ভ্রমণ | সাক্ষাৎকার

মালিহার একাকী বিশ্বভ্রমণ, সম্বল বাংলাদেশি সবুজ পাসপোর্ট 

১৫ আগস্ট ২০২২ ৯:৩২ পূর্বাহ্ণ | ভ্রমণ, সাক্ষাৎকার

হারুন-অর-রশীদ ♦

১৫ আগস্ট ২০২২:

পাখিরা ডানা মেলে আকাশে ওড়ে। তা দেখে কার না ওড়ার সাধ জাগে? আর দশটা শিশুর মতো মালিহা ফাইরুজের কাছেও বিষয়টা ছিল কল্পনায়। সেটা বাস্তবে ধরা দিল, বয়স যখন সবে চার। উড়োজাহাজের ডানায় ভর করে প্রথম আকাশে ওড়া। নীল আকাশে মেঘের ভেলায় মাঝেমধ্যে হারিয়ে যাওয়া। সঙ্গে প্রথম বিদেশ ভ্রমণের রোমাঞ্চ। সব মিলিয়ে অন্য রকম এক অনুভূতি। এরপর বয়স যতো বেড়েছে, দেশে দেশে ঘুরে বেড়ানোর নেশাটা যেন পেয়ে বসেছে মালিহার। বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়েই ইতোমধ্যে ৯৭টি দেশে ঘুরেছেন মালিহা। সবে ত্রিশের কোঠায় পা রাখা এই বাংলাদেশী নারীর জন্য এক অসামান্য কীর্তি বটে।

চলতি বছরই দেশ ভ্রমণের শতক পূর্ণ করতে চান তিনি। তো, মালিহার বিদেশ ভ্রমণের আগ্রহটা জাগলো কীভাবে? তাঁর মুখেই শুনুন, “প্রথমবার আমি যখন প্লেনে উঠি, তখন আমার বয়স মাত্র চার বছর। বাবা-মা আমাকে নিয়ে বেশ বড় একটা ভ্রমণে গিয়েছিলেন। প্রথমে ইংল্যান্ডে গেলাম, তারপর প্যারিস, আমস্টারডাম, এরপর ইউএসএ। প্রথম যখন প্লেনে উঠেছিলাম, তখন আমি জানালা দিয়ে আকাশ দেখছিলাম। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না, আমরা উড়ছি। এটা আমার জন্য ছিল অবিশ্বাস্য একটি ব্যাপার। তারপর নতুন নতুন শহর, নতুন নতুন ভবন দেখলাম, নতুন নতুন ইতিহাস জানলাম। সব মিলিয়ে আমি খুবই অনুপ্রেরণা পেয়েছি।” বলতে গেলে, ঘোরাঘুরিটা মালিহার রক্তে যেনো মেশা। তাঁর বাবা-মা দুজনই ঘুরতে ভালোবাসেন। সন্তানও যেন তাঁদের মতো হয়, সেটাই চেয়েছেন সব সময়। সময়-সুযোগ পেলেই একমাত্র সন্তান মালিহাকে নিয়ে রওনা হয়েছেন কোনো গন্তব্যে। সাত-আট বছর বয়স থেকে মালিহা প্রায় প্রতি বছরই কোনো না কোনো নতুন দেশে ভ্রমণে গেছেন। বয়স যখন ২০, তখন থেকে মালিহার একা একা বিশ্বভ্রমণ শুরু। কখনো ইউরোপ-আমেরিকা, কখনো আফ্রিকা-এশিয়া। নিজের বাংলাদেশী পরিচয় ও পাসপোর্ট নিয়ে একে একে পা রেখেছেন নানা মহাদেশে। মুগ্ধ হয়েছেন বসনিয়ার মতো দেশে গিয়ে মানুষের আতিথেয়তায়। রোমাঞ্চিত হয়েছেন কেনিয়ার মতো দেশে গিয়ে প্লেন থেকে স্কাই ডাইভিং করে ভারত সাগরের তীরে বালুতে অবতরণ করে। এই পথের যে পুরোটা মসৃণ ছিল, তা নয়। মাঝেমধ্যেই নিতে হয়েছে তিক্ত সব অভিজ্ঞতা। বড় বাধা ছিল তিনটা- নিজের নারী পরিচয়, বাংলাদেশী জাতীয়তা ও বাংলাদেশী পাসপোর্ট। নারী হয়ে একা একা বিদেশ ভ্রমণে বেরিয়েছেন। তাই অনেকেই সন্দেহের চোখে দেখেছেন। অভিবাসন কর্তৃপক্ষ ভেবেছে, তিনি একবার ঢুকতে পারলেই আর ফিরে যাবেন না। বাংলাদেশী জাতীয়তা আর পাসপোর্টও মালিহার জন্য একই ধরনের পরিস্থিতি বয়ে এনেছে। কেউ কেউ তাঁকে তকমা দিয়েছেন “মুসলিম সন্ত্রাসী”।

