কথা বলেছি। এ সুযোগ করে দিয়েছেন তাঁর বন্ধু শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদের পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা আমেরিকা প্রবাসী ডা. জিয়া উদ্দিন। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ বুয়েট ও শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলছেন। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে অচিরেই আমরা একটি ‘এক্সটেনসিভ’ প্রকল্প শুরু করার চেষ্টা করছি।

একটা বিষয় আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা সিলেট নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যার শতভাগ সমাধান করতে পারবোনা। কারণ, অপরিকল্পিত নগরায়ন। শাহজালাল উপশহর হয়েছে হাওর ভরাট করে। হাওর ভরাট করে নগরীর উপকণ্ঠে ক্যান্টনমেন্ট হচ্ছে। মানুষ যত্রতত্র বাড়ি ঘর নির্মাণ করেছে। খাল, বিল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় শুধুমাত্র সিলেট নগরীতে খাল, ড্রেন নির্মাণ করলে হবেনা। একেবারে সুরমার উৎস স্থল থেকে সুনামগঞ্জ পর্যন্ত এলাকাকে নিয়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি বড় প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। প্রাথমিকভাবে আমরা সুরমা ও কুশিয়ারা নদী খনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে চাচ্ছি। এর পাশাপাশি, সুরমা ও কুশিয়ারার দুই তীরে রিভার ড্রাইভ করতে চাচ্ছি। ব্যারেজ ও ৗুইস গেইট দিয়ে নদী থেকে পানি প্রবেশ বন্ধ করার পরিকল্পনা করছি। আমি ইতোমধ্যে সিলেট নগর এলাকায় সুরমা নদী খননের জন্য সরকারের অনুমতি নিয়েছি। এটা আমরা সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে করবো। এ কারণে এ মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরী হচ্ছে নদী শাসন। সিলেট-কে বাঁচাতে হলে আমাদেরকে অবিলম্বে একটি ‘এক্সটেনসিভ’ পরিকল্পনা নিয়ে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।

সুরমা নদী নিয়ে আমার একটি বৃহৎ পরিকল্পনা আছে। সুরমা নদী খননের মাধ্যমে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে এনে আমাদের জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে মূখ্য উদ্দেশ্য। পাশাপাশি, সুরমা কেন্দ্রিক একটি বড় পর্যটন সম্ভাবনাও রয়েছে। সুরমার দুই তীরে ওয়াটার ড্রাইভ করা সম্ভব হলে এটি পর্যটকদেরও আকৃষ্ট করবে। আমরা নদীর দুই তীরে ওয়াকওয়ের পাশাপাশি নদীতে ওয়াটার বাস নামাতে পারবো। তাই নদী খননের পাশাপাশি সৌন্দর্য্য বর্ধনটাও আমাদের বিবেচনায় রয়েছে। এক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেয়া যায় কি-না, সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশী, যারা সিলেটের উন্নয়নে অবদান রাখতে চান, তাদের সহযোগিতা বা পরামর্শ আমি শুধু সাদরে গ্রহণ-ই করবো না, আমি সিলেটের মানুষ হিসেবে, সিলেট নগরবাসীর নির্বাচিত মেয়র হিসেবে আমি সারা জীবন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো। আর সহযোগিতা প্রদান বা পরামর্শ প্রদানের জন্য প্রবাসী বিশেষজ্ঞদের আমাদের কাছে আসতে হবে না। আমি নিজেই খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি, কাদেরকে আমরা নগর উন্নয়নের কাজে লাগাতে পারি। এজন্য অনেক প্রবাসী বিশেষজ্ঞের সাথে আমি ইতোমধ্যে যোগাযোগও করেছি। সিলেটের উন্নয়নে যারা অবদান রাখতে চান, যেমন- ডা. জিয়াউদ্দিন, ড. খালেকুজ্জামানসহ অনেক বিশেষজ্ঞের সাথে আমি একাধিক বৈঠক করেছি। তরুণ প্রজন্মের অনেক প্রবাসীর কাছ থেকে আমরা নতুন নতুন আইডিয়া পাচ্ছি।

