আপনি কি জানেন, ডায়াবেটিস দৃষ্টিশক্তি হারানোর কারণ হতে পারে?

“আপনার যদি ডায়াবেটিস থেকে থাকে তাহলে আপনি ডায়াবেটিসের কারণে সৃষ্ট চোখের রোগ ‘ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি’তে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন।”

ডাঃ এভলিন মেনসাহ
ক্লিনিক্যাল প্রধান (লিড), অপথালমোলজি
লণ্ডন নর্থ ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি হেলথকেয়ার এনএইচএস ট্রাস্ট ।

ডায়াবেটিস থাকলে চোখের স্ক্রীনিং করানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ

“আমি দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছি বলে যখন ধরা পড়ল, তখন তা আমার মধ্যে প্রবল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। কেউই তাঁর দৃষ্টিশক্তি হারাতে চায় না। আমি ছয় মাস কেঁদেছি।”

বার্নাডেট ওয়ারেন (৫৫)
সাবেক শিক্ষক, সারে ।

স্ক্রিনিং প্রাথমিক লক্ষণগুলি সনাক্ত করতে সাহায্য করে

“নিয়মিত পরীক্ষা-নীরিক্ষা এবং স্ক্রিনিংয়ে অংশ নিলে তা মানুষের শরীরে জটিলতা সৃষ্টির ঝুঁকি অথবা প্রাথমিক লক্ষণগুলি সনাক্ত করতে সাহায্য করবে। তখন এসব ব্যাপারে আমরা কিছু করতে সক্ষম হবো।

ডা. ভরন কুমার
জিপি, স্লাও, বার্কশায়ার

রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রধান খবর

বাংলাদেশে মার্কিন ভিসা নীতি কার্যকর

২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৩:১১ অপরাহ্ণ | প্রধান খবর

নির্বাচন প্রশ্নে অটল অবস্থান ওয়াশিংটনের

শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্রে উপস্থিতিতেই এলো ঘোষণা

নিষেধাজ্ঞার কবলে বিচার বিভাগও!

ঘাবড়ানোর কিছু নেই, বললেন শেখ হাসিনা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞা

লণ্ডন, ২৫ সেপ্টেম্বর: বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণার চার মাসের মাথায় তা কার্যকর করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ঘোষণা অনুযায়ী, নির্বাচনে কারচুপি, ভীতি প্রদর্শন এবং নাগরিক ও গণমাধ্যমের বাকস্বাধীনতায় যারা বাধা দেবে, তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। গত ২২শে সেপ্টেম্বর মার্কিন স্টেইট ডিপার্টমেন্টের এক বিবৃতিতে জানিয়ে দেয়া হয়, বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে। 

এর মধ্যদিয়ে নির্বাচনী আসন ভাগ-বাটোয়ারার পরিবর্তে বাংলাদেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ অর্থাৎ ইনক্লুসিভ জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে আমেরিকার অটল অবস্থানেরই জানান দেয়া হলো।  চলতি বছরের ২৪ মে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। আর এবার শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালেই বাংলাদেশে ভিসা নীতি কার্যকরের ঘোষণা দিলো যুক্তরাষ্ট্র। ‘স্যাংশন’ কার্যকরের ঘোষণার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে শেখ হাসিনার উপস্থিতির এই বিশেষ সময়টি মার্কিন স্টেইট ডিপার্টমেন্টের বেছে নেয়াটা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রশ্নে ওয়াশিংটনের কঠোর অবস্থানের বিশেষ বার্তা দেয়াই হলো বলে বিশ্লেষকরা মনে করেছেন।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে বিশাল বহর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। আমেরিকা প্রবাসী যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর এবং আটলান্টিক কাউন্সিলের অনাবাসিক সিনিয়র ফেলো ড. আলী রীয়াজ মনে করেন, ইতোমধ্যে যাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, তাদের তালিকাও বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছে আমেরিকা। 

