পত্রিকা ডেস্ক♦
লণ্ডন, ০৯ অক্টোবর: রাশিয়া থেকে নিজেদের ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারে যুদ্ধরত ইউক্রেনীয়রা মুক্তিকামী জনতা। আর দশকের পর দশক ধরে ইসরাইলের অবৈধ দখলদারিত্ব ও নীপিড়নের শিকার ফিলিস্তিনিদের মুক্তি সংগ্রাম সন্ত্রাসী কর্ম। মানবাধিকার, নৈতিকতা ও আইনের শাসনের নামে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের ভণ্ডামি ও স্ব-বিরোধী অবস্থান আবারও স্পষ্ট হয়েছে বিশ্ববাসীর সামনে।
গত শনিবার ইসরাইলে নজিরবিহীনভাবে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকাসী গোষ্ঠী হামাস। এই হামলাকে সন্ত্রাসী কাণ্ড বলে আখ্যায়িত করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা। হামাসের ওই হামলার জবাবে ফিলিস্তিনিদের ওপর ভয়াবহ রকমের বোমা হামলা চালাচ্ছে দখলদার রাষ্ট্র ইসরাইল। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা উপত্যাকা গুড়িয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ইসরাইলের হামলায় ২৪ ঘন্টায় ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা ৬শ ছাড়িয়ে গেছে। ইসরায়েলি হামলার জেরে গাজা উপত্যকায় ১ লাখ ২৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ধংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজার অনেক এলাকা। পুরো গাজা উপত্যকায় পানি, বিদ্যুত, খাবার এবং ঔষধসহ সব রকমের আদান-প্রদান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মাত্র ১৪০ বর্গ কিলোমিটারের গাজা উপত্যকায় অভিজান চালাতে জড়ো করা হয়েছে এক লাখ সেনা। মুহুর্মুহু চলছে বোমা হামলা। ইসরাইলি এমন বর্বরতা কোথায় পালাবার কোনো পথ নেই গাজাবাসীর। অথচ যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে ইসরাইলের এমন প্রতিশোধমূলক হামলাকে সমর্থন দিচ্ছে। তারা অস্ত্র দিচ্ছে এবং ইসরাইলের সমর্থনে মোতায়েন করেছে মার্কিন রণতরী। ইসরাইলের পক্ষে সরাসরি অবস্থান নিয়ে ফিলিস্তিনের সাধারণ নাগরিক, নারী ও শিশুদের মৃত্যুকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইইউ।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজাকে নির্জন দ্বীপে পরিণত করার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন। এর অর্থ গাজা উপত্যকাকে পুরোপুরি ফিলিস্তিনিমুক্ত করে ইসরাইলের সঙ্গে মিশিয়ে ফেলা। এমন প্রেক্ষাপটে রোববার হামাসের সমর্থনে ইসরাইলে গুলি ও রকেট হামলা চালিয়েছে আরেক যোদ্ধাগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এতে ইসরাইল ও তার বিরোধী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ব্যাপক আকারে এক আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গাজায় বিরামহীন বোমাবর্ষণঅবরুদ্ধ নগরী গাজায় রোববার রাতে দফায় দফায় বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণার পরই বেড়ে যায় বোমাবর্ষণ। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, তারা গাজার পাশজুড়ে এক লাখ রিজার্ভ সেনাসদস্য নিয়োজিত করেছে। হামাসের অস্ত্রধারী যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েল সেনাবাহিনীর চরম লড়াই চলে দক্ষিণ ইসরায়েলের তিন স্থানে। সেগুলো হলো-কারিমা, আসকেলন ও সেদারোত। গত শনিবার ইসরায়েলে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় হামলা চালান গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। মাত্র ২০ মিনিটে দেশটিতে ৫ হাজারের বেশি রকেট ছোড়ার কথা জানায় হামাস। হামাসের হামলায় ইসরায়েলে শনিবার থেকে এ পর্যন্ত নিহত মানুষের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে একটি সংগীত উৎসবে অংশ নেওয়া আড়াই শতাধিক মানুষ রয়েছেন। শনিবারের হামলার পরপরই ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী অবরুদ্ধ গাজায় বিমান হামলা ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু করে। চলতে থাকে ব্যাপক বিমান হামলা। এ ছাড়া ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে পড়া হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াই চলছে দেশটির সেনাদের। এদিকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার পর গাজায় নিহত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ শতাধিক। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাদের বুলটিনে বলেছে, নিহতদের মধ্যে ৮০টির বেশি শিশু রয়েছে। হামলায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৩০০-র বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
