আরএসভি সংক্রমণ থেকে নিজেকে ও প্রিয়জনকে সুরক্ষিত করুন

“আরএসভি সংক্রমণের গুরুতর উপসর্গ থেকে সুরক্ষার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে টিকা নেওয়া এবং এটি আপনার জীবন বাঁচাতে পারে।”

ডাঃ মোহিত মন্দিরাদত্তা
জিপি, ওয়েস্ট মিডল্যাণ্ডস

আরএসভি সংক্রমণ থেকে নিজেকে ও প্রিয়জনকে সুরক্ষিত করুন

“আরএসভি আক্রান্ত হলে তা থেকে সব শিশু গুরুতর ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়ে। গর্ভাবস্থায় আপনি আরএসভি টিকা নিলে তা আপনার শিশুকে সুরক্ষা দিতে সহায়তা করে।”

ডাঃ ওজি ইলোজু
জিপি, লণ্ডন

আরএসভি সংক্রমণ থেকে নিজেকে ও প্রিয়জনকে সুরক্ষিত করুন

“বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই তাদের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি হয়ে থাকে। তারা সহজেই এটিতে আক্রান্ত হতে পারেন এবং এক্ষেত্রে গুরুতর উপসর্গ সৃষ্টির আশঙ্কাও বেশি থাকে।”

উত্তাল মার্চ

বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

সম্পাদকীয়

সাইবার নিরাপত্তা আইনও কি ভিন্নমত দমনের হাতিয়ার হচ্ছে?

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩ ২:১৮ অপরাহ্ণ | সম্পাদকীয়

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলে জোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাধ্য হয়ে সরকার ওই আইনটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। এর পরিবর্তে সাইবার নিরাপত্তা আইন নামে নতুন একটি আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে। সরকার পূর্বতন আইনের অজামিনযোগ্য আটটি ধারাকে জামিনযোগ্য ও কিছু ধারায় শাস্তি কমানোর কথা বলেছিল। কিন্তু মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের যে খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে, সেটির সঙ্গে পূর্বতন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খুব একটা পার্থক্য নেই। যেন নতুন নামে কুখ্যাত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন চালিয়ে নিতে চাইছে সরকার।

প্রস্তাবিত বিলটি ইতিমধ্যে জাতীয় সংসদে উত্থাপনও করা হয়েছে। এই বিল আবার পাঠানো হয়েছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে। পাঁচ দিনের মধ্যে কমিটির পর্যবেক্ষণ জানানোর কথা। কিন্তু প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিতে অংশীজনদের সঙ্গে কোনো কথাই বলেনি সরকার।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে যখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হয়, তখন সংবাদমাধ্যমের অংশীজনসহ দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনগুলো জোরালো প্রতিবাদ জানিয়েছিল। সরকারের নীতিনির্ধারকেরা তা আমলে নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি।

সরকারের পক্ষ থেকে বার বার বলা হয়েছিল, ডিজিটাল মাধ্যমের অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বা ডিএসএ করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখেছি এটি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ ও ভিন্নমত দমনের কাজেই ব্যবহৃত হয়েছে। সংসদে আইনমন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ হাজার ১টি মামলা হয়েছে। এ আইনে কতজনকে আটক করা হয়েছে, তা তিনি জানাতে পারেননি।  মানবাধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন আর্টিকেল ১৯-এর তথ্য অনুযায়ী, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গত প্রায় সাড়ে তিন বছরে ১১৫টি মামলায় ২২৯ সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫৬ জনকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মামলা করার পরপরই যাচাই-বাছাই ছাড়া আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিসের (সিজিএস) বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসএর মামলার মধ্যে ২৭ দশমিক ৪১ শতাংশ মামলা হয়েছে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে।

প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কটি অজামিনযোগ্য ধারাকে জামিনযোগ্য করা হয়েছে। কিছু ধারায় শাস্তির পরিমাণ কমানো হয়েছে। কিন্তু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন না হওয়ায় সংবাদমাধ্যমের অংশীজনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উদ্বেগ থেকেই যাবে।

সবচেয়ে বড় উদ্বেগেরে বিষয় হলো- সাইবার বা ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য এই আইনের কথা বলা হলেও ভিন্নমত দমনে এই এই আইন ব্যবহারের সুযোগ আবারও থেকে যাচ্ছে।

অংশীজনদের তোয়াক্কা না করে সাইবার নিরাপত্তা আইনের খড়সা চ‚ড়ান্ত করায় স্পস্ট হয়েছে যে ভিন্নমত দমনের অস্ত্র হিসেবে এই আইনের ব্যবহার নিয়ে সরকারের মানসিকতার কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।

আমরা কিছুদিন আগে সরকারী ওয়েবসাইট থেকে কোটি কোটি মানুষের তথ্য চুরির ঘটনায় দেখেছি – বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা ভঙ্গুর। ওই ঘটনায় দ্বায়িত্বশীল কাউকে বিচারের মুখোমুখি করতে দেখিনি।

বাংলাদেশে ডিজিটাল কিংবা সাইবার নিরাপত্তার জন্য অবশ্যই একটি আইনের প্রয়োজন।  কিন্তু ভিন্নমত দমনের অস্ত্র হিসেবে যদি ওই আইন করা হয় তাহলে সেটি রাষ্ট্রের ও জনগণের প্রকৃত কোনো কাজে আসবে না।

আরও পড়ুন »

বর্ণবাদী ইডিএলকে রুখতে হবে

ব্রিটেনজুড়ে বর্ণবাদী ইডিএল-এর চলমান তাণ্ডব রুখতে লণ্ডনের শান্তিপ্রিয় মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গত সপ্তাহে সাউথপোর্টে তিন শিশু মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ, জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা এবং রাস্তায় পথচারীদের...