তালিকা প্রকাশ করবে না যুক্তরাষ্ট্র- ডোনাল্ড লু

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু বলেছেন, ‘যারা ভিসা নিষেধাজ্ঞা পাবেন, তাদের নাম আমরা প্রকাশ করব না। কাউকে ভিসা না দেওয়াসহ যেকোনো ভিসা রেকর্ড মার্কিন আইন অনুযায়ী গোপনীয় তথ্য।’  তিনি আরো বলেছেন, ২৪ মে ঘোষণা করার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রতিটি ঘটনা খুব কাছ থেকে পর্যালোচনা করেছে। সাক্ষ্য-প্রমাণ ভালোভাবে পর্যালোচনা করার পর যুক্তরাষ্ট্র আইন প্রযয়াগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই নীতির উদ্দেশ্য হলো, সহিংসতা কমানো এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করে এমন যেকোনো কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করার মাধ্যমে নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণের গঠনমূলক অংশীদার হওয়া। এই নীতি অনুযায়ী ভিসা নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের পরিবারের সদস্যরাও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন।  

ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় যারা পড়েছেন বা পড়বেন

আইন-শৃঙ্খলা প্রয়োগকারী বাহিনীর সদস্য, বিচার বিভাগ, সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্য তথা দেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ‘এসব ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন।’ এদিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, শুধু সরকারি দল কিংবা বিরোধী দলই নয়, গণমাধ্যমও মার্কিন ভিসা নীতির আওতায় যুক্ত হবে। ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় কতজন পড়বেন এমন প্রশ্নে পিটার হাস বলেন, সংখ্যা কোনো বিষয় নয়। এটি পর্যায়ক্রমে আসবে।

নিষেধাজ্ঞার কবলে বিচার বিভাগও!  

গণতন্ত্র, মানবাধিকার ভুলুণ্ঠিত এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য সরকারি ও বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মার্কিন ভিসা নীতির আওতায় পড়েছে। তবে ভিসা নিষেধাজ্ঞা থেকে বিচার বিভাগও বাদ পড়ছেনা। এতে প্রতীয়মান হয়, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় আমেরিকার আস্থার সংকট রয়েছে। বাংলাদেশের আদালতের রায়ে বিভিন্ন মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ব্যক্তিত্ব আদিলুর রহমান খানসহ অনেকের কারাদণ্ড হয়েছে। নোবেল জয়ী ড. ইউনুস কিংবা ড. শহিদুল আলমের মতো দেশে বিদেশে সম্মানিত মানুষদেরকে বিচারের আশায় নিয়মিত আদালতের বারান্দায় ঘুরতে হচ্ছে। শতাধিক নোবেল জয়ীসহ বিশ্বের প্রায় ১৬০ জন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব বিবৃতি দিয়ে নোবেল জয়ী ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার বিচার স্থগিত করার আহবান জানিয়েছেন। আমেরিকার ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি এবং ১৬০ জন বিশ্ব নেতার বিবৃতিতেও প্রমাণিত হয়েছে, বাংলাদেশের বিচার বিভাগের প্রতি তাদের আস্থার সংকট রয়েছে।  বাংলাদেশের বিচার বিভাগের প্রতি গণতান্ত্রিক বিশ্বের আস্থার সংকট অনেককেই অবাক করেনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীম উদ্দিন খান বলেছেন, পুলিশ, জুডিশিয়ারি, প্রশাসন যে রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট তা মার্কিন ভিসা নীতি প্রয়োগের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে চিহ্নিত করা হলো। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুক ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, পুলিশ যেমন রাজনৈতিক বিবেচনায় মামলা নেয় তেমনি আদালতও একই দোষে দুষ্ট। তিনি বলেন, “বিরোধী নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলা। মৃত ব্যক্তিদের মামলায় আসামি করা হয়। যাদের বাদি করা হয় তারা জানেনই না যে তারা মামলার বাদি। তাদের কেউ বিদেশেও আছেন। তাহলে পুলিশ যে রাজনৈতিক পারপাস সার্ভ করে সেটা বুঝতে তো আর অসুবিধা থাকার কথা নয়?”

মানবাধিকার কর্মী নূর খান মনে করেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবার ভূমিকা আছে। ‘‘আমরা দেখছি তারা পুরো নির্বাচনটাকে তাদের মতো করে নিয়েছে। তাদের একাধিকবার বলতে শোনা গেছে এই সরকারকে আমরা ক্ষমতায় এনেছি। তাদের কথায়ই বোঝা যায় তারা চাইলে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। আর এই সমস্যা বিচার বিভাগে থাকলে সবার আগে সেটা ঠিক করা দরকার,” বলেন তিনি। 

ভিসা নিষেধাজ্ঞায় শেখ হাসিনার প্রতিক্রিয়া, পাল্টা নিষেধাজ্ঞা!  

মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞায় রাজনৈতিক দলগুলো মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তবে সরকার এবং আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পরও এক ধরনের বেপরোয়াভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। নিউ ইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা-নীতি নিয়ে ভয় পাওয়া কিংবা ঘাবড়ানোর কিছু নেই।” শুধু তা-ই নয়। তিনি আরো বলেছেন, ‘আমার ছেলেও যুক্তরাষ্ট্রে আছে। সে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে, বিয়ে করেছে, তার মেয়ে আছে, সম্পত্তি আছে, বাড়িঘর আছে। যদি বাতিল করে, করবে। তাতে কিছু আসে যায় না, আমাদের বাংলাদেশ তো আছেই।’ 

এছাড়া শেখ হাসিনা পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, বাইরের দেশ থেকে বাংলাদেশের নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হলে বাংলাদেশের জনগণও তাদের স্যাংশন দেবে। 

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাচ্ছি না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বাংলাদেশ মাথা ঘামাচ্ছে না।  শনিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক দেশ, তেমনি আমরাও। তিনি বলেন, বৈশ্বিক শক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র অন্যদের ওপর ক্ষমতা প্রভাব খাটাতে পারে। কিন্তু আমরা এ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না। কারণ আমরা জানি কীভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হয়।

এদিকে ভিসা নিষেধাজ্ঞায় ঢাকায় তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তির তালিকা খুব একটা বড় নয়। ভিসা নীতির প্রয়োগ নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন নয়। তিনি আশা করেন, নির্বাচনের আগে এমন কোনো পদক্ষেপ এবং আর কোনো মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসবে না’।

ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞা পরোয়া করে না আওয়ামী লীগ: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞা আওয়ামী লীগ পরোয়া করে না। তিনি বলেন, ভিসানীতি-নিষেধাজ্ঞা হলো অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য। আমরা একটা শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাই। এটা আমাদের ঘোষণা’। দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে ‘টেনশন, উদ্বেগ বা উৎকণ্ঠা’ কোন কিছুই নেই। তিনি মনে করেন, কেউ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার চিন্তা করলে এটি তাদের জন্য চিন্তার বিষয় হতে পারে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি বিএনপির জন্য বড় চাপ তৈরি করেছে।  

ভিসা নীতি দেশের জন্য লজ্জাকর: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমেরিকা আমাদের ওপর ভিসা নীতি দেয়, স্যাংশন দেয়। মার্কিন ভিসা নীতি দেশের জন্য লজ্জাকর। স্বাধীন সার্বভৌমত্ব একটি রাষ্ট্রে অন্য দেশ নিষেধাজ্ঞা দেয়। আওয়ামী লীগের দুঃশাসন ও লুটের কারণে আন্তর্জাতিকভাবে এমন ব্যবস্থা ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না। জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, মনে হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র যথেষ্ট আন্তরিক। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি কতটা বাস্তবায়িত হয় বা কার্যকর হয়, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করবে।  মার্কিন ভিসা নীতিতে কাদেরকে বিরোধী দল হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে?  

নতুন মার্কিন ভিসা নীতিতে বলা হয়েছে, সরকার কিংবা বিরোধী দল যারাই গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধেই ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, আমেরিকার চোখে কারা বিরোধী দল? দেশের চলতি সরকার ব্যবস্থায় সরকারি দল আওয়ামী লীগ এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। আওয়ামী লীগের সহযোগী হয়েই ২০১৪ সাল এবং ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছে জাতীয় পার্টি। 

সরকারের বিশ্বস্ত হিসেবে প্রয়াত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের পত্নী বেগম রওশন এরশাদ প্রতিবারই আওয়ামী লীগের সঙ্গে পর্দার আড়ালে রাজনৈতিক সমঝোতায় নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এবারও আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণের কথা ঘোষণা করেছেন জাতীয় পার্টির পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। যদিও আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা এ নিয়ে এখনো স্পষ্ট করেননি জাতীয় পার্টির সভাপতি জিএম কাদের। 

২০১৪ এবং ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে দেখা গেছে, জাতীয় পার্টির ভূমিকার কারণে আওয়ামী লীগ নিজেদের ইচ্ছেমতো নির্বাচন করার সুযোগ পেয়েছে। তবে এটি এখনো স্পষ্ট নয় মার্কিন ভিসা নীতিতে কাদেরকে বিরোধী দল হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।  মার্কিন ভিসা নীতি কি বিএনপির জন্য বিপর্যয়কর? 

মার্কিন ভিসা নীতির কারণে বিএনপিকেই পস্তাতে হবে এমন বক্তব্য দিয়ে আওয়ামী লীগ তৃপ্তির ঢেকুর তুললেও বাস্তবতা ভিন্ন। ১৭ বছর ধরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। বিএনপি’র দাবি, আগামী জাতীয় শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে রেখে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। তাদের স্পষ্ট অবস্থান হচ্ছে-বর্তমান সরকার, সংসদ এবং নির্বাচন কমিশনকে বহাল রেখে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকা কিংবা ভারত কি বিএনপির এই দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছে? দৃশ্যত: করেনি। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগ বারবার বলছে, শেখ হাসিনা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে প্রস্তুত। কিন্তু আওয়ামী লীগ বারবার এ কথা বললেও তাদের এই প্রতিশ্রুতির কথা ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিংবা আমেরিকা বিশ্বাস করে দৃশ্যত করেনি।  

বরং দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে। মার্কিন ভিসা নীতির বিধিনিষেধ কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে। এর আগে ২০২১ সালে র‌্যাবের ৭ কর্মকর্তার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। 

এসব বিবেচনায় মার্কিন ভিসা নীতির টার্গেট বিএনপি নয় মনে করে দলটিতে কিছুটা স্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে দলের নেতারা বলছেন, তারা সর্তকতার সাথেই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন।

নির্বাচন ২০১৪, ২০১৮ এবং বিএনপির ভূমিকা

জনসমর্থনের দিক থেকে এই মুহূর্তে বিএনপি ভালো অবস্থানে। তবে বিএনপি সরকারে নেই গত ১৭ বছর। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। ওই নির্বাচনের দিনের আগেই ১৫৩ আসনে আওয়ামী লীগের এমপিদের নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছিল। অর্থাৎ নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগের সরকার গঠনের মতো আসন নিশ্চিত হয়ে যায়। সমালোচনার জবাবে আওয়ামী লীগ বলেছে, বিএনপি অংশ না নেয়ায় অনেক জায়গায় প্রার্থী সংকট দেখা দেয়। ফলে ১৫৩ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করতে হয়েছে। তবে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল বিএনপি। ওই নির্বাচনে মাত্র ৫টি আসনে বিএনপি প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। তবে দেশে বিদেশে অভিযোগ ওঠে, ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাতেই জনগণের ভোট ডাকাতি হয়ে যায়। রাতের অন্ধকারের প্রশাসনের সহায়তায় সারাদেশে ভোটের বাক্স ভর্তি করে ফেলা হয়। ৩০ ডিসেম্বর সকালে বিবিসির ক্যামেরায় ধরা পড়ে চট্টগ্রামের একটি কেন্দ্রের নির্বাচনী কর্মকর্তা সকালে ভোট শুরু হওয়ার আগেই ব্যালট ভর্তি ভোটের বাক্স নিয়ে একটি ভোট কেন্দ্রে ঢুকছেন। এ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। দেশ বিদেশের জনগণ বিশ্বাস করতে শুরু করে আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর থেকেই সরকার অনেক বেশি স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠে। দেশে গুম -খুন অপহরণের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সংকুচিত হতে থাকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা। শেখ হাসিনার শাসনামলে পদ্মাসেতুসহ সারাদেশে অবকাঠামোগত উন্নয়ন দৃশ্যমান হলেও ব্যাপক দুর্নীতি, অর্থ পাচার এবং নানা অনিয়মের আবর্তে চাপা পড়ে যেতে থাকে সরকারের সাফল্যের ফিরিস্তি। 

এমন পরিস্থিতিতে বিএনপি এবং দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো আওয়ামী লীগকে দেশে বিদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিরোধী শক্তি হিসেবে চিত্রিত করতে সক্ষম হয়। সচেতন মহল বিশ্বাস করতে শুরু করে, বাংলাদেশকে পুনরায় গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে হলে প্রয়োজন জনসমর্থিত সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত একটি জবাবদিহিমূলক সরকার।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিদেশী রাষ্ট্রগুলোর তৎপরতা