ওই বুলেটিনে বলা হয়, আটটি পরিবারের সব সদস্য হামলায় মারা গেছেন। ইউএনআরডব্লিউএ বলছে, ইসরায়েলি হামলার মুখে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হওয়া ফিলিস্তিনির সংখ্যা রাতারাতি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে। জাতিসংঘের সংস্থাটি জানিয়েছে, ইউএনআরডব্লিউএর ৬৪টি আশ্রয়শিবিরে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭৪ হাজার। গাজা উপত্যকার বেসামরিক এলাকাসহ বিভিন্ন অংশে ভারী গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলা অব্যাহত থাকায় ইউএনআরডব্লিউএর শিবিরে আশ্রয়প্রার্থী ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোকে আশ্রয় দেওয়ার একটি স্কুলে হামলা হয়েছে। ইউএনআরডব্লিউএর এই আশ্রয়শিবিরে ২২৫ জনের বেশি মানুষ ছিল। ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, বেসামরিক লোকজনের সুরক্ষা সব সময় নিশ্চিত করতে হবে, এমনকি যুদ্ধের সময়ও। আশ্রয়শিবির, স্কুলসহ কোনো বেসামরিক অবকাঠামোকে কখনোই হামলার নিশানা করা উচিত নয়।
প্রায় ২৩ লাখ মানুষের বসতি গাজা উপত্যকা। বিশ্বের সবচেয়ে জনঘনত্বের একটি এলাকা গাজা। এদিকে ইসরায়েল বলেছে, হামাসের হামলায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৩৮২ জন নাগরিক আহত হয়েছেন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। তাঁদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে ২২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আর ৩৪৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। গাজায় খাবার, গ্যাস, জ্বালানি কিছুই ঢুকতে দেবে না ইসরায়েল ফিলিস্তিনের হামাসের সঙ্গে লড়াইয়ের মধ্যে গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণভাবে অবরুদ্ধ করছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওয়াভ গ্যালান্ট সোমবার এই ঘোষণা দিয়েছেন। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমাণ্ডের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এর মধ্যে তিনি বলেছেন, ‘আমি গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণরূপে অবরোধের নির্দেশ দিয়েছি। বিদ্যুৎ, খাবার, গ্যাস-সেখানে সব কিছুই বন্ধ থাকবে। আমরা মানব পশুদের সঙ্গে লড়াই করছি এবং আমাদের সেভাবেই পদক্ষেপ নিতে হবে।’ ভূ-মধ্যসাগরের তীরবর্তী গাজা উপত্যকার দৈর্ঘ্য ৪১ কিলোমিটার এবং এটি ১০ কিলোমিটার প্রশস্ত। সীমান্তের বড় অংশ রয়েছে ইসরায়েলের সঙ্গে, বাকিটা মিশরের সঙ্গে। প্রায় ২৩ লাখ মানুষের বসবাস রয়েছে এখানে, যাতে এটা হয়ে উঠেছে বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার একটি। গাজার আকাশ পথ ও সৈকত ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে। সেখানে কোন কোন ব্যক্তি যেতে পারবেন এবং কী কী পণ্য ঢুকতে পারবে, সে বিষয়ে বিধিনিষেধ রয়েছে ইসরায়েলের। একইভাবে গাজা সীমান্তে লোকজনের আসা-যাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে মিশর। জাতিসংঘের তথ্য মতে, গাজার বাসিন্দাদের প্রায় ৮০ শতাংশ আন্তর্জাতিক ত্রাণ সহায়তার ওপর নির্ভর করেন। তাদের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ মানুষ প্রতিদিনকার খাদ্য সহায়তার ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকেন। ইসরাইলকে সমর্থন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনের; অবিলম্বে অস্ত্রবিরতি চায় রাশিয়া, চীন হামাস-ইসরাইল যুদ্ধে ইসরাইলকে কঠিন ও অটল সমর্থন দেয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ওই অঞ্চলে এ জন্য যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বলেছে, ইসরাইলকে অতিরিক্ত অস্ত্রশস্ত্র দেয়া হবে। একই সুরে কথা বলেছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তিনিও বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে অটল সমর্থন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বলেছেন- সাহায্য করতে আমরা যা পারি, তার সবটাই করবো। সন্ত্রাসের জয় হবে না। অন্যদিকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানো রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিস্তৃত, টেকসই ও দীর্ঘপ্রতিক্ষিত শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছে। চীনও উভয় পক্ষকে সহিংসতা এবং অবিলম্বে অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। রাষ্ট্রীয় মিডিয়া ‘দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান’ পুনর্ব্যক্ত করেছে।