কখনো অভিবাসন কর্তৃপক্ষের হাতে আটক হয়েছেন। সম্মুখীন হয়েছেন নানা ধরণের জেরার; অন্যায্যভাবে দেহে তল্লাশি করা হয়েছে। একবার মালিহাকে বিতাড়নের সম্মুখীনও হতে হয়েছে। আর বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন কত শত, তা গুনে বলতে পারেন না তিনি। মালিহা স্মৃতিচারণ করছিলেন, এই গেল বছর যুক্তরাজ্য ভ্রমণের তিক্ত অভিজ্ঞতা। “সর্বশেষ যখন ইউকেতে ভ্রমণ করলাম, ওরা (অভিবাসন কর্তৃপক্ষ) আমাকে অনেকক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ওরা বুঝে উঠতে পারছিল না, একটা বাংলাদেশী মেয়ে কেন একা এতটা দেশ ভ্রমণ করেছে। আমাকে অভিবাসন পুলিশের কাছে পাঠানো হলো, আরও বেশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। তারা ভাবছিল, আমি কোনো অবৈধ তৎপরতায় জড়িত। কারণ, আমি সন্দেহভাজন বিভিন্ন দেশে গিয়েছি- যেমন, জর্ডান, বসনিয়া। এতে ওদের সন্দেহ হয়েছে, আমি কোনো মুসলিম সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে হয়তো যুক্ত। এক কথায়, আমি একজন মানুষ হিশেবে নিজের মর্যাদা পাইনি। কারণ, আমি বাংলাদেশি, আমি মুসলিম। কারণ, আমি বাদামি চামড়ার মানুষ। এমন বাধা পেয়েছি নানা দেশে গিয়েই।” বাস্তবে এসব পরিস্থিতিই মালিহাকে বরং শক্তি যুগিয়েছে। মনে মনে পণ করেছেন, বাধা যতই আসুক, এগিয়ে যাবেন। “বিশ্বভ্রমণ কেবল সাদা চামড়ার ইউরোপীয়-আমেরিকান মানুষের”- এই ধারণা পা?ে দেবেন তিনি। বুকে সৌাগান ধরেছেন, “ডিকলোনাইজিং দ্য ট্রাভেল”। যেখানে যান, এই বার্তা ছড়িয়ে দেন তিনি। লক্ষ্য, ভ্রমণকে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য আরও বেশি প্রবেশযোগ্য করে তোলা। মালিহা নিজে ভ্রমণ করেন, অন্যদের ভ্রমণে উদ্বুদ্ধ করেন। বিশেষ করে তাঁর মতো বাদামি চামড়ার মানুষদের, নারীদের। এ লক্ষ্যে সময়ে সময়ে নিজের অভিজ্ঞতা লেখেন, কীভাবে নিজে বাধা ডিঙিয়েছেন, তা তুলে ধরেন। সোশ্যাল মিডিয়া ও ব্লগের পাশাপাশি ওয়েবসাইট করেছেন তিনি। শুধু ইনস্টগ্রামেই তাঁর “অনুসারী” ২১ হাজারের বেশি। মালিহা সাপ্তাহিক পত্রিকাকে বলেন, “আপনি অনলাইনে চোখ রাখুন। দেখতে পাবেন, ভ্রমণটা যেন শুধুই সাদা চামড়ার, পাতলা গড়নের লম্বা মানুষগুলোর জন্য। আমার মত হচ্ছে, এটা খুবই নব্য ঔপনিবেশিক একটা ধারণা। কারণ, ভ্রমণে বিশ্বের সব নাগরিকের অধিকার আছে। এই চিন্তা থেকে ব্লগ লেখা শুরু করেছিলাম। সোশ্যাল মিডিয়াতে, নিজের ওয়েবসাইটে লিখেছি, ভ্রমণটাকে কীভাবে সবার জন্য আরও বেশি প্রবেশযোগ্য করা যায়, কীভাবে এসব বাধা দূর করা যায়।” মালিহা যেখানেই যান, ট্যুর গাইডকে সঙ্গে নিয়ে প্রথমে একটা “ওয়াকিং ট্যুর’ সেরে নেন। খুব কাছে থেকে কথা বলেন স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে। জেনে নেন স্থানীয় কৃষ্টি-কালচার, ইতিহাস-ঐতিহ্য। এভাবে নিজেকে সমৃদ্ধ করেন নিত্যনতুন জ্ঞানে। অন্যের সংস্কৃতি জেনে নেন, নিজের বাংলাদেশী সংস্কৃতি তুলে ধরেন। এর মাধ্যমে সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধ তৈরি হয়। এত এত