একটি বাসযোগ্য নগরী উপহার দেয়াই আমার লক্ষ্য

মেয়র বলেন, আমি কাজে বিশ্বাসী। সিলেটের সন্তান হিসেবে আমি মনে করি, জনগণ আমাকে ৫ বছরের জন্য যে ম্যাণ্ডেট দিয়েছেন, তা আমি কাজ করে দেখাতে হবে। সিলেটবাসী আমার উপর আস্থা রেখেছেন। সেই বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে আমি বদ্ধপরিকর। আমি জলাবদ্ধতার পানিতে নেমে আর ত্রাণ বিতরণ করে ফটোসেশন করে ৫ বছর কাটিয়ে দিতে পারবো। কিন্তু আমি মনে করি, সেটা হবে আমার নগরবাসীর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা। আমি সিলেট নগরীতে আমার কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করতে চাই, তারা ভুল জায়গায় ভোট দেননি। পাশাপশি জননেত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ রেহানা দু’জনেই আমাকে দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন দিয়েছেন। তারা আমার উপর আস্থা রেখেছেন। কাজের মাধ্যমে আমি তাদের এই আস্থার মর্যাদা রক্ষা করতে চাই। আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য সিলেট নগরী উপহার দেয়াই আমার লক্ষ্য।

প্রবাসীদের নিরাপত্তা বিধান আমার অগ্রাধিকার

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, প্রবাসীদের নিরাপত্তা বিধান ও তাদের সম্পত্তির সুরক্ষার বিষয়টি আমার কাছে সব সময় অগ্রাধিকারে থাকবে। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত সিলেট নগরীতে কোন প্রবাসী কোন কারণে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন, আর আমি সেটা নিরসন করে দিতে পারিনি- এমন কোন উদাহরণ আপনারা দিতে পারবেন না। তবে, এক্ষেত্রে একটা বিষয় খুব দুঃখজনক- সেটি হচ্ছে প্রবাসীদের পারিবারিক অন্তর্কলহের কারণে অনেকে বিরোধ ও সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছেন। আপন ভাই, ভাই-বোন, মা-সন্তান- এদের মাঝে প্রায়ই সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ দেখা যায়। এক্ষেত্রে আমাদের খুব একটা করণীয় থাকেনা। আমরা অসহায় হয়ে পড়ি। কিন্তু আমার দায়িত্বকালে কোন সন্ত্রাসী, মাস্তান বা চাঁদাবাজ কোন প্রবাসীকে হয়রানী করতে পারবেনা- এটি আমি দৃঢ়তার সাথে নিশ্চিত করেছি এবং করবো। আমার দলের কেউ-ও এ ধরনের কোন কাজে জড়িত থাকলে তাদেরকেও আমি নিস্তার দেব না।

প্রবাসীদের কল্যাণে সিটি কর্পোরেশনে ৩ কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে

মেয়র বলেন, বিমান বন্দর হচ্ছে একটি দেশের প্রবেশ দ্বার। বলা হয়ে থাকে, এয়ারপোর্ট ইজ এ ফেইস অব এ টাউন। এজন্য বিমান বন্দরে প্রবাসীরা যাতে কোন হয়রানীর শিকার না হন সেটি নিশ্চিত করা হবে। তবে, আমাদের প্রবাসীদেরকে স্বীকার করতেই হবে, বাংলাদেশের বিমান বন্দরে সেবার মান অনেক ভাল হয়েছে। অতীতে ইমিগ্রেশনের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা বিমান বন্দরে আটকে থাকতে হত। এখন ডিজিটালাইজেশনের কারণে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়ে গেছে। বাংলাদেশের বিমান বন্দরগুলোতে লাগেজ হ্যাণ্ডলিংয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে। আজ থেকে ২৫/৩০ বছর আগের চিত্রের সাথে মেলালে নিঃসন্দেহে বলা যাবে- বাংলাদেশের বিমান বন্দরে সেবার মান অনেক উন্নত হয়েছে। 

