আপনি কি জানেন, ডায়াবেটিস দৃষ্টিশক্তি হারানোর কারণ হতে পারে?

“আপনার যদি ডায়াবেটিস থেকে থাকে তাহলে আপনি ডায়াবেটিসের কারণে সৃষ্ট চোখের রোগ ‘ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি’তে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন।”

ডাঃ এভলিন মেনসাহ
ক্লিনিক্যাল প্রধান (লিড), অপথালমোলজি
লণ্ডন নর্থ ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি হেলথকেয়ার এনএইচএস ট্রাস্ট ।

ডায়াবেটিস থাকলে চোখের স্ক্রীনিং করানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ

“আমি দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছি বলে যখন ধরা পড়ল, তখন তা আমার মধ্যে প্রবল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। কেউই তাঁর দৃষ্টিশক্তি হারাতে চায় না। আমি ছয় মাস কেঁদেছি।”

বার্নাডেট ওয়ারেন (৫৫)
সাবেক শিক্ষক, সারে ।

স্ক্রিনিং প্রাথমিক লক্ষণগুলি সনাক্ত করতে সাহায্য করে

“নিয়মিত পরীক্ষা-নীরিক্ষা এবং স্ক্রিনিংয়ে অংশ নিলে তা মানুষের শরীরে জটিলতা সৃষ্টির ঝুঁকি অথবা প্রাথমিক লক্ষণগুলি সনাক্ত করতে সাহায্য করবে। তখন এসব ব্যাপারে আমরা কিছু করতে সক্ষম হবো।

ডা. ভরন কুমার
জিপি, স্লাও, বার্কশায়ার

বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪

সম্পাদকীয়

একুশ মানে মাথা নত না-করা

ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪ ১:০৩ পূর্বাহ্ণ | সম্পাদকীয়

আমরা কি করছি?

এবারের একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের মহান ভাষা আন্দোলনের বাহাত্তর বছর পূর্ণ করলো। ১৯৫২ সালের পয়ত্রিশ মিনিট। আমাদের জাতীয় ইতিহাসের অত্যন্ত গৌরবজনক দিন-ক্ষণ। বায়ান্নের একুশে ফেব্রুয়ারি মধ্যদুপুরের ১-১০ মিনিট থেকে ১-৪৫ মিনিট সময়টি এক অপরিমেয় শক্তিতে ভবিষ্যতের কোন কালে দুনিয়া কাঁপাবে বলে কি কেউ জানতো সেদিন? আর কে জানতো ‘আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি?’ গানটি কোটি কোটি মানুষের কণ্ঠে অমোঘ শক্তি হবে সংগ্রামের? কেউ কি জানতো, বিশ্বময় প্রতি বছর নিপীড়িত মানুষেরা গেয়ে ওঠবে নিজ নিজ ভাষা রক্ষার প্রেরণায়, অমরত্ব পাবে সে গান। সেটি কি জানতেন গানের লেখক আবদুল গাফফার চৌধুরী? শহীদ রফিক, বরকত আর শফিউরদের বুকের রক্তে নিপীড়কের বজ্রকঠিন দণ্ড আর দর্প ভেঙ্গে দেওয়ার গান গাইবে বিশ্ববাসী, অধিকার আদায় ও লড়াইয়ের মন্ত্রে দীক্ষিত হবেই মানুষ- কে জানতো? কিন্তু মাতৃভাষার প্রতি প্রবল মমতা আর আত“মর্যাদায় বলিয়ান বাঙালী তরুণেরা জীবন দিয়ে রাষ্ট্রভাষা বাংলার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। সেই বিশ্বাস ও চিরঞ্জীব চেতনার নাম আজ ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’। 

‘একুশ মানে মাথা নত না-করা’। এ বাণী এখন বিশ্ব-মানুষের আত্মসম্মান আর আত্মমর্যাদা প্রকাশের ভাষা। কী অপরূপ শক্তি এই বাক্যবন্ধে। পৃথিবীর সব নিপীড়িত মানুষ ভবিষ্যত মানবিক বিশ্ব গড়ে তুলবে ‘একুশ মানে মাথা নত না-করা’ এই মন্ত্রে। বাঙালির প্রদর্শিত পথে, সংগ্রামের দীক্ষায়। কারণ, বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগের দিনটির স্বীকৃতি এখন বিশ্বজুড়েই। ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের স্বীকৃতি লাভের পর থেকে প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে সারা বিশ্বেই পালিত হয়।