ভ্রমণ করেন, অর্থের জোগান আসে কোথা থেকে? এ ক্ষেত্রে মালিহার কৌশলটাও বেশ। পূর্ণকালীন একটা চাকরি করেন। আর দশজনের মতো তিনিও আয় থেকে সঞ্চয় করেন। সেই অর্থের একটা বড় অংশ ব্যয় করেন ভ্রমণ-নেশা মেটাতে। তার চেয়ে বড় কথা, তিনি চাকরি বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও বিদেশ ভ্রমণের বিষয়টি মাথায় রাখেন। মালিহার চাকরির ক্ষেত্র “হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট”। সব সময় এই খাতের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তবে সময়ে সময়ে চাকরি বদল করেন। পদায়ন হয় ভিন্ন ভিন্ন দেশে। চাকরির সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন দেশে ঘোরার শখটা পূরণ হয়ে যায়। “সর্বশেষ, আমি সুদানে চাকরি করেছি। তার আগে, সিয়েরালিওন, নাইজেরিয়া, নেপাল। এভাবে আমি বিভিন্ন দেশে চাকরি নিয়ে গেছি। এসব দেশে চাকরির পাশাপাশি আশপাশের দেশগুলোতে ভ্রমণের বন্দোবস্ত করে নিয়েছি। এক কথায়, এমন চাকরি নিয়ে যাই, যাতে অর্থ উপার্জন করতে পারি, সঙ্গে কয়েকটা দেশ ভ্রমণ করেও আসতে পারি”- বললেন মালিহা।  সর্বশেষ নতুন দেশ হিসেবে হিসেবে গত মে মাসে কোস্টারিকা ভ্রমণ করেছেন মালিহা। এটা ছিল তাঁর ৯৭তম দেশ ভ্রমণ। আরও তিনটা নতুন দেশ ভ্রমণ করে এ বছরই শতক পূরণ করার ইচ্ছা তাঁর। নতুন কোন তিনটি দেশ ভ্রমণ করবেন, তা এখনো ঠিক করেননি তিনি। এ বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য পেতে নিজের ইনস্টগ্রাম পেইজে ও ওয়েবসাইটে চোখ রাখতে বলেছেন তিনি। শততম দেশ ভ্রমণ করেই ক্ষ্যান্ত দেবেন না মালিহা। ইচ্ছা তাঁর বিশ্বের স্বীকৃত ১৯৭টি দেশেই পা রাখা। বয়স চল্লিশ পেরোনোর আগেই সেটা করতে চান বর্তমানে জার্মানিতে থাকা মালিহা। “আমি গত ছয় বছরে ৪৭টি দেশে গিয়েছি। এর আগে ২৫ বছর বয়সে ৫০টি দেশ ভ্রমণ করে ফেলেছিলাম। সুতরাং ১৯৭টি দেশে সফরের ইচ্ছাটাও পুরণ করতে পারবো, আশা রাখি।” এতদিন প্রচারবিমুখ থেকেছেন মালিহা। এখন চাইছেন, তাঁর কাহিনিটা সবাই জানুক। তবে নেহায়েত নিজের প্রচারের জন্য নয়। যাতে অন্যরা, বিশেষ করে বাংলাদেশী মেয়েরা, উদ্বুদ্ধ হয়। সার্বিকভাবে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য বিশ্বভ্রমণ যাতে সহজ হয়। কোনো দেশের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ যেন তাঁদের “তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক’ হিসেবে মনে না করে। মালিহা বলেন, “আমি এখন চাই, বেশি বেশি মানুষ আমার কাহিনিটা জানুক। বাংলাদেশের মানুষ, বিশেষ করে নারীরা বিশ্বভ্রমণে এগিয়ে আসুক। আপনি এই ভ্রমণ থেকে যে অভিজ্ঞতা পাবেন, নিজেকে যেভাবে সমৃদ্ধ করতে পারবেন, যেভাবে নারীর ক্ষমতায়ন হবে, তা অন্য কোনোভাবে পাবেন না। আমি আশা রাখি, ভবিষ্যতে বিষয়টা নিয়ে বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে আমি কাজ করতে পারবো। আমি চাই, বাংলাদেশিদের পরিচয় হবে ভ্রমণকারী হিসেবে; তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে নয়,” বলেন তিনি।