তারপরও বিমান বন্দরগুলোতে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনা- তা বলা যাবেনা। ব্যক্তিগতভাবে আমি সিলেট বা ঢাকার বিমান বন্দরে প্রবাসীদের সাথে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনার খবর পেলে সাথে সাথে আমি আমার অবস্থান থেকে পদক্ষেপ গ্রহণের চেষ্টা করি। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর সিলেট বিমান বন্দরে প্রবাসীদের সাথে দুটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। আমি সাথে সাথে পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রবাসীদের সমস্যা সমাধান ও দুর্ভোগ লাঘবের জন্য আমি ইতোমধ্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশনে ৩ জন কর্মকর্তা নিয়োগ করেছি। তাদের ২ জন হচ্ছেন প্রবাসী কল্যাণ কর্মকর্তা (ওয়েলফেয়ার অফিসার) এবং ১ জন হচ্ছেন পরামর্শক। তারা প্রবাসীদের সেবা ও সহযোগিতার জন্য সর্বাবস্থায় প্রস্তুত থাকেন। শিগগিরই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদেরকে দায়িত্ব প্রদান করবো।

এছাড়া, ওসমানী বিমান বন্দরে আমরা সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে একটি ‘প্রবাসী হেল্প ডেস্ক’ চালুর উদ্যোগ নিয়েছি।  এক্ষেত্রে বিমান বন্দরের সার্বিক শৃঙ্খলা পদ্ধতি উন্নয়নের কোন উদ্যোগ নেয়া হবে কি-না জানত চাইলে মেয়র বলেন, প্রতি সপ্তাহেই কমপক্ষে ১০/১৫ হাজার প্রবাসী শুধু লণ্ডন থেকেই সিলেটে যান বা আসেন। তাদের সবাইকে তো আর সমস্যায় পড়তে হয় না। বিমান বন্দরের ব্যবস্থাপনা আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। বিচ্ছিন্নভাবে দুয়েকটা ঘটনা ঘটে যায়। এ ধরনের কোন অনভিপ্রেত ঘটনা যাতে না ঘটতে পারে, সেজন্য আমরা মনিটরিং বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ লক্ষ্যে বিমান বন্দরে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে হেল্প ডেস্ক চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মেয়র বলেন, সম্প্রতি আমি সৌদী আরব সফর করে এসেছি। আগে আমাদের প্রবাসী ভাইরা জেদ্দা বা অন্য বিমান বন্দরে গিয়ে হয়রানীর শিকার হতেন। সম্প্রতি আমি দেখে এসেছি, সেখানে নারীরা বিমান বন্দরে কাজ করছেন। তারা আমাদের প্রবাসীদেরকে দ্রুত সেবা দিচ্ছেন। সৌদী আরব তাদের সেবার মান অনেক উন্নত করেছে। আমাদেরও সেবার মানকে আরো বাড়াতে হবে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাচ্ছি। সেটি করতে হলে সর্বক্ষেত্রেই সেবার মান বাড়াতে হবে।

দুর্নীতি-অনিয়মের বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ থাকবে

নগর ভবন-কেন্দ্রিক দুর্নীতির প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, মেয়রের পদে বসে সব কিছু সম্পর্কে খোলাখুলি বলা হয়তো যাবেনা। তবে, দুর্নীতির অভিযোগ আমি পুরোপুরি উড়িয়েও দেবনা। আমি নগর ভবনের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি। কোথায় কোথায় কোন ধরনের দুর্নীতি বা অনিয়ম হচ্ছে- আমার টিম তা খতিয়ে দেখছে। তারা আমার কাছে নিয়মিত রিপোর্ট দিচ্ছে। আমি সেগুলো সংশোধনের চেষ্টা করছি। আশা করি, বছর খানেকের মধ্যে নগর ভবন থেকে দুর্নীতিকে পুরোপুরি নির্মূল করতে আমি সক্ষম হবো। আপনি দু’বছর পর অন্য সিটি কর্পোরেশনের সাথে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের তুলনা করলে আশা করি ভাল একটি সার্টিফিকেট আমাদেরকে দিতে পারবেন। আমার লক্ষ্য হচ্ছে- আমরা এমন একটি সিস্টেম ডেভেলপ করতে চাচ্ছি, যেখানে চাইলেও কেউ দুর্নীতি করার সুযোগ পাবেনা। কেউ আমার নগরবাসীকে হয়রানী করতে পারে, এমন কোন সুযোগই আমি রাখবোনা। আমি আমার নগরবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই- দুর্নীতির, অনিয়ম ও হয়রানীর ব্যাপারে আমি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করবো।

হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে জনমনের ক্ষোভের প্রেক্ষিতে নতুন এসেসমেন্ট বাতিল করা হয়েছে

সিলেট নগরীতে সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত বিষয় হোল্ডিং ট্যাক্স প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, নতুন যে হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে নগর জুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে, সেটির এসেসমেন্ট শুরু হয়েছিল ২০১৬ সাল থেকে। ২০০২ সালে সিলেট সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এর প্রথম ১০ বছর মেয়র ছিলেন মরহুম বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। পরবর্তী ১০ বছর দায়িত্ব পালন করেন আরিফুল হক চৌধুরী। ২০১৬ সালে আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে এসেসমেন্ট করিয়েছিলেন। তিনি এই এসেসমেন্ট পূর্ণ কাউন্সিলে অনুমোদনও করিয়েছিলেন। সেটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠালে সেখানেও এটি অনুমোদন করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে করোনার কারণে আরিফুল হক চৌধুরী তার একক সিদ্ধান্তে একটি নোট প্রদান করে সেটি সাময়িক স্থগিত রেখেছিলেন। আমি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর আরিফুল হক চৌধুরীর করে যাওয়া সকল অসমাপ্ত কাজগুলো পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নেই। এরই অংশ হিসেবে তাঁর করা এসেসমেন্ট অনুযায়ী হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণের বিষয়টি আমি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেই। আমরা যখন এটা বাস্তবায়ন করতে গেছি, তখনই জনমনে একটা অসন্তোষ দেখা দেয়। দেশে-বিদেশে এ নিয়ে একটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেকেই বলতে থাকেন, হোল্ডিং ট্যাক্স ৪/৫ গুণ, এমনকি ১০ গুণ বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে হোল্ডিং ট্যাক্স ১০/১২ গুণ বাড়েনি। আসলে দেখা যায়, কারো হয়তো তখনই হোল্ডিং ট্যাক্স ছিল ২০ হাজার টাকা, তিনি সেটি কমিয়ে নিয়ে ট্যাক্স দিচ্ছিলেন ৫ শত টাকা। অর্থাৎ, তখন তার ট্যাক্স ১৯ হাজার ৫ শত টাকা কমিয়ে দেয়া হয়েছিল। কোন কোন ক্ষেত্রে রিভিউর মাধ্যমে কমানো হয়েছিল, আর কোন কোন ক্ষেত্রে মেয়র সাহেব-ই কমিয়ে দিয়েছিলেন। এখন যখন ১৬ বছর পর রি-এসেসমেন্ট হয়েছে, তখন তার পুরানো ধার্য্যকৃত ২০ হাজার টাকার স্থলে ৪০ হাজার টাকা করা হয়েছে। নতুন হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে আলোচনা সমালোচনার প্রেক্ষিতে আমরা ২৭টি ওয়ার্ডে রিভিউ টিম গঠন করেছিলাম। প্রতিটি ওয়ার্ডে স্থানীয় কাউন্সিলর, ১ জন আইনজীবী ও ১ জন প্রকৌশলীর সমন্বয়ে এই টিম গঠন করা হয়েছিল। সর্বোপরি, রিভিউ টিমের সিদ্ধান্তের পর মেয়র হিসেবে আমার কাছেও লোকজনের আসার সুযোগ ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি দেখা দেয়ায়, আমাদের পূর্ণ কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মতে নতুন এই এসেসমেন্ট পুরোপুরি বাতিল করে দেয়া হয়েছে। যেহেতু, এই এসেসমেন্ট আমার সময়ে হয়নি, সেহেতু অন্য সময়ে করা এসেসমেন্ট নিয়ে বিভ্রান্তির দায়ভার এড়াতেই আমরা এটি বাতিল করেছি। নতুন এই করারোপের কারণে জনমনে ক্ষোভ অসন্তোষ ছিল, জনমতের প্রতি সম্মান দেখাতেই আমরা এটি বাতিল করেছি। কারণ, জনমতের মাধ্যমেই আমি নির্বাচিত হয়েছি, জনমতকে আমি কখনোই উপেক্ষা করবোনা।