এর মধ্যে থাকবে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। ওদিকে ফিলিস্তিনিদের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করে ইরান- এমন কথা বলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি। তিনি সতর্ক করেন এই বলে যে, বছরের পর বছর ধরে ওই অঞ্চলকে বিপন্ন করার জন্য অবশ্যই ইসরাইলকে জবাবদিহি করতে হবে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনিদের প্রতি দৃঢ়তার সঙ্গে অকুণ্ঠ সমর্থন জানাই। ফিলিস্তিনিরা জবাবে যেটা করেছে তার সঙ্গে আমরা জড়িত নই। রকেট হামলা করেছে ফিলিস্তিন নিজেরাই। সাত দশক ধরে যে নিষ্পেষণমূলক দখলদারিত্ব ও হায়েনার মতো অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ জায়নবাদী শাসকগোষ্ঠী তার বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার পূর্ণাঙ্গ বৈধ অধিকার আছে ফিলিস্তিনিদের। হামাসের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনতে ব্যর্থ যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে ভয়াবহ যুদ্ধের মধ্যে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি ভিত্তিতে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেছিল। তবে যৌথ বিবৃতি দেওয়ার জন্য তারা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্র ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে হামাসের বিরুদ্ধে কড়া নিন্দার প্রস্তাব তুলেছে। তবে এতে সর্বসম্মতভাবে সায় দেয়নি সদস্যদেশগুলো। জ্যেষ্ঠ মার্কিন কূটনীতিক রবার্ট উড সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘বেশির ভাগ সদস্যদেশ হামাসের হামলার নিন্দা জানিয়েছে। তবে অবশ্যই সব দেশ নয়।’
রাশিয়ার কথা উল্লেখ করে উড বলেন, ‘আমি কিছু না বললেও কারা নিন্দা প্রস্তাবের পক্ষে ছিল না, সেসব দেশের একটি কে হতে পারে, আপনারা মনে হয় বুঝতেই পারছেন।’ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক প্রায় ৯০ মিনিট স্থায়ী হয়েছিল। সেখানে জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক শান্তিদূত টর উইনেসল্যাণ্ডের ব্রিফ শোনেন সদস্যদেশের প্রতিনিধিরা। কূটনীতিকেরা বলছেন, বৈঠকে উপস্থিত রুশ প্রতিনিধিরা হামাসের নিন্দা জানানোর চেয়ে বিষয়টিকে আরও বিস্তৃত পরিসরে দেখার কথা বলেন। জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেভেনজিয়া বলেন, ‘আমার বার্তা হচ্ছে, অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। এ জন্য অস্ত্রবিরতি কার্যকর ও অর্থবহ আলোচনা দরকার। নিরাপত্তা পরিষদও কথাটি দশকের পর দশক ধরে বলে আসছে।’
রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আংশিকভাবে এটিই হচ্ছে অমীমাংসিত ইস্যু।’ ২০২০ সালের চুক্তির আওতায় ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা আরব বিশ্বের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধি বৈঠকে বলেন, এ সংকট নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে আরও বৈঠক হবে বলে তাঁরা আশা করছেন। জাতিসংঘে নিযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত লানা জাকি নুসাইবেহ বলেন, ‘আমি মনে করি, সবাই আজ বুঝতে পেরেছেন, ফিলিস্তিনি-ইসরায়েল পরিস্থিতি গভীরভাবে উদ্বেগজনক।’ লানা জাকি বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের অনেক সদস্য বিশ্বাস করেন, চূড়ান্তভাবে এই সংঘাত নিরসনের একমাত্র পথ হচ্ছে দুই রাষ্ট্রব্যবস্থা। ফিলিস্তিন ও হামাসের সমর্থনে দেশে দেশে বিক্ষোভ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের ইসরায়েলে হামলা ও গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের পা?া হামলার পর ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে দেশে দেশে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা নয়, হামাসের এ হামলা মাতৃভূমিকে রক্ষার লড়াই। রোববার তুরস্কের ইস্তাম্বুল ও আঙ্কারায় কয়েক হাজার বিক্ষোভকারীকে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে সৌাগান দিতে দেখা যায়। ইস্তাম্বুলের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ৫৪ বছর বয়সী শাহীন ওচাল বলেন, ফিলিস্তিনিরা তো তাদের মাতৃভূমি রক্ষার লড়াই করছে। এর সঙ্গে সন্ত্রাসের কোনো সম্পর্ক নেই। ইরানের রাজধানী তেহরানের কয়েকটি জায়গায় বিক্ষোভ করেছেন শত শত মানুষ। এ সময় বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনেকের হাতে ফিলিস্তিন ও হামাসের পতাকা দেখা যায়। ইরাকের রাজধানী বাগদাদ ও বসরাতেও ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভ হয়েছে। ইসরায়েলে হামাসের হামলায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বিক্ষোভ হয়েছে লেবাননের রাজধানী বৈরুত ও দক্ষিণের সিদন শহরে। মরক্কোর রাজধানী রাবাতেও হামাসের হামলার সমর্থনে বিক্ষোভ হয়েছে। ইয়েমেনের রাজধানী সানায় হামাসের পতাকা হাতে বিক্ষোভ করেছেন শত শত মানুষ। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর তাইজেও ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ হয়েছে। কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটিতে ফিলিস্তিনের সমর্থনে আয়োজিত বিক্ষোভে কয়েক শ মানুষ অংশ নেন। ইসরায়েলে হামাসের হামলার প্রতি সমর্থন জানিয়ে সিরিয়াতেও বিক্ষোভ আয়োজন করা হয়। এদিকে টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, নিউইয়র্ক, লণ্ডনসহ আমেরিকা ও ইউরোপের অন্তত ২০টি শহরে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছে।