পত্রিকা ডেস্ক ♦
লণ্ডন, ০৮ মে: ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের ইতিহাস হাজার বছরের। এই রাজতন্ত্রে নতুন রাজ অধিপতির রাজ্যাভিষেক মানেই এলাহী কাণ্ড। আয়োজনের ব্যাপ্তি ও উদযাপনে ঐতিহ্যের প্রদর্শণের পাশাপাশি থাকে আধুনিক আভিজাজ্যের ছোঁয়া। তার সাথে রাজকীয় জৌলুস তো আছেই। এমনি এক নজরকাড়া আয়োজনে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নিয়ে ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের নতুন অধিপতি হিসেবে অভিষিক্ত হলেন রাজা তৃতীয় চার্লস (চার্লস ফিলিপ আর্থার জর্জ)। ৬ মে শনিবার লণ্ডনের প্রখ্যাত চার্চ ওয়েস্টমিন্সর অ্যাবেতে অনুষ্ঠিত হয় রাজা চার্লসের রাজ্যাভিষেক বা করোনেশন আয়োজন। এতে বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং বিশ্বের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। রাজা চার্লসের রাজ্যাভিষেকের মধ্যদিয়ে নতুন যুগে প্রবেশ করলো যুক্তরাজ্যের রাজতন্ত্র। আর ৭০ বছর পর নতুন রাজা পেয়েছে যুক্তরাজ্যের মানুষ।
একই দিনে রানি (কুইন কনসোর্ট) হিসেবে অভিষেক হয়েছে রাজা তৃতীয় চার্লসের স্ত্রী ক্যামিলারও (ক্যামিলা রোজম্যারি সাণ্ড)। দুপুর ঠিক ১২টা ২ মিনিটে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে রাজা চার্লসের মাথায় নিখাদ সোনার সেইন্ট এডওয়ার্ড মুকুট পরিয়ে দেন ক্যান্টারবারির আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি। এই মুকুটকে যুক্তরাজ্যের রাজতন্ত্রের পবিত্র ও প্রাচীন স্মৃতিচি? হিসেবে দেখা হয়ে থাকে। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাজ্যাভিষেকের ৭০ বছর পর এই মুকুট পরলেন রাজা তৃতীয় চার্লস। গত বছরের সেপ্টেম্বরে রানির মৃত্যুর পর তাঁর বড় ছেলে চার্লস যুক্তরাজ্যসহ ১৬টি দেশের রাজা হন। ক্যান্টারবারির আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি রাজা চার্লসের শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, রাজ্যাভিষেক শপথের আইনি প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। রাজাকে আর্চবিশপ বলেন, নতুন রাজা যেন তাঁর শাসনকালে আইনের শাসন ও চার্চ অব ইংল্যাণ্ডের মর্যাদা সমুন্নত রাখেন। রাজা তৃতীয় চার্লস পবিত্র গসপেলে হাত রেখে শপথ নেন এবং আইনের শাসন ও চার্চ অব ইংল্যাণ্ডের মর্যাদা সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার করেন। এ ছাড়া একজন ‘একনিষ্ঠ প্রোটেস্ট্যান্ট’ হিসেবে দ্বিতীয় শপথও নেন রাজা তৃতীয় চার্লস। এর আগে রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাজ্যের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে পৌঁছেন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস এবং তাঁর স্ত্রী কুইন কনসোর্ট ক্যামিলা। বাকিংহাম প্যালেস থেকে