অভূতপূর্ব অবিস্মরণীয় এক বিপ্লব

বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্বশীল ভূমিকা এখন খুবই জরুরী অভূতপূর্ব এক বিপ্লব হয়ে গেলো দেশে। দেড় দশকের একক রাজনৈতিক বলয় থেকে বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। এই পরিবর্তনের মূল কারিগর দেশের ছাত্র-জনতা। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন নজির সৃষ্টি করেছে...

‘আসুন, ফিলিস্তিনীদের জন্য ‘ঈদ মোবারক’ পাঠাই

আসছে ১৬ জুন রোববার ব্রিটেনের মুসলমানরা পালন করবেন এবারের পবিত্র ঈদুল আজহা। আর এক দিনের ব্যবধানে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলমানরা উদযাপন করবেন মহান এ দিনটি। ইসলামের অনুসারীদের জন্য বছরের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিনগুলোর একটি হচ্ছে এই ঈদুল আজহা। একে কোরবানীর ঈদ নামেও...

স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দী, মুক্তি কত দূরে?

স্বাধীনতা অর্জন যত সহজ, রক্ষা করা তার চেয়ে বেশি কঠিন। কথাটা গুণীজনদের। উনিশ একাত্তর সালের ২৬ মার্চ সেই অমিত সাহস নিয়ে বাঙালি স্বপ্নের স্বাধীনতা অর্জনের পথে নেমেছিলো। সশস্ত্র সেই অসম যুদ্ধে জয়ও এসেছিলো।  যুগ যুগের অপশাসন ছিঁড়ে পরাধীন, উপনিবেশিত, অবদমিত এবং শোষিত...

বাংলাদেশে লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল-ক্লিনিক

মানুষ মারার চরম নিষ্ঠুর বাণিজ্য কবে বন্ধ হবে? বাংলাদেশের হাসপাতাল আর ক্লিনিকগুলোর বিরুদ্ধে রোগী ও সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগের কমতি ছিলো না আগেও। কিন্তু সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একের পর এক ঘটনায় স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার নামে বাংলাদেশে হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোর মানুষ মারার চরম নিষ্ঠুর...

আরও পড়ুন »

 

ড. ইউনূসের আরো স্থায়িত্বের প্রশ্নে কিছু কথা

ড. ইউনূসের আরো স্থায়িত্বের প্রশ্নে কিছু কথা

গাজীউল হাসান খান ♦ আজকাল কোনো রাজনৈতিক কথা বলা কিংবা লেখার ক্ষেত্রে বেশ কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে বলে মনে হয়। কোনো ব্যাপারে বক্তা কিংবা লেখকের নিজস্ব মতামত প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গেই একটি পক্ষ নির্ধারণের প্রবৃত্তি দেখা দিয়েছে। অর্থাৎ বক্তা বা লেখক রাজনীতিগতভাবে কোন পক্ষের...

দেশ কারো একার নয়, দেশ সবার

গাজীউল হাসান খান ♦ বাংলাদেশের স্বাধীনতা আমাদের পূর্বপুরুষদের অর্থাৎ এই অঞ্চলের মানুষের হাজার বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় পর্যায়ক্রমে অবিভক্ত বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলিম হিসেবে আবির্ভূত হলেও এই ভূখণ্ডে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের মধ্যে...

আপনার হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখুন

আপনার হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখুন

আমাদের হৃদযন্ত্রের কাজ হলো শরীরে রক্ত সঞ্চালন (পাম্প) করা। কার্ডিওভাসকুলার রোগ (সিভিডি) হৃদযন্ত্রের বা রক্তনালীগুলোর উপর প্রভাব ফেলে এবং এই রোগ বিশ্বব্যাপী অকাল মৃত্যু ও মানুষের অসক্ষম (ডিসএবল) হয়ে পড়ার প্রধান কারণ। তাই আমাদের বোঝা প্রয়োজন- কীভাবে আমাদের...

বাংলাদেশ-চীন সুদৃঢ় বন্ধনে জড়ানো আবশ্যক

গাজীউল হাসান খান ♦ চীনের একজন অত্যন্ত প্রভাবশালী কেন্দ্রীয় নেতা সম্প্রতি বলেছেন, বাংলাদেশের উচিত তার নিজ জাতীয় স্বার্থে কাজ করা, কোনো তৃতীয় পক্ষের জন্য নয়। কিন্তু পতিত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব কাজ দেশের স্বার্থে করেননি,...