২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনার সরকারের ধারাবাহিকতার পক্ষে প্রায় প্রকাশ্যেই ভূমিকা রেখেছিলো ভারত। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় রাখার পক্ষে চীনকেও ভূমিকা রাখতে দেখা যায়। তবে সেই দুটি নির্বাচনে ইউরোপিয় ইউনিয়ন কিংবা আমেরিকাকে ততটা তৎপর দেখা যায়নি। তবে এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষে চীনকে কিছুটা সক্রিয় দেখা যাচ্ছে। অপরদিকে রাশিয়ার বন্ধু রাষ্ট্রের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নে রহস্যজনকভাবে ভারত অনেকটা নিশ্চুপ। 

অন্যদিকে এটি স্পষ্ট যে, বাংলাদেশে ২০১৪ কিংবা ২০১৮ সালের মতো ভাগ-বাটোয়ারার নির্বাচন নয়- এমন প্রকাশ্য অবস্থান নিয়ে ইউরোপিয় ইউনিয়ন এবং আমেরিকা এবার একটি অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ সর্বোপরি সবার অংশগ্রহণে একটি ‘ইনক্লুসিভ’ নির্বাচন দেখতে চায়। 

ভিসানীতির ‘বার্তা’ গ্রহণ করতে হবে: বদিউল আলম মজুমদার

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি প্রয়োগের বিষয়ে যুগান্তরকে বলেছেন, বিদেশিরা আমাদের নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য তাদের গরজ দেখাচ্ছে। তারা উদ্যোগী ভূমিকা নিচ্ছে। কিন্তু আমরা কি উদ্যোগ নিচ্ছি? আমাদের কি বোধদয় হয়েছে বা হচ্ছে? আমি ‘অ্যামবারেসড’ যে আমরা আমাদের সমস্যার সমাধান না করায় অন্যেরা আমাদের সমস্যা সমাধানে চাপ সৃষ্টি করছে। এই ভিসানীতি থেকে আমাদেরকে কি বার্তা দেওয়া হচ্ছে সেটি গ্রহণ করতে হবে। 

তারা কেন এটা করেছে? সমস্যা সমাধানের জন্য সুষ্ঠু পথ রুদ্ধ হয়েছে। যেটি ইইউ’র সিদ্ধান্তের মাধ্যমেও প্রতিভাত হচ্ছে। সমস্যাগুলো এখন চিহ্নিত করে আমাদেরকে আলোচনার টেবিলে বসে সমাধান করতে হবে। তা না হলে জাতি হিসাবে আমরা একটি ভয়ানক পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হবো বলে আমার আশঙ্কা। বস্তুত আমি দেখি তারা আমাদেরকে একটি বার্তা দিচ্ছে আর ‘বল’ আমাদের কোর্টে দেওয়া হচ্ছে। এখন আমাদেরকে ঠিক করতে হবে আমরা কি করব।

উল্লেখ্য, সংবিধান অনুযায়ী ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারী মাসের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান হতে হবে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে সারা বিশ্বের গণতান্ত্রিক শক্তির দৃষ্টি। গণতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়। এ লক্ষ্যে তারা নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। বাংলাদেশে বর্তমানে ভোটারের সংখ্যা প্রায় বারো কোটি। সে তুলনায় ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়াদের সংখ্যা নেহায়েতই নগন্য হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বর্তমান সরকারের সমালোচকরা বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসানীতি কার্যকরের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে অনড় অবস্থান নিয়ে প্রকৃতপক্ষে দেশের বারো কোটি ভোটারের ভোটের অধিকার প্রয়োগের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগকে একতরফা নির্বাচন আয়োজনের অনড় অবস্থান থেকে বের হয়ে না আসলে ভবিষ্যতে দেশকে আরো বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

আরও খবর

১৫ই আগস্ট ঘিরে উত্তাপ

সরকারের সামনে চ্যালেঞ্জ মতিউর রহমান চৌধুরী ♦ লণ্ডন, ১২ আগস্ট: ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আকস্মিক সরকার পতন। এর জেরে অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল নানা ক্ষেত্রে। নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর সেই অস্থিরতা কেটে যাচ্ছে ধীরে...

বাংলাদেশীরা বলির পাঁঠা?

বাংলাদেশীরা বলির পাঁঠা?