একুশের ভাষা শহীদরা আমাদের কাঁধে যে অঙ্গীকার তুলে দিয়েছিলেন, বাহাত্তর বছর পর বাংলার এই বিশ্বায়নের পরও আমরা কি সে অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে পেরেছি? অথচ আমরা গর্বভরে উচ্চারণ করি, একুশের হাত ধরেই বাঙালি জাতিরাষ্ট্র একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে। কিন্তু ঐতিহাসিক এই অর্জনের পর আমাদের অগ্রগতির মানদণ্ড কোথায় গিয়ে ঠেকেছে, তা কি তলিয়ে দেখা হয়েছে গত বাহাত্তর বছরে? মাতৃভাষার ব্যবহারিক শক্তিকে প্রতিষ্ঠা করার যে আলোকজ্জ্বল সুযোগ আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পেয়েছিলাম, তা পরিচর্যা না-করে দিনে দিনে তার সংহার চলছে। আমাদের নিজস্ব শহীদ দিবসকে রেখে এখন আমরা একুশে ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পালনে অধিক উৎসাহী। একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি পাওয়ার আনন্দে বাঙালি ভুলেই গেছে যে আন্দোলনটি ছিল মূলত আমাদের রাষ্ট্রভাষার জন্য। এটি দুঃখজনক। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, আমরা বাংলাভাষাকে স্কুল পর্যায় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত কোন গুরুত্ব না দিয়ে ইংরেজীকে প্রাধান্য দিয়ে নিজ ভাষাকে দূরে ঠেলে চলেছি সজ্ঞানে। 

বাহাত্তর বছর আগের এই দিনে মাতৃভাষার অধিকার রক্ষার দাবিতে শাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অকুতোভয় বীর সন্তানরা নেমে এসেছিলেন রাজপথে।  আমরা নিজেরা সারা বছর মাতৃভাষাকে অনাদর-অবহেলা করে যাই। প্রদর্শনীর জন্য কোন ভবনের দেওয়ালে কিংবা কোনো স্থাপনায় বাংলা অক্ষরে আলোর ঝলকানি দেখে আমরা ক্ষণিকের উচ্ছাসে মাতি। অথচ সেই ভবনের ভেতরের বাংলা শিক্ষার আলো যখন নিভিয়ে দেয়া হয় অর্থাভাবের অজুহাতে তখন আমরা বিচলিত হইনা। অধিকার রক্ষার জন্য দাঁড়ানো তো দূরের কথা।

আমাদের নিজেদের প্রশ্ন করা উচিৎ, আমরা কী করছি? শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে না দিয়ে আসুন আমরা সজাগ হই। মাতৃভাষার উন্নতিই একুশের শিক্ষা- এই বিশ্বাসে এবারের একুশে বিশ্বজুড়ে বাংলাভাষীদের সকল মনোযোগ জমা হোক।

সকল শহীদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা, সংগ্রামীদের প্রতি অভিনন্দন ও ভালোবাসা।

আরও পড়ুন »

‘আসুন, ফিলিস্তিনীদের জন্য ‘ঈদ মোবারক’ পাঠাই

আসছে ১৬ জুন রোববার ব্রিটেনের মুসলমানরা পালন করবেন এবারের পবিত্র ঈদুল আজহা। আর এক দিনের ব্যবধানে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলমানরা উদযাপন করবেন মহান এ দিনটি। ইসলামের অনুসারীদের জন্য বছরের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিনগুলোর একটি হচ্ছে এই ঈদুল আজহা। একে কোরবানীর ঈদ নামেও...

স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দী, মুক্তি কত দূরে?

স্বাধীনতা অর্জন যত সহজ, রক্ষা করা তার চেয়ে বেশি কঠিন। কথাটা গুণীজনদের। উনিশ একাত্তর সালের ২৬ মার্চ সেই অমিত সাহস নিয়ে বাঙালি স্বপ্নের স্বাধীনতা অর্জনের পথে নেমেছিলো। সশস্ত্র সেই অসম যুদ্ধে জয়ও এসেছিলো।  যুগ যুগের অপশাসন ছিঁড়ে পরাধীন, উপনিবেশিত, অবদমিত এবং শোষিত...

