জীবন দিয়ে গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ
পত্রিকা ডেস্ক ♦
লণ্ডন, ২৬ ফেব্রুয়ারি: ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে নিজের শরীরে আগুন দিয়ে দুনিয়াব্যাপী আলোড়ন তোলা মার্কিন সেনা অ্যারণ বুশনেল অবশেষে মারা গেছেন।
এর আগে গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে মার্কিন বিমানবাহিনীর এই সক্রিয় সদস্য নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন। কর্তৃপক্ষের বরাতে এএফপির এ খবর জানায়। মার্কিন বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরের বরাতে এএফপি আরও জানায়, তিনি গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ করেছেন। স্থানীয় সময় রোববার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মার্কিন বিমানবাহিনীর মুখপাত্র এএফপিকে বলেছেন, তিনি মার্কিন বিমানবাহিনীর সক্রিয় সদস্য। তবে তিনি এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি। ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিকভাবে বলেছিলো, ওই ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক। ইসরায়েলি দূতাবাসের মুখপাত্র বলেছেন, ওই ব্যক্তি শরীরে আগুন দেওয়ার সময় দূতাবাসের কেউ আহত হননি। তাঁরা কেউ ওই ব্যক্তিকে চেনেন না বলে জানান তিনি।
মার্কিন গণমাধ্যমের খবরের বরাতে এএফপি আরও জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিং টুইচে ক্লান্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, তিনি আর গণহত্যার মতো অপরাধ করতে চান না। এরপরই তিনি নিজের শরীরে তরলজাতীয় দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন ধরান। মাটিতে পড়ে না যাওয়া পর্যন্ত তাঁকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, ‘ফিলিস্তিনকে মুক্ত করো’। এসব ফুটেজের সত্যতা তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করতে পারেনি এএফপি। নিউইয়র্ক টাইমসের খবরের বরাতে এএফপি জানিয়েছে, টুইচ থেকে ওই ফুটেজ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, গত অক্টোবরে ফিলিস্তিনের গাজায় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে একের পর এক বিক্ষোভের ঘটনা ঘটছে। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনপন্থী- দুই পক্ষই সেখানে বিক্ষোভ করছেন। গাজায় কয়েক মাসের নির্বিচার হামলায় প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এদের বেশির ভাগ নারী ও শিশু।