লেবার লিডার কিয়ার স্টারমারের চরম আপত্তিকর মন্তব্যে ব্রিটেনজুড়ে কমিউনিটিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া পত্রিকা প্রতিবেদন ♦ লণ্ডন, ০১ জুলাই: আগামী ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে এমনিতেই ফিলিস্তিনের গাজা ইস্যুতে লেবার পার্টির ভূমিকা নিয়ে...

চাপে রুশনারা, নির্ভার আপসানা

চাপে রুশনারা, নির্ভার আপসানা

৪ জুলাইর নির্বাচনে মুসলিম ভোটের নির্ধারক হবে গাজা ইস্যু পত্রিকা প্রতিবেদন ♦ লণ্ডন, ১০ জুন: আগামী ৪ জুলাই অনুষ্ঠেয় পার্লামেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীতা দাখিল চূড়ান্ত হয়েছে। ৭ জুন চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। লেবার দলীয় চার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত...

মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ও সম্ভাবনাকে পদদলিত করে উল্টো পথে চলছে বাংলাদেশ

মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ও সম্ভাবনাকে পদদলিত করে উল্টো পথে চলছে বাংলাদেশ

লণ্ডনে সিপিবি’র জনসভায় মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম সারওয়ার-ই আলম ♦ লণ্ডন, ৪ এপ্রিল: বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)-এর প্রাক্তন সভাপতি ও বর্তমান সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ও সম্ভাবনাকে পদদলিত করে উল্টো পথে চলছে বাংলাদেশ।...

স্থানীয় বাংলাদেশী কমিউনিটির প্রতিবাদের মুখে গ্রেটার ম্যানচেস্টরের রচডেল কাউন্সিল কার্যালয়ে ঠাঁই হলো বাংলার

স্থানীয় বাংলাদেশী কমিউনিটির প্রতিবাদের মুখে গ্রেটার ম্যানচেস্টরের রচডেল কাউন্সিল কার্যালয়ে ঠাঁই হলো বাংলার

পত্রিকা প্রতিবেদন ♦ লণ্ডন, ২৫ মার্চ: স্থানীয় বাংলাদেশী কমিউনিটির প্রবল প্রতিবাদের মুখে রচডেল কাউন্সিল কার্যালয়ের স্বাগতবার্তায় অবশেষে বাংলা যুক্ত করা হয়েছে। অন্যান্য ভাষার সাথে বাংলায় ‘স্বাগতম’ লেখাটিও এখন সেখানে শোভা পাচ্ছে।  কাউন্সিল কার্যালয়ের...

আরও পড়ুন »

 

বাংলাদেশে রাজনীতির নৈতিক সংস্কার প্রয়োজন

গাজীউল হাসান খান ♦ এটি বলার অপেক্ষা রাখে না যে আমাদের রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র কিংবা প্রধান চালিকাশক্তি হচ্ছে গণতন্ত্র। আমাদের একাত্তর-পূর্ববর্তী রাজনীতির কথা ছেড়ে দিলেও স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে গণতন্ত্রহীন রাজনীতির পরিণতি কী হয়েছে, তা আমরা বিভিন্ন গণ-অভ্যুত্থানের...

লণ্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি বাতিল এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি অপসারণে ৭ই মার্চ ফাউণ্ডেশনের নিন্দা

লণ্ডন, ১২ আগস্ট: লণ্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ৪৯তম জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি বাতিল এবং এর কার্যালয় থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি অপসারণের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে গভীর হতাশা প্রকাশ করে এর নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংগঠন ৭ই মার্চ ফাউণ্ডেশন। পাশাপাশি পৃথক একটি...

বর্ণবাদী ইডিএলকে রুখতে হবে

ব্রিটেনজুড়ে বর্ণবাদী ইডিএল-এর চলমান তাণ্ডব রুখতে লণ্ডনের শান্তিপ্রিয় মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গত সপ্তাহে সাউথপোর্টে তিন শিশু মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ, জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা এবং রাস্তায় পথচারীদের...

১৫ই আগস্ট ঘিরে উত্তাপ

সরকারের সামনে চ্যালেঞ্জ মতিউর রহমান চৌধুরী ♦ লণ্ডন, ১২ আগস্ট: ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আকস্মিক সরকার পতন। এর জেরে অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল নানা ক্ষেত্রে। নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর সেই অস্থিরতা কেটে যাচ্ছে ধীরে...