সবচেয়ে বেশি পঠিত

সিলেটবাসী আমার ওপর যে আস্থা রেখেছেন তার মর্যাদা রক্ষায় আমি বদ্ধপরিকর

সিলেটবাসী আমার ওপর যে আস্থা রেখেছেন তার মর্যাদা রক্ষায় আমি বদ্ধপরিকর

পত্রিকার সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী লণ্ডন, ৩০ জুন: সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, পরিকল্পিতভাবে সিলেট মহানগরীর উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশী বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও সহযোগিতা...

কোনো অজুহাতে সেবা বন্ধ করায় আমি বিশ্বাসী নই- মেয়র লুতফুর রহমান

কোনো অজুহাতে সেবা বন্ধ করায় আমি বিশ্বাসী নই- মেয়র লুতফুর রহমান

মাতৃভাষা শিক্ষা পুনরায় চালু হচ্ছে আরও বড় পরিসরে হবে ইয়ুথ সেন্টার যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বেশী বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত অধ্যুষিত এলাকা টাওয়ার হ্যামলেটসের রাজনীতিতে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিত্ব লুতফুর রহমান। লেবার দলের হয়ে বারার লীডার হিসেবে দায়িত্ব...

আরও পড়ুন »

 

১৬ ডিসেম্বর অর্জিত বিজয় একান্তই আমাদের

১৬ ডিসেম্বর অর্জিত বিজয় একান্তই আমাদের

গাজীউল হাসান খান ♦ আবদুল লতিফের কথা ও সুরে আমাদের প্রিয় একটি গান, ‘আমি দাম দিয়ে কিনেছি বাঙলা, কারো দানে পাওয়া নয়।’ অপরাজেয় বাংলা বড় বেশি মূল্যের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি এই দেশ। এটি কারো দান বা দয়ায় পাওয়া নয়। সে কারণেই আমাদের ভালোবাসার এই দেশটি সম্পর্কে কেউ...

দিগন্তে জমে ওঠা কালো মেঘ কিভাবে কাটবে

দিগন্তে জমে ওঠা কালো মেঘ কিভাবে কাটবে

গাজীউল হাসান খান ♦ এই বিশাল দিগন্তের কোনো প্রান্তেই অকারণে মেঘ জমে ওঠে না। এর পেছনেও অনেক কার্যকারণ নিহিত থাকে। প্রায় এক বছর পর ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি সম্প্রতি এক দিনের জন্য বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। এর আগে গত বছর নভেম্বরে দিল্লিতে দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব...

আমাদের রাজনৈতিক আন্দোলনে ভাসানী এখনো প্রাসঙ্গিক

আমাদের রাজনৈতিক আন্দোলনে ভাসানী এখনো প্রাসঙ্গিক

গাজীউল হাসান খান ♦ সামন্তবাদী কিংবা পুঁজিবাদী, আধিপত্যবাদী কিংবা উপনিবেশবাদী— যেখানেই যেকোনো ধরনের অপশাসন ও শোষণ দেখেছেন, সেখানেই প্রতিবাদ ও প্রতিরোধে গর্জে উঠেছেন আজন্ম সংগ্রামী মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। খোলা তরবারির মতো ঝলসে উঠেছে তাঁর দুটি হাত। কণ্ঠে উচ্চারিত...

যুক্তরাষ্ট্র কি একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে

যুক্তরাষ্ট্র কি একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে

গাজীউল হাসান খান ♦ যুক্তরাষ্ট্রের এবারের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কেউ এখনো নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছে না। রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক এবং এমন কি জ্যোতিষীদের মধ্যেও এ ব্যাপারে যথেষ্ট মতভেদ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী গণমাধ্যম সিএনএনসহ বিশ্বের বিভিন্ন...