আপনার হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখুন

“শুরুর দিকে কোনো সিভিডির লক্ষণ সবসময় না-ও থাকতে পারে। আর বয়স বাড়ার সাথে সাথে সিভিডি-আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় এবং জাতিগতভাবে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে এটি বেশি হতে পারে। তাই আমাদের ঝুঁকি কমানোর জন্য যথাসম্ভব চেষ্টা করা উচিত ।”

আখতার নাসিম
কনসালট্যান্ট ভাসকুলার সার্জন ও ক্লিনিক্যাল ডিরেক্টর, শেফিল্ড

আপনার হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখুন

“আপনি যদি কৃষ্ণাঙ্গ বা এশীয় জাতিগত সম্প্রদায়ের সদস্য হন তবে আপনার উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেশি এবং এটি তুলনামূলক কম বয়সে হতে পারে। জিপি সার্জারি ও বেশিরভাগ ফার্মেসিতে গিয়ে রক্তচাপ জেনে নিতে পারেন অথবা ডিজিটাল ব্লাড প্রেসার মেশিন কিনে নিজেই রক্তচাপ পরীক্ষা করতে পারেন।”

ডা. ক্রিস অলুকান্নি
জিপি এবং কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, এসেক্স

আপনার হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখুন

“আপনি যদি কৃষ্ণাঙ্গ বা এশীয় জাতিগত সম্প্রদায়ের সদস্য হন তবে আপনার উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেশি এবং এটি তুলনামূলক কম বয়সে হতে পারে। জিপি সার্জারি ও বেশিরভাগ ফার্মেসিতে গিয়ে রক্তচাপ জেনে নিতে পারেন অথবা ডিজিটাল ব্লাড প্রেসার মেশিন কিনে নিজেই রক্তচাপ পরীক্ষা করতে পারেন।”

রণজিৎ সিং
‘ট্রিপল বাইপাস সার্জারি’র পর এখন সুস্থ জীবনযাপন করছেন
শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫

সম্পাদকীয়

একুশ মানে মাথা নত না-করা

ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪ ১:০৩ পূর্বাহ্ণ | সম্পাদকীয়

আমরা কি করছি?

এবারের একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের মহান ভাষা আন্দোলনের বাহাত্তর বছর পূর্ণ করলো। ১৯৫২ সালের পয়ত্রিশ মিনিট। আমাদের জাতীয় ইতিহাসের অত্যন্ত গৌরবজনক দিন-ক্ষণ। বায়ান্নের একুশে ফেব্রুয়ারি মধ্যদুপুরের ১-১০ মিনিট থেকে ১-৪৫ মিনিট সময়টি এক অপরিমেয় শক্তিতে ভবিষ্যতের কোন কালে দুনিয়া কাঁপাবে বলে কি কেউ জানতো সেদিন? আর কে জানতো ‘আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি?’ গানটি কোটি কোটি মানুষের কণ্ঠে অমোঘ শক্তি হবে সংগ্রামের? কেউ কি জানতো, বিশ্বময় প্রতি বছর নিপীড়িত মানুষেরা গেয়ে ওঠবে নিজ নিজ ভাষা রক্ষার প্রেরণায়, অমরত্ব পাবে সে গান। সেটি কি জানতেন গানের লেখক আবদুল গাফফার চৌধুরী? শহীদ রফিক, বরকত আর শফিউরদের বুকের রক্তে নিপীড়কের বজ্রকঠিন দণ্ড আর দর্প ভেঙ্গে দেওয়ার গান গাইবে বিশ্ববাসী, অধিকার আদায় ও লড়াইয়ের মন্ত্রে দীক্ষিত হবেই মানুষ- কে জানতো? কিন্তু মাতৃভাষার প্রতি প্রবল মমতা আর আত“মর্যাদায় বলিয়ান বাঙালী তরুণেরা জীবন দিয়ে রাষ্ট্রভাষা বাংলার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। সেই বিশ্বাস ও চিরঞ্জীব চেতনার নাম আজ ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’। 

‘একুশ মানে মাথা নত না-করা’। এ বাণী এখন বিশ্ব-মানুষের আত্মসম্মান আর আত্মমর্যাদা প্রকাশের ভাষা। কী অপরূপ শক্তি এই বাক্যবন্ধে। পৃথিবীর সব নিপীড়িত মানুষ ভবিষ্যত মানবিক বিশ্ব গড়ে তুলবে ‘একুশ মানে মাথা নত না-করা’ এই মন্ত্রে। বাঙালির প্রদর্শিত পথে, সংগ্রামের দীক্ষায়। কারণ, বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগের দিনটির স্বীকৃতি এখন বিশ্বজুড়েই। ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের স্বীকৃতি লাভের পর থেকে প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে সারা বিশ্বেই পালিত হয়।

একুশের ভাষা শহীদরা আমাদের কাঁধে যে অঙ্গীকার তুলে দিয়েছিলেন, বাহাত্তর বছর পর বাংলার এই বিশ্বায়নের পরও আমরা কি সে অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে পেরেছি? অথচ আমরা গর্বভরে উচ্চারণ করি, একুশের হাত ধরেই বাঙালি জাতিরাষ্ট্র একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে। কিন্তু ঐতিহাসিক এই অর্জনের পর আমাদের অগ্রগতির মানদণ্ড কোথায় গিয়ে ঠেকেছে, তা কি তলিয়ে দেখা হয়েছে গত বাহাত্তর বছরে? মাতৃভাষার ব্যবহারিক শক্তিকে প্রতিষ্ঠা করার যে আলোকজ্জ্বল সুযোগ আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পেয়েছিলাম, তা পরিচর্যা না-করে দিনে দিনে তার সংহার চলছে। আমাদের নিজস্ব শহীদ দিবসকে রেখে এখন আমরা একুশে ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পালনে অধিক উৎসাহী। একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি পাওয়ার আনন্দে বাঙালি ভুলেই গেছে যে আন্দোলনটি ছিল মূলত আমাদের রাষ্ট্রভাষার জন্য। এটি দুঃখজনক। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, আমরা বাংলাভাষাকে স্কুল পর্যায় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত কোন গুরুত্ব না দিয়ে ইংরেজীকে প্রাধান্য দিয়ে নিজ ভাষাকে দূরে ঠেলে চলেছি সজ্ঞানে। 

বাহাত্তর বছর আগের এই দিনে মাতৃভাষার অধিকার রক্ষার দাবিতে শাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অকুতোভয় বীর সন্তানরা নেমে এসেছিলেন রাজপথে।  আমরা নিজেরা সারা বছর মাতৃভাষাকে অনাদর-অবহেলা করে যাই। প্রদর্শনীর জন্য কোন ভবনের দেওয়ালে কিংবা কোনো স্থাপনায় বাংলা অক্ষরে আলোর ঝলকানি দেখে আমরা ক্ষণিকের উচ্ছাসে মাতি। অথচ সেই ভবনের ভেতরের বাংলা শিক্ষার আলো যখন নিভিয়ে দেয়া হয় অর্থাভাবের অজুহাতে তখন আমরা বিচলিত হইনা। অধিকার রক্ষার জন্য দাঁড়ানো তো দূরের কথা।

আমাদের নিজেদের প্রশ্ন করা উচিৎ, আমরা কী করছি? শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে না দিয়ে আসুন আমরা সজাগ হই। মাতৃভাষার উন্নতিই একুশের শিক্ষা- এই বিশ্বাসে এবারের একুশে বিশ্বজুড়ে বাংলাভাষীদের সকল মনোযোগ জমা হোক।

সকল শহীদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা, সংগ্রামীদের প্রতি অভিনন্দন ও ভালোবাসা।

আরও পড়ুন »

বর্ণবাদী ইডিএলকে রুখতে হবে

ব্রিটেনজুড়ে বর্ণবাদী ইডিএল-এর চলমান তাণ্ডব রুখতে লণ্ডনের শান্তিপ্রিয় মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গত সপ্তাহে সাউথপোর্টে তিন শিশু মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ, জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা এবং রাস্তায় পথচারীদের...

অভূতপূর্ব অবিস্মরণীয় এক বিপ্লব

বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্বশীল ভূমিকা এখন খুবই জরুরী অভূতপূর্ব এক বিপ্লব হয়ে গেলো দেশে। দেড় দশকের একক রাজনৈতিক বলয় থেকে বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। এই পরিবর্তনের মূল কারিগর দেশের ছাত্র-জনতা। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন নজির সৃষ্টি করেছে...