বাংলাদেশে লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল-ক্লিনিক

মানুষ মারার চরম নিষ্ঠুর বাণিজ্য কবে বন্ধ হবে? বাংলাদেশের হাসপাতাল আর ক্লিনিকগুলোর বিরুদ্ধে রোগী ও সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগের কমতি ছিলো না আগেও। কিন্তু সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একের পর এক ঘটনায় স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার নামে বাংলাদেশে হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোর মানুষ মারার চরম নিষ্ঠুর...

গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধ

ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিশ্ববিবেক এমন বর্বরতা আগে দেখেনি দুনিয়া। ফিলিস্তিনের গাজায় গত এক মাস ধরে যে মাত্রার গণহত্যা, বর্বরতা, বোমা হামলা ও ধংসযজ্ঞ চালাচ্ছে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইল তা অতীতের সকল নৃশংসতা আর বীভৎসতাকে অতিক্রম করেছে। ইসরাইলের নৃশংস হামলায় গাজার স্কুল,...

কাফনে মোড়ানো ফিলিস্তিনী নবজাতক!

যুদ্ধাপরাধী ইসরাইলের পক্ষে আর কত সাফাই দেবেন মানবতাবাদের ধ্বজাধারী ব্রিটিশ রাজনীতিকরা? ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি বর্বর আগ্রাসনের শিকার হয়েছে ফিলিস্তিনী নবজাতক উদয় আবি মোহসেন। রোববার ইসরাইলি বাহিনীর বোমায় পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিয়েছে শিশুটি। গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর...

আরও পড়ুন »

 

কিছু স্বপ্নবাজ মানুষের গড়া প্রতিষ্ঠান ‘কিডনি ফাউণ্ডেশন হাসপাতাল সিলেট’

কিছু স্বপ্নবাজ মানুষের গড়া প্রতিষ্ঠান ‘কিডনি ফাউণ্ডেশন হাসপাতাল সিলেট’

নজরুল ইসলাম বাসন ♦ বৃহত্তর সিলেটের সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে খুব একটা ভাল কথা শোনা যায় না। তার কারণ হল সরকারি হাসপাতালগুলোতে রয়েছে অনিয়ম ও কর্তব্যে অবহেলা, জবাবদিহিতার অভাব। বেসরকারি হাসপাতালগুলো ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে সিলেট শহরে গড়ে উঠেছে। তাদের...

রুশনারা আলী ও আজমাল মাশরুরের পাল্টাপাল্টি

রুশনারা আলী ও আজমাল মাশরুরের পাল্টাপাল্টি

লিফলেটে মেয়রের ছবি ব্যবহারের প্রশ্নে যা বললেন আজমাল মাশরুর পত্রিকা ডেস্ক ♦ লণ্ডন, ০১ জুলাই: পূর্ব লণ্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত বেথনাল গ্রিন এণ্ড স্টেপনি আসনে এবার ভিন্নরকম এক নির্বাচনী উত্তাপ বিরাজ করছে। শুরুতে গাজা ইস্যু নিয়ে সরগরম এ আসনটি এখন লেবার নেতার বাংলাদেশিদের...

বাংলাদেশীরা বলির পাঁঠা?

বাংলাদেশীরা বলির পাঁঠা?

লেবার লিডার কিয়ার স্টারমারের চরম আপত্তিকর মন্তব্যে ব্রিটেনজুড়ে কমিউনিটিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া পত্রিকা প্রতিবেদন ♦ লণ্ডন, ০১ জুলাই: আগামী ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে এমনিতেই ফিলিস্তিনের গাজা ইস্যুতে লেবার পার্টির ভূমিকা নিয়ে...

ভোট দিতে যাওয়ার সময় আপনার ফটো আইডি সাথে নিতে ভুলবেন না

ভোট দিতে যাওয়ার সময় আপনার ফটো আইডি সাথে নিতে ভুলবেন না

লণ্ডন, ২ জুলাই: আগামী বৃহস্পতিবার ৪ জুলাই যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনে আপনার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার সময় আপনার সাথে একটি স্বীকৃত ফটো আইডি নিয়ে যেতে হবে। অনুমোদিত ফটো আইডি সাথে না থাকলে আপনি ভোট দিতে সক্ষম না-ও হতে পারেন। তাই আপনার ভোট...