২০১৬ সালের আইন অনুযায়ী হোল্ডিং ট্যাক্স সর্বোচ্চ ৭% বাড়ানোর কথা- বাতিলকৃত রিএসেসমেন্টে সেই আইন অনুযায়ী হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে কি-না জানতে চাইলে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ১% বাড়ালেও লোকজন ক্ষেপে উঠতো। কারণ, যে হোল্ডিং ট্যাক্স তাদের উপর ধার্য্য করা হয়েছিল, তাদের অনেকেই তা দিচ্ছিলেন না। তারা মেয়রের অনুমতিক্রমে বা আপীলের মাধ্যমে ধার্য্যকৃত করের চেয়ে অনেক কম কর পরিশোধ করছিলেন।

এখন নতুন করে এসেসমেন্ট করা হলে তা আবার আগের অঙ্কে চলে যাবে কি-না জানতে চাইলে মেয়র বলেন, আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে- আগের মেয়রবৃন্দ যে কর ধার্য্য করেছিলেন, তা বহাল রাখা হবে। বিগত মেয়রের আমলে যে এসেসমেন্ট করা হয়েছিল, তা পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছে। নতুন করে কি প্রক্রিয়ায় আমরা এগুবো- সেটি আলোচনা সাপেক্ষে সবার মতামতের প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, এটি একটি অস্পষ্ট প্রক্রিয়া। হোল্ডিং ট্যাক্স আরোপের একটা সুস্পষ্ট বিধান থাকা আবশ্যক। সেটি কিভাবে বাড়বে তারও একটি নীতিমালা থাকা প্রয়োজন। একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি করা প্রয়োজন। মেয়র বলেন, বলা হয়ে থাকে- সিলেট নগরীতে প্রায় ৬৫ শতাংশ বাড়িঘর ও স্থাপনার মালিক আমাদের প্রবাসীরা। নগরবাসী সকল প্রবাসীকে আমি আশ¡স্ত করতে চাই, ‘এক্সট্রা অর্ডিনারী’ কোন কিছু হয়তো ট্যাক্সের ক্ষেত্রে করা সম্ভব হবেনা। তবে, হোল্ডিং ট্যাক্স-কে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে। পাশাপাশি, আমি এটাও বলবো- সিলেট নগরী আপনাদের। এই নগরীকে আমরা স্মার্ট নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এক্ষেত্রে সবার কন্ট্রিবিউশন আমাদের প্রয়োজন। কর না দিলে অর্থ সংস্থান বাধাগ্রস্ত হবে, উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। মেয়র বলেন, সরকার আমাদের উন্নয়নের জন্য বাজেট দিচ্ছে। কিন্তু উন্নয়ন খাতে নগর কর্তৃপক্ষকেও কন্ট্রিবিউট করতে হয়। এজন্য আমাদেরকে কর আরোপ ও আদায় করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে আমাদের ‘সিস্টেম লস-এর কারণে সবার কাছ থেকে প্রাপ্য করা যথাযথভাবে আদায় হয় না। এজন্য সার্বিকভাবে সকল নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হন। এজন্য যার যার অবস্থান থেকে নগরীর উন্নয়নের লক্ষ্যে কন্ট্রিবিউট করতে হবে। নগরীতে অনেকেই আছেন, যারা দীর্ঘ ১৫/১৬ বছর ধরে কোন করই দিচ্ছেন না। আমরা একটি সিস্টেম ডেভেলপ করার চেষ্টা করছি। এটি করা সম্ভব হলে সকলেই উপকৃত হবেন।

শ্রুতিলিখনঃ মুহাম্মদ তাজ উদ্দিন, সাপ্তাহিক পত্রিকার সিলেট প্রতিনিধি।

সবচেয়ে বেশি পঠিত

কোনো অজুহাতে সেবা বন্ধ করায় আমি বিশ্বাসী নই- মেয়র লুতফুর রহমান

কোনো অজুহাতে সেবা বন্ধ করায় আমি বিশ্বাসী নই- মেয়র লুতফুর রহমান

মাতৃভাষা শিক্ষা পুনরায় চালু হচ্ছে আরও বড় পরিসরে হবে ইয়ুথ সেন্টার যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বেশী বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত অধ্যুষিত এলাকা টাওয়ার হ্যামলেটসের রাজনীতিতে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিত্ব লুতফুর রহমান। লেবার দলের হয়ে বারার লীডার হিসেবে দায়িত্ব...