‘আসুন, ফিলিস্তিনীদের জন্য ‘ঈদ মোবারক’ পাঠাই

আসছে ১৬ জুন রোববার ব্রিটেনের মুসলমানরা পালন করবেন এবারের পবিত্র ঈদুল আজহা। আর এক দিনের ব্যবধানে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলমানরা উদযাপন করবেন মহান এ দিনটি। ইসলামের অনুসারীদের জন্য বছরের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিনগুলোর একটি হচ্ছে এই ঈদুল আজহা। একে কোরবানীর ঈদ নামেও...

স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দী, মুক্তি কত দূরে?

স্বাধীনতা অর্জন যত সহজ, রক্ষা করা তার চেয়ে বেশি কঠিন। কথাটা গুণীজনদের। উনিশ একাত্তর সালের ২৬ মার্চ সেই অমিত সাহস নিয়ে বাঙালি স্বপ্নের স্বাধীনতা অর্জনের পথে নেমেছিলো। সশস্ত্র সেই অসম যুদ্ধে জয়ও এসেছিলো।  যুগ যুগের অপশাসন ছিঁড়ে পরাধীন, উপনিবেশিত, অবদমিত এবং শোষিত...

বাংলাদেশে লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল-ক্লিনিক

মানুষ মারার চরম নিষ্ঠুর বাণিজ্য কবে বন্ধ হবে? বাংলাদেশের হাসপাতাল আর ক্লিনিকগুলোর বিরুদ্ধে রোগী ও সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগের কমতি ছিলো না আগেও। কিন্তু সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একের পর এক ঘটনায় স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার নামে বাংলাদেশে হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোর মানুষ মারার চরম নিষ্ঠুর...

আরও পড়ুন »

 

ট্রাম্পের ভাঁওতাবাজি এখন ঘাটে ঘাটে আটকে যাচ্ছে

গাজীউল হাসান খান ♦ নিয়তি বলে যে কথাটি প্রচলিত রয়েছে, রাজনীতির ক্ষেত্রে তা কতটুকু প্রভাব ফেলে, আমার জানা নেই। পশ্চিমা জগতের কট্টরবাদী রাজনীতিক, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাষ্ট্র পরিচালনায় এখন বহুমুখী অনভিপ্রেত চাপের মুখে নিয়তির খেলায় গা...

ইরান আক্রমণ নিয়ে ফাঁদে পড়েছেন ট্রাম্প

গাজীউল হাসান খান গণমাধ্যমের সংবাদ বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের ‘দিশাহীন ও বেপরোয়া’ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনো গুরুতর ব্যাপারে তাঁর সিদ্ধান্ত পাল্টাতে খুব বেশি সময় নেন না। এর মূল কারণ হচ্ছে ট্রাম্প খুব ভেবেচিন্তে কোনো কথা বলেন না। তবে তিনি নিজেকে বিশ্বের...

কেয়ার ফর সেইন্ট অ্যান’ চ্যারিটির উদ্যোগে টাওয়ার হ্যামলেটসের হাজার বছরের বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্যের শিল্পকর্ম প্রদর্শনী

কেয়ার ফর সেইন্ট অ্যান’ চ্যারিটির উদ্যোগে টাওয়ার হ্যামলেটসের হাজার বছরের বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্যের শিল্পকর্ম প্রদর্শনী

হাসনাত চৌধুরী ♦ লণ্ডন, ২০ এপ্রিল: টাওয়ার হ্যামলেটসের অবস্থান ও এই এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা নিয়ে দুর্লভ শিল্পকর্মের এক বিশেষ প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আগামী ২৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার। ‘কেয়ার ফর সেইন্ট অ্যান' চ্যারিটির উদ্যোগে লাইম হাউজের সেইন্ট অ্যান চার্চে এই প্রদর্শনীর...

ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন

গাজীউল হাসান খান ♦ পতিত হাসিনা সরকারের দীর্ঘ শাসনকালের একটা সময়ে, সম্ভবত শুরু থেকে মাঝামাঝি কোনো অবস্থায়, দেশের কোনো একটি গণমাধ্যমে একটি চমৎকার স্লোগান দেখতে পেতাম। সেটি হচ্ছে : ‘আপনি বদলে যান, সমাজ বদলে যাবে।’ চারিত্রিক দিক থেকে আমরা সবাই যদি পরিশুদ্ধ হতে পারি, তাহলে...