মালিহার একাকী বিশ্বভ্রমণ, সম্বল বাংলাদেশি সবুজ পাসপোর্ট 

মালিহার একাকী বিশ্বভ্রমণ, সম্বল বাংলাদেশি সবুজ পাসপোর্ট 

হারুন-অর-রশীদ ♦ ১৫ আগস্ট ২০২২: পাখিরা ডানা মেলে আকাশে ওড়ে। তা দেখে কার না ওড়ার সাধ জাগে? আর দশটা শিশুর মতো মালিহা ফাইরুজের কাছেও বিষয়টা ছিল কল্পনায়। সেটা বাস্তবে ধরা দিল, বয়স যখন সবে চার। উড়োজাহাজের ডানায় ভর করে প্রথম আকাশে ওড়া। নীল আকাশে মেঘের ভেলায়...

আরও পড়ুন »

 

আমাদের রাজনৈতিক আন্দোলনে ভাসানী এখনো প্রাসঙ্গিক

আমাদের রাজনৈতিক আন্দোলনে ভাসানী এখনো প্রাসঙ্গিক

গাজীউল হাসান খান ♦ সামন্তবাদী কিংবা পুঁজিবাদী, আধিপত্যবাদী কিংবা উপনিবেশবাদী— যেখানেই যেকোনো ধরনের অপশাসন ও শোষণ দেখেছেন, সেখানেই প্রতিবাদ ও প্রতিরোধে গর্জে উঠেছেন আজন্ম সংগ্রামী মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। খোলা তরবারির মতো ঝলসে উঠেছে তাঁর দুটি হাত। কণ্ঠে উচ্চারিত...

যুক্তরাষ্ট্র কি একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে

যুক্তরাষ্ট্র কি একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে

গাজীউল হাসান খান ♦ যুক্তরাষ্ট্রের এবারের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কেউ এখনো নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছে না। রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক এবং এমন কি জ্যোতিষীদের মধ্যেও এ ব্যাপারে যথেষ্ট মতভেদ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী গণমাধ্যম সিএনএনসহ বিশ্বের বিভিন্ন...

কারি শিল্পের সাফল্য উদযাপনের মধ্যদিয়ে সম্পন্ন হলো বিসিএর সপ্তদশ এওয়ার্ড অনুষ্ঠান

কারি শিল্পের সাফল্য উদযাপনের মধ্যদিয়ে সম্পন্ন হলো বিসিএর সপ্তদশ এওয়ার্ড অনুষ্ঠান

চার ক্যাটাগরিতে দেয়া হলো ২৫টি সম্মাননা পুরস্কার লণ্ডন, ০১ নভেম্বর: বর্ণাঢ্য আয়োজনে সেরা শেফ এবং রেস্টুরেন্ট ও টেকওয়ে মালিকদের সম্মাননা দিয়েছে বিলেতে বাংলাদেশী কারি শিল্পের প্রাচীনতম সংগঠন বাংলাদেশ ক্যাটার্রাস এসোসিয়েশন (বিসিএ)। গত ২৮ অক্টোবর সোমবার লণ্ডনের বিখ্যাত ওটু...

‘ব্রিটিশ-বাংলাদেশী হুজহু’র ১৫তম এওয়ার্ড ও প্রকাশনা অনুষ্ঠান ১২ নভেম্বর

‘ব্রিটিশ-বাংলাদেশী হুজহু’র ১৫তম এওয়ার্ড ও প্রকাশনা অনুষ্ঠান ১২ নভেম্বর

হাসনাত চৌধুরী ♦ লণ্ডন, ০১ নভেম্বর: ‘ব্রিটিশ-বাংলাদেশী হুজহু’র পঞ্চদশ আসর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ১২ই নভেম্বর মঙ্গলবার। কমিউনিটিতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রাজনীতি, সিভিল সার্ভিস, ব্যবসা, মিডিয়া, সমাজসেবা এবং সংস্কৃতি ও ক্রীড়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলদের সম্মাননা জানানোর...